বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের উদ্বোধন আজ

দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের পর ভারত থেকে সরাসরি তেল আসবে পার্বতীপুরের রিসিভ টার্মিনালে

অপেক্ষার পালা শেষ। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পটির। দিনাজপুরের পার্বতীপুরে স্থাপিত ডিজেলের স্টোরেজ ট্যাঙ্ক নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ভার্চুয়ালি এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন আজ। উদ্বোধন শেষে ভারত থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল আসবে পার্বতীপুরের রিসিভ টার্মিনালে।

শিলিগুড়ির নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য বিপিসির দিনাজপুরের পার্বতীপুরের রিসিভ টার্মিনালটি এখন প্রস্তুত। পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও পার্বতীপুরের স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটি ভিডিওর মাধ্যমে যুক্ত হবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) টিপু সুলতান ও পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ঈসমাইল।

প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) টিপু সুলতান বলেন, আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রিসিপ্ট পাইপলাইন টার্মিনালের প্যান্ডেলে স্থাপিত টিভি পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বিপিসির দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন, পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ইসমাঈল, পার্বতীপুর রেলহেড অয়েল ডিপো ইনচার্জ এমরানুল হাসান ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার কাজী মো. রবিউল আলম উপস্থিত থাকবেন। এর আগে বিকেল ৪টায় পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, ভারতের আসাম রাজ্যের নুমালিগড় রিফাইনারির শিলিগুড়ি মাকেটিং টার্মিনাল থেকে সীমান্তের বর্ডার অতিক্রম করে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর হয়ে পার্বতীপুর ডিপোতে সংযুক্ত হয়েছে পাইপটি।

বিপিসির সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ভারত ১৫ বছর ডিজেল সরবরাহ করবে। প্রথম ৩ বছর ২ লাখ মে, টন, পরবর্তী ৩ বছর ৩ লাখ মেট্রিক টন ও এরপর ৪ বছর ৫ লাখ মেট্রিক টন, অবশিষ্ট ৫ বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন তেল সরবরাহ করবে। এরপর চুক্তি নবায়ন করা হবে, না হলে পাইপলাইনের মালিকানা বাংলাদেশের কাছে থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল আনতে প্রতি ব্যারেলের প্রিমিয়াম প্রাইস পড়ে ১১ ডলার। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে খরচ পড়বে ৫ দশমিক ৫০ ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৬ ডলারের মতো প্রিমিয়াম সাশ্রয় হবে। বর্তমান ব্যবস্থায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে বড় জাহাজে তেল চট্টগ্রাম বহিনোঙরে আসে। সেখান থেকে ছোট জাহাজে খুলনা দৌলতপুরে আসে। তারপর ব্রডগেজ লাইনে আনা হয় পার্বতীপুর ডিপোতে। সরাসরি আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন দিয়ে এসব ঝামেলা ছাড়াই তেল নেয়া যাবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানান, ভারত সরকার এই পাইপলাইনের অবকাঠামো নির্মাণ করে দিয়েছেন। আমরা পাইপলাইনের জন্য ভূমি বরাদ্দ ও রিসিভ ট্যাঙ্ক নির্মাণ করেছি। পার্বতীপুর শহরের অদূরে রেল হেড ডিপোর পাশে ৬ দশমিক ৮০ একর জমিতে রিসিপ্ট টার্মিনালটি (আরটি) নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ করেন মেসার্স দীপন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড এবং ওয়েল ডিপোর কাজ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাইপ লাইনার্স লিমিটেড। ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন সংস্থা নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথভাবে কাজটি বাস্তবায়ন করেছেন।

এর আগে ১০ মার্চ প্রকল্প উদ্বোধনের রিসিভ টার্মিনাল পরিদর্শন আসেন বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়ইরুজ্জামান মজুমদার, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জরেন্দ্র নাথ ও চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।

পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিপিসির চেয়ারম্যান একে আজাদ জানিয়েছিলেন, রিসিভ টার্মিনালের কন্ট্রোল রুমটি সবচেয়ে অত্যাধুনিক, কম্পিউটারাইজ ও অটোমেটেড। যা যুক্ত হেড অফিসের সঙ্গে। দপ্তরে বসেই মোবাইলে পাইপলাইনের তেলের পরিস্থিতি দেখতে পারবেন। মাঠ পর্যায়ে পাইপলাইনের কেউ ক্ষতির চেষ্টা করলে তা কন্ট্রোল রুমে ধরা পড়বে। পাইপলাইনের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অংশে ১২৬ কিলোমিটার দূরত্বে প্রতি ৩০ কিলোমিটারে ৫টি এসভি স্টেশন (সেকশনালইজিং ভালভ) স্থাপন করা হয়েছে। আমরা ভারতকে যে মানের নমুনা দিয়েছি সেভাবেই ১০ পিপিএম উন্নতমানের রিফাইন ডিজেল আসবে। উত্তরের ১৬ জেলায় নিরবচ্ছিন্নভাবে ও সারা বছর ডিজেল সরবরাহ রাখতেই এই ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ভূমিকা রাখবে। আগে খুলনা ও চট্রগ্রাম থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলে তেল পরিবহনের তেল আসতে সময় লাগতো ৬-৭ দিন। সাশ্রয়ী উপায়ে দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জ¦ালানি সরবরাহে এটি একটি মাইলফলক হবে বলে মন্তব্য করেন। পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি করা ডিজেল সংরক্ষণের জন্য পার্বতীপুর রিসিভ টার্মিনাল সাইডে ২৯ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি বাফার ডিপো নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার মেট্রিক টন জ¦ালানি মজুদের সক্ষমতা রয়েছে।

শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩ , ০৪ চৈত্র ১৪২৯, ২৫ শবান ১৪৪৪

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের উদ্বোধন আজ

দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের পর ভারত থেকে সরাসরি তেল আসবে পার্বতীপুরের রিসিভ টার্মিনালে

চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর

image

অপেক্ষার পালা শেষ। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পটির। দিনাজপুরের পার্বতীপুরে স্থাপিত ডিজেলের স্টোরেজ ট্যাঙ্ক নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ভার্চুয়ালি এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন আজ। উদ্বোধন শেষে ভারত থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল আসবে পার্বতীপুরের রিসিভ টার্মিনালে।

শিলিগুড়ির নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য বিপিসির দিনাজপুরের পার্বতীপুরের রিসিভ টার্মিনালটি এখন প্রস্তুত। পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও পার্বতীপুরের স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটি ভিডিওর মাধ্যমে যুক্ত হবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) টিপু সুলতান ও পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ঈসমাইল।

প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) টিপু সুলতান বলেন, আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রিসিপ্ট পাইপলাইন টার্মিনালের প্যান্ডেলে স্থাপিত টিভি পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বিপিসির দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন, পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ইসমাঈল, পার্বতীপুর রেলহেড অয়েল ডিপো ইনচার্জ এমরানুল হাসান ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার কাজী মো. রবিউল আলম উপস্থিত থাকবেন। এর আগে বিকেল ৪টায় পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, ভারতের আসাম রাজ্যের নুমালিগড় রিফাইনারির শিলিগুড়ি মাকেটিং টার্মিনাল থেকে সীমান্তের বর্ডার অতিক্রম করে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর হয়ে পার্বতীপুর ডিপোতে সংযুক্ত হয়েছে পাইপটি।

বিপিসির সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ভারত ১৫ বছর ডিজেল সরবরাহ করবে। প্রথম ৩ বছর ২ লাখ মে, টন, পরবর্তী ৩ বছর ৩ লাখ মেট্রিক টন ও এরপর ৪ বছর ৫ লাখ মেট্রিক টন, অবশিষ্ট ৫ বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন তেল সরবরাহ করবে। এরপর চুক্তি নবায়ন করা হবে, না হলে পাইপলাইনের মালিকানা বাংলাদেশের কাছে থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল আনতে প্রতি ব্যারেলের প্রিমিয়াম প্রাইস পড়ে ১১ ডলার। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে খরচ পড়বে ৫ দশমিক ৫০ ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৬ ডলারের মতো প্রিমিয়াম সাশ্রয় হবে। বর্তমান ব্যবস্থায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে বড় জাহাজে তেল চট্টগ্রাম বহিনোঙরে আসে। সেখান থেকে ছোট জাহাজে খুলনা দৌলতপুরে আসে। তারপর ব্রডগেজ লাইনে আনা হয় পার্বতীপুর ডিপোতে। সরাসরি আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন দিয়ে এসব ঝামেলা ছাড়াই তেল নেয়া যাবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানান, ভারত সরকার এই পাইপলাইনের অবকাঠামো নির্মাণ করে দিয়েছেন। আমরা পাইপলাইনের জন্য ভূমি বরাদ্দ ও রিসিভ ট্যাঙ্ক নির্মাণ করেছি। পার্বতীপুর শহরের অদূরে রেল হেড ডিপোর পাশে ৬ দশমিক ৮০ একর জমিতে রিসিপ্ট টার্মিনালটি (আরটি) নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ করেন মেসার্স দীপন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড এবং ওয়েল ডিপোর কাজ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাইপ লাইনার্স লিমিটেড। ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন সংস্থা নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথভাবে কাজটি বাস্তবায়ন করেছেন।

এর আগে ১০ মার্চ প্রকল্প উদ্বোধনের রিসিভ টার্মিনাল পরিদর্শন আসেন বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়ইরুজ্জামান মজুমদার, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জরেন্দ্র নাথ ও চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।

পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিপিসির চেয়ারম্যান একে আজাদ জানিয়েছিলেন, রিসিভ টার্মিনালের কন্ট্রোল রুমটি সবচেয়ে অত্যাধুনিক, কম্পিউটারাইজ ও অটোমেটেড। যা যুক্ত হেড অফিসের সঙ্গে। দপ্তরে বসেই মোবাইলে পাইপলাইনের তেলের পরিস্থিতি দেখতে পারবেন। মাঠ পর্যায়ে পাইপলাইনের কেউ ক্ষতির চেষ্টা করলে তা কন্ট্রোল রুমে ধরা পড়বে। পাইপলাইনের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অংশে ১২৬ কিলোমিটার দূরত্বে প্রতি ৩০ কিলোমিটারে ৫টি এসভি স্টেশন (সেকশনালইজিং ভালভ) স্থাপন করা হয়েছে। আমরা ভারতকে যে মানের নমুনা দিয়েছি সেভাবেই ১০ পিপিএম উন্নতমানের রিফাইন ডিজেল আসবে। উত্তরের ১৬ জেলায় নিরবচ্ছিন্নভাবে ও সারা বছর ডিজেল সরবরাহ রাখতেই এই ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ভূমিকা রাখবে। আগে খুলনা ও চট্রগ্রাম থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলে তেল পরিবহনের তেল আসতে সময় লাগতো ৬-৭ দিন। সাশ্রয়ী উপায়ে দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জ¦ালানি সরবরাহে এটি একটি মাইলফলক হবে বলে মন্তব্য করেন। পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি করা ডিজেল সংরক্ষণের জন্য পার্বতীপুর রিসিভ টার্মিনাল সাইডে ২৯ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি বাফার ডিপো নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার মেট্রিক টন জ¦ালানি মজুদের সক্ষমতা রয়েছে।