প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কুবি শিক্ষার্থীদের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) তিন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও হামলায় ইন্ধনদাতার অভিযোগে প্রক্টর অপসারণসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে গানে গানে প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঘটনার ৯ দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেয়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।

এছাড়া, আগামী রবিবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রক্টর নিজ থেকে অব্যাহত না নেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে বলে জানান আন্দোলনের মুখপাত্র জাহিদুল ইসলাম ।

গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে ‘কনসার্ট ফর জাস্টিস’ নামে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা করেন।

আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমাম হোসেন মাসুম বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে আজকের এই কর্মসূচি। ৯ দিন অতিবাহিত হয়েছে এখনও প্রশাসন কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

এদিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে আন্দোলনকারীদেরকে অনুষ্ঠান আয়োজনে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রক্টরের বিরুদ্ধে। সেসময় তার সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও মঞ্চ স্থাপনের জায়গায় মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে মঞ্চ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্যাম্পাস অংশের ছাত্রলীগ নেতারা। যদিও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা তাদের আয়োজন চালিয়ে গেছেন।

বাধা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, তাদেরকে কেউ কোন বাধা দেয়নি, শুধু বলা হয়েছিল যে আপনারা প্রোগ্রাম করেন তবে রাস্তা ব্লক করবেন না।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাস স্থানীয় যুবদল নেতা ও তার অনুসারীদের নিয়ে ৩ ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা চালায়। এছাড়া, সরাসরি বিভিন্ন সংঘর্ষে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠে প্রক্টরের বিরুদ্ধে। এতে ক্যাম্পাস ফের উত্তাপ্ত হয়।

শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩ , ০৪ চৈত্র ১৪২৯, ২৫ শবান ১৪৪৪

প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা কুবি শিক্ষার্থীদের

প্রতিনিধি, কুবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) তিন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও হামলায় ইন্ধনদাতার অভিযোগে প্রক্টর অপসারণসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে গানে গানে প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঘটনার ৯ দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেয়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।

এছাড়া, আগামী রবিবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রক্টর নিজ থেকে অব্যাহত না নেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে বলে জানান আন্দোলনের মুখপাত্র জাহিদুল ইসলাম ।

গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে ‘কনসার্ট ফর জাস্টিস’ নামে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা করেন।

আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমাম হোসেন মাসুম বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে আজকের এই কর্মসূচি। ৯ দিন অতিবাহিত হয়েছে এখনও প্রশাসন কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

এদিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে আন্দোলনকারীদেরকে অনুষ্ঠান আয়োজনে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রক্টরের বিরুদ্ধে। সেসময় তার সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও মঞ্চ স্থাপনের জায়গায় মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে মঞ্চ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্যাম্পাস অংশের ছাত্রলীগ নেতারা। যদিও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা তাদের আয়োজন চালিয়ে গেছেন।

বাধা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, তাদেরকে কেউ কোন বাধা দেয়নি, শুধু বলা হয়েছিল যে আপনারা প্রোগ্রাম করেন তবে রাস্তা ব্লক করবেন না।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাস স্থানীয় যুবদল নেতা ও তার অনুসারীদের নিয়ে ৩ ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা চালায়। এছাড়া, সরাসরি বিভিন্ন সংঘর্ষে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠে প্রক্টরের বিরুদ্ধে। এতে ক্যাম্পাস ফের উত্তাপ্ত হয়।