কেশবপুরে বৈশাখী ঝড়ে ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি

শুক্রবার গভীর রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে উঠতি ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ খেতের ভূট্টা গাছ ঝড়ে হেলে পড়েছে। এতে কৃষকরা ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে গত কয়েক বছর ধরে মশুরি, গম ও খেসারির ফলন বিপর্যয় ঘটছে। যে কারণে কৃষকরা এসব ফসল আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ঝুঁকে পড়ে ভুট্টা আবাদের দিকে। বৈশ্বিক প্রভাবে বর্তমান ভুট্টার বাজারমূল্য অনেক বেশি। এছাড়া ভুট্টা খামারের গরু ও পোল্ট্রির প্রধান খাদ্য। এসব বিবেচনা করে কৃষকরা ভুট্টার আবাদ করে। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কিছু কিছু কৃষক ব্যক্তি উদ্যোগে ও উপজেলা কৃষি বিভাগের প্লট প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভুট্টার আবাদ হয়। এরমধ্যে উপজেলার মজিদপুর, হাসানপুর, সাগরদাঁড়ি ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে ভুট্টার আবাদ হয়েছে বেশি। কৃষকদের নীবিড় পরিচর্যায় প্রতিটি গাছে সবেমাত্র ভুট্টার মোচা বের হচ্ছে। অনেক কৃষক ভুট্টা চুরিরোধে খেতের পাশে টংঘর বেঁধে রাত জেগে পাহারা ব্যবস্থা করেছে। আর কিছুদিন পরেই কৃষকদের কাক্সিক্ষত ফসল ঘরে উঠবে। কৃষক যখন এমন স্বপ্নে বিভোর তখনই গত ১৭ মার্চ গভীর রাতের কাল বৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে ভুট্টা গাছ খেতে হেলে পড়ে। অনেক খেতে পানি জমে আছে। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে।

উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নিজামউদ্দীন সরদার বলেন, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে নিজ উদ্যোগে তিনি এক বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেন। এ পর্যন্ত তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। সবাই পরিচর্যা শেষে যখন ফসল ঘরে উঠবে ঠিক এমন সময় ঝড়ে তার খেতের অর্ধেক ভূট্টা গাছ হেলে পড়েছে। হেলে পড়া বুট্টা গাছে দানা পুষ্ট হয় না। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ভুট্টা একটি লাভজনক ফসল। চলতি বছর এ উপজেলায় ৯৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কূষকরা ভালো ফলনের আশা করছিলেন। গতকালের ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু কিছু খেতের ভুট্টা গাছ হেলে পড়েছে। এতে শতকরা ৫ ভাগ ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে অনেক দিনপর স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ায় অন্যান্য ফসলের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।

রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩ , ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ২৬ শবান ১৪৪৪

কেশবপুরে বৈশাখী ঝড়ে ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)

image

কেশবপুর (যশোর) : ঝড়ে মাটিতে নুয়ে পড়েছে নিজাম সরদারের ভুট্টা খেত -সংবাদ

শুক্রবার গভীর রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে উঠতি ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ খেতের ভূট্টা গাছ ঝড়ে হেলে পড়েছে। এতে কৃষকরা ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে গত কয়েক বছর ধরে মশুরি, গম ও খেসারির ফলন বিপর্যয় ঘটছে। যে কারণে কৃষকরা এসব ফসল আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ঝুঁকে পড়ে ভুট্টা আবাদের দিকে। বৈশ্বিক প্রভাবে বর্তমান ভুট্টার বাজারমূল্য অনেক বেশি। এছাড়া ভুট্টা খামারের গরু ও পোল্ট্রির প্রধান খাদ্য। এসব বিবেচনা করে কৃষকরা ভুট্টার আবাদ করে। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কিছু কিছু কৃষক ব্যক্তি উদ্যোগে ও উপজেলা কৃষি বিভাগের প্লট প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভুট্টার আবাদ হয়। এরমধ্যে উপজেলার মজিদপুর, হাসানপুর, সাগরদাঁড়ি ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে ভুট্টার আবাদ হয়েছে বেশি। কৃষকদের নীবিড় পরিচর্যায় প্রতিটি গাছে সবেমাত্র ভুট্টার মোচা বের হচ্ছে। অনেক কৃষক ভুট্টা চুরিরোধে খেতের পাশে টংঘর বেঁধে রাত জেগে পাহারা ব্যবস্থা করেছে। আর কিছুদিন পরেই কৃষকদের কাক্সিক্ষত ফসল ঘরে উঠবে। কৃষক যখন এমন স্বপ্নে বিভোর তখনই গত ১৭ মার্চ গভীর রাতের কাল বৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে ভুট্টা গাছ খেতে হেলে পড়ে। অনেক খেতে পানি জমে আছে। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে।

উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নিজামউদ্দীন সরদার বলেন, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে নিজ উদ্যোগে তিনি এক বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেন। এ পর্যন্ত তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। সবাই পরিচর্যা শেষে যখন ফসল ঘরে উঠবে ঠিক এমন সময় ঝড়ে তার খেতের অর্ধেক ভূট্টা গাছ হেলে পড়েছে। হেলে পড়া বুট্টা গাছে দানা পুষ্ট হয় না। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ভুট্টা একটি লাভজনক ফসল। চলতি বছর এ উপজেলায় ৯৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কূষকরা ভালো ফলনের আশা করছিলেন। গতকালের ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু কিছু খেতের ভুট্টা গাছ হেলে পড়েছে। এতে শতকরা ৫ ভাগ ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে অনেক দিনপর স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ায় অন্যান্য ফসলের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।