বাংলাদেশের উন্নয়নে আরও গতি এনে দেবে : মোদি

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে আজ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থেকে এই পাইপলাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এর উদ্বোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত।

আরও সন্তুষ্টির বিষয় হচ্ছে, করোনা মহামারীর সময়েও এই প্রকল্পের কাজ চলমান ছিল। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন হাইস্পিড ডিজেল পৌঁছানো যাবে।

তিনি বলেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ খরচ তো কমবেই, একই সঙ্গে এই সরবরাহে কার্বন নিঃসরণও কম হবে। বিশ্বস্ত ডিজেল সরবরাহ কৃষিক্ষেত্রের জন্য লাভজনক হবে। স্থানীয় ব্যবসাও এর মাধ্যমে লাভবান হবে। মোদি বলেন, আজকের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অনেক উন্নত অর্থ ব্যবস্থাও টিকে থাকার লড়াই করছে। এই কারণে আজকের আয়োজনের মহত্ত্ব আরও বেশি। গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘এতে প্রত্যেক ভারতীয় গর্বিত। আমরা আনন্দিত যে, আমরা বাংলাদেশের এই উন্নয়ন যাত্রায় অবদান রাখতে পেরেছি। আমার বিশ্বাস, এই পাইপলাইন বাংলাদেশের উন্নয়নে আরও গতি এনে দেবে এবং ২ দেশের মধ্যে বেড়ে চলা যোগাযোগের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

যোগাযোগের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে ২ দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমার মনে আছে, বেশ কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেল যোগাযোগ বাড়ানোর ভিশন নিয়ে কথা বলেছিলেন। তখন থেকেই দুই দেশ মিলে এর অনেক উন্নতি করেছে। এর কারণে করোনা মহামারীর সময়েও আমরা বাংলাদেশকে অক্সিজেন পাঠাতে পেরেছি। তার এই দূরদৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই সফল। ভারত বাংলাদেশকে ১ হাজার ১০০ এর বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ারপ্লান্টের প্রথম ইউনিটও চালু হয়ে গেছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় আমরা এর উদ্বোধন করেছিলাম। এর দ্বিতীয় ইউনিটও দ্রুত চালু করার কাজও আমরা করে যাচ্ছি। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পটি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে ভিশন, তার একটি ‘উত্তম উদাহরণ’ বলেও মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকায় আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেইসঙ্গে এই প্রকল্প থেকে লাভবান হতে যাওয়া সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা’।

রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩ , ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ২৬ শবান ১৪৪৪

বাংলাদেশের উন্নয়নে আরও গতি এনে দেবে : মোদি

সংবাদ ডেস্ক

image

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে আজ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থেকে এই পাইপলাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এর উদ্বোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত।

আরও সন্তুষ্টির বিষয় হচ্ছে, করোনা মহামারীর সময়েও এই প্রকল্পের কাজ চলমান ছিল। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন হাইস্পিড ডিজেল পৌঁছানো যাবে।

তিনি বলেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ খরচ তো কমবেই, একই সঙ্গে এই সরবরাহে কার্বন নিঃসরণও কম হবে। বিশ্বস্ত ডিজেল সরবরাহ কৃষিক্ষেত্রের জন্য লাভজনক হবে। স্থানীয় ব্যবসাও এর মাধ্যমে লাভবান হবে। মোদি বলেন, আজকের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অনেক উন্নত অর্থ ব্যবস্থাও টিকে থাকার লড়াই করছে। এই কারণে আজকের আয়োজনের মহত্ত্ব আরও বেশি। গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘এতে প্রত্যেক ভারতীয় গর্বিত। আমরা আনন্দিত যে, আমরা বাংলাদেশের এই উন্নয়ন যাত্রায় অবদান রাখতে পেরেছি। আমার বিশ্বাস, এই পাইপলাইন বাংলাদেশের উন্নয়নে আরও গতি এনে দেবে এবং ২ দেশের মধ্যে বেড়ে চলা যোগাযোগের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

যোগাযোগের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে ২ দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমার মনে আছে, বেশ কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেল যোগাযোগ বাড়ানোর ভিশন নিয়ে কথা বলেছিলেন। তখন থেকেই দুই দেশ মিলে এর অনেক উন্নতি করেছে। এর কারণে করোনা মহামারীর সময়েও আমরা বাংলাদেশকে অক্সিজেন পাঠাতে পেরেছি। তার এই দূরদৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই সফল। ভারত বাংলাদেশকে ১ হাজার ১০০ এর বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ারপ্লান্টের প্রথম ইউনিটও চালু হয়ে গেছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় আমরা এর উদ্বোধন করেছিলাম। এর দ্বিতীয় ইউনিটও দ্রুত চালু করার কাজও আমরা করে যাচ্ছি। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পটি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে ভিশন, তার একটি ‘উত্তম উদাহরণ’ বলেও মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকায় আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেইসঙ্গে এই প্রকল্প থেকে লাভবান হতে যাওয়া সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা’।