মুক্তিপণ না পেয়ে ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

শাহজাদপুরে রেদোয়ান (১১) নামে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের ৩ দিন পর গত সোমবার দুপুরে থানা পুলিশ উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের যদুর বিল এলাকার ঘাস ক্ষেত থেকে নিহতের ক্ষত- বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাগর, নাঈম ও সাকোয়াত নামের ৩ যুবককে আটক করা হয়েছে। নিহত রেদোয়ান উপজেলার রতনকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের মমিরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে রেদোয়ানকে অপহরণ করা হয়। একই দিন রাতে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে শিশুটির বাবা মমিরুল ইসলামের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। অনথ্যায় রেদোয়ানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে রাতেই পিতা মমিরুল ছেলে রেদোয়ানকে বাঁচাতে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পাঠান।

এরপর থেকেই অপহরণকারীদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত রোববার রেদোয়ানের বাবা মমিরুল ইসলাম সন্দেহভাজন ৩ জনের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে রাতে থানা পুলিশ অপহরণকারী ৩ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। একপর্যায়ে আসামিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার শাহজাদপুরে সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল মজিদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান সহ পুলিশের একটি দল আসামীদের সাথে নিয়ে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের যদুর বিলের ঘাস ক্ষেত থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আসামিরা স্কুল ছাত্র রেদোয়ানকে অপহরণ ও হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আটক ৩ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা হলো, উপজেলার রতনকান্দি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সাগর (১৮), একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে নাঈম (১৭) এবং জিগারবাড়িয়া গ্রামের হালিমের ছেলে সাকোয়াত (১৯)। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ , ০৮ চৈত্র ১৪২৯, ২৯ শবান ১৪৪৪

মুক্তিপণ না পেয়ে ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

প্রতিনিধি, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জে)

শাহজাদপুরে রেদোয়ান (১১) নামে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের ৩ দিন পর গত সোমবার দুপুরে থানা পুলিশ উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের যদুর বিল এলাকার ঘাস ক্ষেত থেকে নিহতের ক্ষত- বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাগর, নাঈম ও সাকোয়াত নামের ৩ যুবককে আটক করা হয়েছে। নিহত রেদোয়ান উপজেলার রতনকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের মমিরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে রেদোয়ানকে অপহরণ করা হয়। একই দিন রাতে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে শিশুটির বাবা মমিরুল ইসলামের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। অনথ্যায় রেদোয়ানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে রাতেই পিতা মমিরুল ছেলে রেদোয়ানকে বাঁচাতে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পাঠান।

এরপর থেকেই অপহরণকারীদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত রোববার রেদোয়ানের বাবা মমিরুল ইসলাম সন্দেহভাজন ৩ জনের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে রাতে থানা পুলিশ অপহরণকারী ৩ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। একপর্যায়ে আসামিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার শাহজাদপুরে সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল মজিদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান সহ পুলিশের একটি দল আসামীদের সাথে নিয়ে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের যদুর বিলের ঘাস ক্ষেত থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আসামিরা স্কুল ছাত্র রেদোয়ানকে অপহরণ ও হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আটক ৩ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা হলো, উপজেলার রতনকান্দি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সাগর (১৮), একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে নাঈম (১৭) এবং জিগারবাড়িয়া গ্রামের হালিমের ছেলে সাকোয়াত (১৯)। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।