তারাকান্দায় ১৪১ প্রাথমিকের কমিটি নেই ১২৭টিতে, মেয়াদোত্তীর্ণ ১২৭ অ্যাডহকের

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ১৪১টি প্রাধমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে বাকি ১২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি নেই। ৬ মাসের জন্য নির্বাচিত মেয়াদ উত্তীর্ণ এডহক কমিটি দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালালো হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। আর এ অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সরাসরি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দুই কর্মকর্তা এমন অভিযোগ উঠেছে নিদিষ্ট সব বিদ্যালয় থেকেই। এ নিয়ে খোজখবর নিয়ে প্রাপ্ত তথ্যাদি রীতি মতো চাঞ্চল্যকর ই নয় নিয়মনীতি পরিপন্থী, এক্ষেত্রে সরকারে নির্দেশ এক রকম মাঠ পর্যায়ে আরেক রকম। সরকারের প্রজ্ঞাপন পরিপন্থী কার্যক্রম চরম অব্যবস্থাপনা সহ উন্নয়ন খাতের বরাদ্দের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, রাষ্টপতির আদেশক্রমে গত ৬ নভেম্বর/০১৯ তারিখের উপ-সচিব জাহানারা রহমান স্বাক্ষরিত নম্বর-৩৮.০০৮.০৩৫.০০.০০.০০৭.২০১২-৬৬৬ জারি করা প্রজ্ঞাপনে পূর্বের সকল আদেশ বাতিল করত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন কল্পে পূণর্নিতীমালা জারি করেন। প্রজ্ঞাপন মর্মে কমিটির নাম হবে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি, সদস্য সচিব, ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক সদস্য (বিদ্যুৎ শাহী) পুরুষ, মহিলা জমিদাতা, শিক্ষক প্রতিনিধি, মহিলা অভিভাবক, পুরুষ অভিভাবক, ওয়ার্ড সদস্য সব মিলিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সভাপতিকে ন্যূনতম স্নœাতক ডিগ্রী ধারি হতে হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন আরা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি নতুন যোগদান করেছেন জানিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। তবে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন বলে জানান। গত ১৯-০১-২০২৩ ইং তারিখে বিদায়ী শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফার হাকিমের সাথে টেলিফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার সময়ে ১৪টি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে জানা যায়, ১৪১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টি বিদ্যালয় বাদে ১২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেয়াদ উত্তীর্ণ এডহক কমিটি দিয়ে অবৈধ কার্যক্রম চলমান রয়েছে গত চার বছর ধরে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) কামরুল ইসলাম ৬৪টি এবং সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) সঞ্চয় কুমার বণিক ৬৩টি বিদ্যালয় নিয়ে ১২৭টি বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি দায়িত্বে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, প্রজ্ঞাপনে নির্দেশ অনুসারে এডহক কমিটি শুধু মাত্র ৬ মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য দায়বদ্ধ থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদ্বয় গত ৪ বছরেও ১২৭ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে শুধু ব্যর্থই হয়নি বছরের পর বছর ধরে বিদ্যালয়ে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রজ্ঞাপনকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ দায়িত্বে বহাল থেকে নির্দিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারে প্রতিবছর রুটিন মেইনটেনেন্স, মাইনর মেরামত, স্লিপ, ওয়াশ ব্লক, মেরামত সংঙ্কার (রাজস্ব), ইমারজেন্সি ফান্ড, প্রাক-প্রাথমিক উপকরণ খাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন বরাদ্দের কোটি টাকা ভুয়া ইস্টিমেইট, ভুয়া ভাউচারে, ভুয়া উন্নয়ন দেখিয়ে তছরুপের অভিযোগ উঠেছে এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ কর্মকর্তাদ্বয়ের সাথে কথা হলে অভিযোগ শিকার করেননি।

এ ব্যপারে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠনে প্রতিকারের দাবি উঠেছে।

বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ , ০৮ চৈত্র ১৪২৯, ২৯ শবান ১৪৪৪

তারাকান্দায় ১৪১ প্রাথমিকের কমিটি নেই ১২৭টিতে, মেয়াদোত্তীর্ণ ১২৭ অ্যাডহকের

প্রতিনিধি, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ১৪১টি প্রাধমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে বাকি ১২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি নেই। ৬ মাসের জন্য নির্বাচিত মেয়াদ উত্তীর্ণ এডহক কমিটি দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালালো হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। আর এ অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সরাসরি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দুই কর্মকর্তা এমন অভিযোগ উঠেছে নিদিষ্ট সব বিদ্যালয় থেকেই। এ নিয়ে খোজখবর নিয়ে প্রাপ্ত তথ্যাদি রীতি মতো চাঞ্চল্যকর ই নয় নিয়মনীতি পরিপন্থী, এক্ষেত্রে সরকারে নির্দেশ এক রকম মাঠ পর্যায়ে আরেক রকম। সরকারের প্রজ্ঞাপন পরিপন্থী কার্যক্রম চরম অব্যবস্থাপনা সহ উন্নয়ন খাতের বরাদ্দের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, রাষ্টপতির আদেশক্রমে গত ৬ নভেম্বর/০১৯ তারিখের উপ-সচিব জাহানারা রহমান স্বাক্ষরিত নম্বর-৩৮.০০৮.০৩৫.০০.০০.০০৭.২০১২-৬৬৬ জারি করা প্রজ্ঞাপনে পূর্বের সকল আদেশ বাতিল করত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন কল্পে পূণর্নিতীমালা জারি করেন। প্রজ্ঞাপন মর্মে কমিটির নাম হবে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি, সদস্য সচিব, ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক সদস্য (বিদ্যুৎ শাহী) পুরুষ, মহিলা জমিদাতা, শিক্ষক প্রতিনিধি, মহিলা অভিভাবক, পুরুষ অভিভাবক, ওয়ার্ড সদস্য সব মিলিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সভাপতিকে ন্যূনতম স্নœাতক ডিগ্রী ধারি হতে হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন আরা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি নতুন যোগদান করেছেন জানিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। তবে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন বলে জানান। গত ১৯-০১-২০২৩ ইং তারিখে বিদায়ী শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফার হাকিমের সাথে টেলিফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার সময়ে ১৪টি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে জানা যায়, ১৪১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টি বিদ্যালয় বাদে ১২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেয়াদ উত্তীর্ণ এডহক কমিটি দিয়ে অবৈধ কার্যক্রম চলমান রয়েছে গত চার বছর ধরে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) কামরুল ইসলাম ৬৪টি এবং সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) সঞ্চয় কুমার বণিক ৬৩টি বিদ্যালয় নিয়ে ১২৭টি বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি দায়িত্বে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, প্রজ্ঞাপনে নির্দেশ অনুসারে এডহক কমিটি শুধু মাত্র ৬ মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য দায়বদ্ধ থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদ্বয় গত ৪ বছরেও ১২৭ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে শুধু ব্যর্থই হয়নি বছরের পর বছর ধরে বিদ্যালয়ে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রজ্ঞাপনকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ দায়িত্বে বহাল থেকে নির্দিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারে প্রতিবছর রুটিন মেইনটেনেন্স, মাইনর মেরামত, স্লিপ, ওয়াশ ব্লক, মেরামত সংঙ্কার (রাজস্ব), ইমারজেন্সি ফান্ড, প্রাক-প্রাথমিক উপকরণ খাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন বরাদ্দের কোটি টাকা ভুয়া ইস্টিমেইট, ভুয়া ভাউচারে, ভুয়া উন্নয়ন দেখিয়ে তছরুপের অভিযোগ উঠেছে এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ কর্মকর্তাদ্বয়ের সাথে কথা হলে অভিযোগ শিকার করেননি।

এ ব্যপারে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠনে প্রতিকারের দাবি উঠেছে।