সিরাজগঞ্জে জেলায় বোরো ধানের খেতে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি। ধানি জমিতে গাছের ডাল, দড়ি, বাঁশের কঞ্চি পোঁতা হয়। সেগুলোর ওপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা বসে ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার এই পার্চিং পদ্ধতি ফসলের পোকা দমনের জন্য কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধব।
এই পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন খরচ ও কীটনাশকের ব্যবহার কমে পাওয়ায় এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জেলার কৃষকদের মাঝে। অনেক কৃষক বোরো ফসলের খেতে কীটনাশক পরিহার করে পোকা দমনে সহজ ও লাভজনক পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করছেন। জেলার কৃষকরা দুই ধরনের পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকরা ডেড পার্চিং ও লাইভ পার্চিং। মরা ডালপালা পুঁতে দিয়ে ডেড পার্চিং আর জীবন্ত ধইঞ্চা লাইভ পার্চিং।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কৃষক মজনু, সালাম, আসলাম জানায়, তারা তাদের বোরো ধানের জমিতে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। এতে খেতের পোকা দমনে খুব একটা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। তারা আরও জানায় বিঘা প্রতি জমিতে তারা প্রায় ৮টি বাঁশের আগা, কঞ্চি, ডাল পুঁতে দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার সাদাত জানান, এইট একটি জৈবিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহারে ডাল বা কঞ্চির ওপর পাখি বসতে পারে যার ফলে ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফেলে।
ফলে কৃষকদের পোকা দমনের জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হয় না। এতে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয় পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন এই কাক্সিক্ষত বৃষ্টি ধানসহ অন্যান্য ফসলের উপকার হয়েছে। তিনি জানান জেলায় জেলায় ১ লাখ ৪১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জমিতে সার ব্যবহারের পাশাপাশি পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে ফসল উৎপাদন বাড়বে।
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ , ০৮ চৈত্র ১৪২৯, ২৯ শবান ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে জেলায় বোরো ধানের খেতে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি। ধানি জমিতে গাছের ডাল, দড়ি, বাঁশের কঞ্চি পোঁতা হয়। সেগুলোর ওপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা বসে ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার এই পার্চিং পদ্ধতি ফসলের পোকা দমনের জন্য কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধব।
এই পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন খরচ ও কীটনাশকের ব্যবহার কমে পাওয়ায় এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জেলার কৃষকদের মাঝে। অনেক কৃষক বোরো ফসলের খেতে কীটনাশক পরিহার করে পোকা দমনে সহজ ও লাভজনক পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করছেন। জেলার কৃষকরা দুই ধরনের পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকরা ডেড পার্চিং ও লাইভ পার্চিং। মরা ডালপালা পুঁতে দিয়ে ডেড পার্চিং আর জীবন্ত ধইঞ্চা লাইভ পার্চিং।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কৃষক মজনু, সালাম, আসলাম জানায়, তারা তাদের বোরো ধানের জমিতে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। এতে খেতের পোকা দমনে খুব একটা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। তারা আরও জানায় বিঘা প্রতি জমিতে তারা প্রায় ৮টি বাঁশের আগা, কঞ্চি, ডাল পুঁতে দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার সাদাত জানান, এইট একটি জৈবিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহারে ডাল বা কঞ্চির ওপর পাখি বসতে পারে যার ফলে ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফেলে।
ফলে কৃষকদের পোকা দমনের জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হয় না। এতে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয় পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন এই কাক্সিক্ষত বৃষ্টি ধানসহ অন্যান্য ফসলের উপকার হয়েছে। তিনি জানান জেলায় জেলায় ১ লাখ ৪১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জমিতে সার ব্যবহারের পাশাপাশি পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে ফসল উৎপাদন বাড়বে।