রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে : ব্রাশফায়ারে নিহত ২

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে হত্যাকান্ডের ঘটনা বাড়ছে। শিবির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন আরসা। রোহিঙ্গা শিবিরে আবারও ২ জনকে হত্যার পর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নিরাপত্তা জোরদার করেছে। রোহিঙ্গা হত্যার পর সেখানে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এসব ঘটনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গারা। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো। এ নিয়ে জানুয়ারি থেকে মার্চের ২১ তারিখ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৮টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আর এ হত্যাকান্ডে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানায় এপিবিএন।

তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে উখিয়ার একটি ক্যাম্পে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ২ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও একজন। গতকাল দুপুর ১টার দিকে উখিয়ার তাজনিমারখোলা এলাকার ১৩ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।

নিহতরা হলেন ১৩ নম্বর ক্যাম্পের জি ব্লকের বেসা আলীর ছেলে মো. রফিক (৩২), একই ক্যাম্পের মাহমুদ হাসানের ছেলে মো. রফিক (৩০)। আহত হয়েছেন একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মো. ইয়াছিন (২৮)। গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. ইয়াসিনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ও আহত রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ১৩-এর জি/৪ ব্লকের বাসিন্দা।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ক্যাম্প ১৩-তে একদল দুষ্কৃতকারী দুপুর ১টার দিকে এসে রফিকের ঘরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলে রফিক মারা যান। আর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন আরেক রফিককে। এ ঘটনায় অন্য রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হলে তাকে কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ সময় মো. রফিকের (৩২) বুকের বাম পাশে গুলি লাগে। তাকে পাশের এনজিও হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্য রফিকের (৩০) ডান চোখের উপর গুলি লেগে মাথার পিছন দিয়ে বের হয়ে যায় এবং বাম হাতের কব্জির উপর গুলি লাগে। তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।

এছাড়া ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রোহিঙ্গা নেতারা এসব ঘটনার জন্য জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসাকে দায়ী করছেন। তারা বলেছেন, নিরাপত্তহীনতার কারণে রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকে এখন শিবিরের বাইরে বসবাস করছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তৎপর দিনে সরকারি বাহিনী, রাতে সশস্ত্র বাহিনী।

জানা গেছে, কক্সবাজারে টেকনাফ এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিচালনায় সহায়তার জন্য প্রতিটি শিবিরে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নির্বাচন করা হয়। যাদেরকে বলা হয় মাঝি। ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের টার্গেট করে হত্যা করছে এমন দাবি সাধারণ রোহিঙ্গাদের। রোহিঙ্গা অনেক নেতা ধারণা করছেন, এই দু’জনকে টার্গেট করেই হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ মনে করেন এসব হত্যাকান্ড ঘটানো হচ্ছে রোহিঙ্গা শিবিরে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য থেকে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকান্ডগুলো ঘটাচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা। তারা (দুষ্কৃতকারীরা) তাদের প্রভাব এবং আধিপত্য বিস্তারের জন্য এগুলো করছে যাতে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং অপহরণের মতো কর্মকান্ড চালিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারে। এটাই তাদের মূল লক্ষ্য।

রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে আক্রমণ, হত্যাকান্ড বা সন্ত্রাসী তৎপরতার খবর সংবাদপত্রে শিরোনাম হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। রোহিঙ্গা নেতাদের হিসাবে গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আক্রমণকারীরা টার্গেট করছে বিভিন্ন শিবিরের রোহিঙ্গা মাঝি বা নেতাদের। সেজন্য রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শিবিরের বাইরে নিরাপদে বাসা ভাড়া করে থাকছেন।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার শিউলী। তিনি শিবিরগুলোতে কাজ করতে গিয়ে দেখেছেন শিবিরগুলোতে অস্থিরতা বাড়ছে এবং নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে।

শিউলী বলেন, দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী এবং এনজিওদের তৎপরতা থাকে। কিন্তু দিন শেষে অন্ধকার নামলেই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর তৎপরতা শুরু হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দিনে পরিস্থিতি শান্ত হলেও সন্ধ্যার পর থেকে অন্য রকম একটা পরিবেশ তৈরি হয়। রোহিঙ্গা শিবিরে উগ্রবাদী কিছু লোক সক্রিয়।

রোহিঙ্গাদের সাধারণ জনগোষ্ঠী আসলে চায় যত দ্রুত সম্ভব একটা শান্তিপূর্ণ পন্থায় তারা যেন নিজ দেশ মায়ানমারে ফেরত যেতে পারে।

যখনই সাধারণ রোহিঙ্গারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরোধিতা করতে চায় বা নিজেরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, তখনই আরসা আক্রমণ করে। এছাড়া অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোও সাধারণ রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে বলেন জানান নূর খান নামে এক রোহিঙ্গা।

পুলিশ কর্মকার্তারা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে। শিবিরগুলোতে প্রতিটি হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

এছাড়া তারা দাবি করেন, সাধারণ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ , ০৮ চৈত্র ১৪২৯, ২৯ শবান ১৪৪৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে : ব্রাশফায়ারে নিহত ২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে হত্যাকান্ডের ঘটনা বাড়ছে। শিবির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন আরসা। রোহিঙ্গা শিবিরে আবারও ২ জনকে হত্যার পর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নিরাপত্তা জোরদার করেছে। রোহিঙ্গা হত্যার পর সেখানে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এসব ঘটনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গারা। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো। এ নিয়ে জানুয়ারি থেকে মার্চের ২১ তারিখ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৮টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আর এ হত্যাকান্ডে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানায় এপিবিএন।

তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে উখিয়ার একটি ক্যাম্পে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ২ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও একজন। গতকাল দুপুর ১টার দিকে উখিয়ার তাজনিমারখোলা এলাকার ১৩ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।

নিহতরা হলেন ১৩ নম্বর ক্যাম্পের জি ব্লকের বেসা আলীর ছেলে মো. রফিক (৩২), একই ক্যাম্পের মাহমুদ হাসানের ছেলে মো. রফিক (৩০)। আহত হয়েছেন একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মো. ইয়াছিন (২৮)। গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. ইয়াসিনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ও আহত রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ১৩-এর জি/৪ ব্লকের বাসিন্দা।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ক্যাম্প ১৩-তে একদল দুষ্কৃতকারী দুপুর ১টার দিকে এসে রফিকের ঘরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলে রফিক মারা যান। আর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন আরেক রফিককে। এ ঘটনায় অন্য রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হলে তাকে কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ সময় মো. রফিকের (৩২) বুকের বাম পাশে গুলি লাগে। তাকে পাশের এনজিও হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্য রফিকের (৩০) ডান চোখের উপর গুলি লেগে মাথার পিছন দিয়ে বের হয়ে যায় এবং বাম হাতের কব্জির উপর গুলি লাগে। তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।

এছাড়া ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রোহিঙ্গা নেতারা এসব ঘটনার জন্য জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসাকে দায়ী করছেন। তারা বলেছেন, নিরাপত্তহীনতার কারণে রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকে এখন শিবিরের বাইরে বসবাস করছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তৎপর দিনে সরকারি বাহিনী, রাতে সশস্ত্র বাহিনী।

জানা গেছে, কক্সবাজারে টেকনাফ এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিচালনায় সহায়তার জন্য প্রতিটি শিবিরে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নির্বাচন করা হয়। যাদেরকে বলা হয় মাঝি। ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের টার্গেট করে হত্যা করছে এমন দাবি সাধারণ রোহিঙ্গাদের। রোহিঙ্গা অনেক নেতা ধারণা করছেন, এই দু’জনকে টার্গেট করেই হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ মনে করেন এসব হত্যাকান্ড ঘটানো হচ্ছে রোহিঙ্গা শিবিরে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য থেকে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকান্ডগুলো ঘটাচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা। তারা (দুষ্কৃতকারীরা) তাদের প্রভাব এবং আধিপত্য বিস্তারের জন্য এগুলো করছে যাতে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং অপহরণের মতো কর্মকান্ড চালিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারে। এটাই তাদের মূল লক্ষ্য।

রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে আক্রমণ, হত্যাকান্ড বা সন্ত্রাসী তৎপরতার খবর সংবাদপত্রে শিরোনাম হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। রোহিঙ্গা নেতাদের হিসাবে গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আক্রমণকারীরা টার্গেট করছে বিভিন্ন শিবিরের রোহিঙ্গা মাঝি বা নেতাদের। সেজন্য রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শিবিরের বাইরে নিরাপদে বাসা ভাড়া করে থাকছেন।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার শিউলী। তিনি শিবিরগুলোতে কাজ করতে গিয়ে দেখেছেন শিবিরগুলোতে অস্থিরতা বাড়ছে এবং নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে।

শিউলী বলেন, দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী এবং এনজিওদের তৎপরতা থাকে। কিন্তু দিন শেষে অন্ধকার নামলেই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর তৎপরতা শুরু হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দিনে পরিস্থিতি শান্ত হলেও সন্ধ্যার পর থেকে অন্য রকম একটা পরিবেশ তৈরি হয়। রোহিঙ্গা শিবিরে উগ্রবাদী কিছু লোক সক্রিয়।

রোহিঙ্গাদের সাধারণ জনগোষ্ঠী আসলে চায় যত দ্রুত সম্ভব একটা শান্তিপূর্ণ পন্থায় তারা যেন নিজ দেশ মায়ানমারে ফেরত যেতে পারে।

যখনই সাধারণ রোহিঙ্গারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরোধিতা করতে চায় বা নিজেরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, তখনই আরসা আক্রমণ করে। এছাড়া অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোও সাধারণ রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে বলেন জানান নূর খান নামে এক রোহিঙ্গা।

পুলিশ কর্মকার্তারা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে। শিবিরগুলোতে প্রতিটি হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

এছাড়া তারা দাবি করেন, সাধারণ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।