সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে আজ শক্তিশালী রাশিয়ার মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়ামে বিকেল সোয়া তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

টুর্নামেন্টে ইতোমধ্যে একটি ম্যাচে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। গত সোমবার উদ্বোধনী দিনে সফরকারী ভুটানকে ৮-১ গোলে হারিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী রুমা আক্তারের দল। অন্যদিকে রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে রাশিয়া।

সাধারণত সাফের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ নারী দলের গায়ে ফেভারিট তকমা লাগানো থাকলেও এবার সেটি আর থাকছে না। কারণ শক্তির বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রুশ মেয়েরা। ইউরোপের উন্নত ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাশিয়ান দলটি ফিফা র‌্যাংকিংয়েও ঢের এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের চেয়ে। বাংলাদেশের র‌্যাংকিং যেখানে ১৪০তম সেখানে রাশিয়ান নারী দলের অবস্থান ২৬তম। যে কারণে দলটির সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে বাংলাদেশের নারীরা।

ম্যাচটি নিয়ে নিজেদের উচ্ছাসের কথা ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক রুমা আক্তার ও সহ-অধিনায়ক জয়নব বিবি রিতা। গতকাল তারা বলেছেন, ইউরোপের দল রাশিয়ার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়ে তারা খুবই রোমাঞ্চিত। ম্যাচটি খেলার জন্য তারা মুখিয়ে আছেন।

রুমা বলেন, ‘ইউরোপের দল রাশিয়া। ওদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করছি ভালো কিছু করবো। ফুটবলে জয় পরাজয় আছে। আমরা লড়াই করবো, জেতার চেষ্টা করবো।’

কোচ ছোটনের মতে রাশিয়ার বিপক্ষে হারানোর কিছু নেই বাংলাদেশের। জিতলে হবে বিশাল অর্জন। তিনি বলেন, রাশিয়াকে টুর্নামেন্টে অন্তর্ভুক্ত করেছে বলেই আমরা তাদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। কোন ইউরোপিয়ার দলের বিপক্ষে প্রথম খেলতে যাচ্ছি। অন্যথায় এমন সুযোগ পাওয়া মুশকিল।’

রাশিয়ার কোচ ইয়েলিনা মেদভেদ প্রতিযোগিতা শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে জানান, কেবল ভারত ছাড়া টুর্নামেন্টের বাকি দলগুলো সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই। তবে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফেরার আশাবাদ জানিয়েছেন ঠিকই। বলেন, অবশ্যই আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। প্রতিটা দলই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। রাশিয়ায় শিরোপা নিয়ে যেতে চাই।

আগামী ২৪ মার্চ ভারত এবং ২৮ মার্চ নেপালের মোকাবিলা করবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

গত সোমবার বাংলাদেশ বড় জয়ে মিশন শুরু করেছে। ভুটানের বিপক্ষে ৮-১ গোলে জয়ী ম্যাচে স্বগতিদের হয়ে গোল করেন তৃষ্ণা রানী ২টি, থুইনু মারমা ২টি, সুলতানা আক্তার, সুরভি আখন্দ প্রীতি, মুন্নি আক্তার ও সাগরিকা ১টি করে গোল করেন। ছয় গোলে পিছিয়ে পরে ভুটান ব্যবধান কমায়।