চাঁদপুর শহরে কিছুতেই থামছে না কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য। বরং একের পর এক কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। তাদের হামলায় পঙ্গুত্বসহ হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।এবারে চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ও জনসমাগমপূর্ণ রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের দোকান কর্মচারীর গলায় ছুরিকাঘাত করল একদল কিশোর গ্যাং। ধারালো অস্ত্র দিয়র ওই দোকান কর্মচারীর গলার এক পাশের বিশাল অংশ কেটে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউ মর্ডান সু ফেয়ার নামের দোকানে ঢুকে এ ঘটনা ঘটানো হয়। এতে করে সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয় ওই দোকানের কর্মচারী পারভেজ। সে শহরের বিষ্ণুদী মিজি বাড়ি লিটন মিজির ছেলে।
নিউ মর্ডান সু ফেয়ার দোকানের পরিচালক নাজমুল বলেন, একদল সঙ্গবদ্ধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমার দোকানে ঢুকে এলোপাতাড়ি আমার কর্মচারীকে কুপিয়েছে। পরে স্থানীয় আশপাশের দোকানদাররা ধাওয়া দিয়ে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের একজনকে গণপিটুনি দিয়ে আটক করে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে ওই সন্ত্রাসীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আমরা ওই সন্ত্রাসীসহ ওদের সবার বিচার দাবী করছি। চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির মৃধাসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, অস্ত্রসহ আটককৃত ওই সন্ত্রাসীর নাম নায়েব। সে পালপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে বলে জানতে পেরেছি। এর আগেও সে এই ধরনের কোপাকোপি করে মামলার আসামী হয়েছে।
আমরা তারসহ পুরো গ্যাংয়ের শাস্তির দাবী করছি।যদিও মার্কেটের ব্যবসায়ীদের হাতে আটক হওয়া নায়েব নামের ওই যুবকের দাবী, তার সাথীদের কয়েকজনকে কোপিয়েছে পারভেজ ও তার সঙ্গীরা। তাই সে তার বন্ধুদের সাথে প্রতিশোধ নিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ ঘটনায় জড়িয়ে যায়। কিন্তু এটা কি সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ নাকি অন্যকিছু এ প্রসঙ্গে সে কিছুই বলেনি।যদিও চিকিৎসারত অবস্থায় আহত পারভেজ নামের ওই দোকান কর্মচারী বলেন, আমি এদের কাউকেই চিনি না। কখনো দেখিওনি।
এ ঘটনায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ওমর ফারুক সবুজ বলেন, হকার্স মার্কেটের কোপ খাওয়া পারভেজ নামের ওই রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আমরা ঢাকা রেফার করে দিয়েছি। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশীদ বলেন, মার্কেটে ঢুকে দোকানের এক কর্মচারীকে কোপানের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা একজনকে আটক করে খবর দিলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নিয়েছি।
পরবর্তী আইনগন ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে চাঁদপুর শহরে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছে সুধী মহল ও শান্তি প্রিয় জনগণ।
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ , ০৯ চৈত্র ১৪২৯, ৩০ শবান ১৪৪৪
সংবাদদাতা, চাঁদপুর
চাঁদপুর শহরে কিছুতেই থামছে না কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য। বরং একের পর এক কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। তাদের হামলায় পঙ্গুত্বসহ হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।এবারে চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ও জনসমাগমপূর্ণ রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের দোকান কর্মচারীর গলায় ছুরিকাঘাত করল একদল কিশোর গ্যাং। ধারালো অস্ত্র দিয়র ওই দোকান কর্মচারীর গলার এক পাশের বিশাল অংশ কেটে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউ মর্ডান সু ফেয়ার নামের দোকানে ঢুকে এ ঘটনা ঘটানো হয়। এতে করে সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয় ওই দোকানের কর্মচারী পারভেজ। সে শহরের বিষ্ণুদী মিজি বাড়ি লিটন মিজির ছেলে।
নিউ মর্ডান সু ফেয়ার দোকানের পরিচালক নাজমুল বলেন, একদল সঙ্গবদ্ধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমার দোকানে ঢুকে এলোপাতাড়ি আমার কর্মচারীকে কুপিয়েছে। পরে স্থানীয় আশপাশের দোকানদাররা ধাওয়া দিয়ে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের একজনকে গণপিটুনি দিয়ে আটক করে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে ওই সন্ত্রাসীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আমরা ওই সন্ত্রাসীসহ ওদের সবার বিচার দাবী করছি। চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির মৃধাসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, অস্ত্রসহ আটককৃত ওই সন্ত্রাসীর নাম নায়েব। সে পালপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে বলে জানতে পেরেছি। এর আগেও সে এই ধরনের কোপাকোপি করে মামলার আসামী হয়েছে।
আমরা তারসহ পুরো গ্যাংয়ের শাস্তির দাবী করছি।যদিও মার্কেটের ব্যবসায়ীদের হাতে আটক হওয়া নায়েব নামের ওই যুবকের দাবী, তার সাথীদের কয়েকজনকে কোপিয়েছে পারভেজ ও তার সঙ্গীরা। তাই সে তার বন্ধুদের সাথে প্রতিশোধ নিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ ঘটনায় জড়িয়ে যায়। কিন্তু এটা কি সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ নাকি অন্যকিছু এ প্রসঙ্গে সে কিছুই বলেনি।যদিও চিকিৎসারত অবস্থায় আহত পারভেজ নামের ওই দোকান কর্মচারী বলেন, আমি এদের কাউকেই চিনি না। কখনো দেখিওনি।
এ ঘটনায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ওমর ফারুক সবুজ বলেন, হকার্স মার্কেটের কোপ খাওয়া পারভেজ নামের ওই রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আমরা ঢাকা রেফার করে দিয়েছি। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশীদ বলেন, মার্কেটে ঢুকে দোকানের এক কর্মচারীকে কোপানের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা একজনকে আটক করে খবর দিলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নিয়েছি।
পরবর্তী আইনগন ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে চাঁদপুর শহরে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছে সুধী মহল ও শান্তি প্রিয় জনগণ।