ডুমুরিয়ার গার্ডার ব্রিজ ও টিপনা সিংগা সড়ক নির্মাণকাজে ধীরগতি

খুলনার ডুমুরিয়ায় গার্ডার ব্রিজসহ টিপনা-সিংগা সড়ক নির্মাণে সময় ধরা ছিল এক বছর। তবে তা পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারের লোকজন চলে যাওয়ায় কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। তারপরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৮২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

এদিকে কাজ বন্ধ রাখায় সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিলের চিঠি দিয়েছে উপজেলা সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ অবস্থায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ছিল। পাশাপাশি ফান্ডেরও সংকট ছিল। সে কারণেই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে।

রবিউল বলেন, কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ শতাংশ। কাজ বন্ধ রাখায় সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিলের চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠি পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করেছে। আলোচনার মাধ্যমে ঠিকাদার ফের কাজ আরম্ভের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কাজ শুরু হলে দ্রুত সমাপ্তে মনিটরিং বাড়ানো হবে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সিংগা নদীর দক্ষিণ পাশে টিপনা গ্রামে অন্তত দুই লাখ মানুষ বসবাস করেন।

উত্তরপাশে সিংগা গ্রামে বসবাস করে অন্তত এক লাখ মানুষ। এ বিপুল সংখ্যক মানুষের যোগাযোগ ও কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ সহজ করতে সিংগা নদীতে গার্ডার ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণে এ প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার।

ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬০ মিটার লম্বা ব্রিজ ও ৯০৫ মিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আকন ট্রেডিং এবং মাহফুজ খান (জেভি)। ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে কার্যাদেশ দেয়া হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর।

সরেজমিনে প্রকল্পস্থানে গিয়ে দেখা যায়, নদীতে কিছু পাইলিং ও দক্ষিণ পাশে কিছু অংশে ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ব্যবহৃত রডে মরিচা চলে এসেছে।

আর সড়ক নির্মাণকাজ এখনও শুরুই হয়নি। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে ব্রিজে ব্যবহৃত রডে মরিচা ধরেছে। তাছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় জনগণ সুফল বঞ্চিত হচ্ছে। ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের নৌকায় পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। এতে ভোগান্তির শেষ নেই।

image

খুলনা : গার্ডার ব্রিজের কাজ এভাবেই অসমাপ্ত হয়ে রয়েছে -সংবাদ

আরও খবর
মেহেরপুরে কালভার্ট ভেঙে যে কোন সময় ঘটবে প্রাণহানি
নিজের উৎপাদিত পাট বীজ বিতরণ প্রতিবন্ধী আক্কাসের
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
রাজশাহীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ কলকাতার অধ্যাপক ও সাংবাদিকরা
মানিকগঞ্জে কমল হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
পবায় রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে জেল-জরিমানা
চাঁদপুরে বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য
বাঁশ ও বেত ঐতিহ্য হারাচ্ছে মানিকগঞ্জ মানবেতর জীবনে তিন হাজার পরিবার
পোরশায় গরম পানি ঢেলে নারী হত্যার অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
সখীপুরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক
নড়াইলে আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার জমি কেনায় সহযোগিতার আশ্বাস মাশরাফির

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ , ০৯ চৈত্র ১৪২৯, ৩০ শবান ১৪৪৪

ডুমুরিয়ার গার্ডার ব্রিজ ও টিপনা সিংগা সড়ক নির্মাণকাজে ধীরগতি

জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা

image

খুলনা : গার্ডার ব্রিজের কাজ এভাবেই অসমাপ্ত হয়ে রয়েছে -সংবাদ

খুলনার ডুমুরিয়ায় গার্ডার ব্রিজসহ টিপনা-সিংগা সড়ক নির্মাণে সময় ধরা ছিল এক বছর। তবে তা পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারের লোকজন চলে যাওয়ায় কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। তারপরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৮২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

এদিকে কাজ বন্ধ রাখায় সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিলের চিঠি দিয়েছে উপজেলা সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ অবস্থায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ছিল। পাশাপাশি ফান্ডেরও সংকট ছিল। সে কারণেই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে।

রবিউল বলেন, কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ শতাংশ। কাজ বন্ধ রাখায় সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিলের চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠি পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করেছে। আলোচনার মাধ্যমে ঠিকাদার ফের কাজ আরম্ভের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কাজ শুরু হলে দ্রুত সমাপ্তে মনিটরিং বাড়ানো হবে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সিংগা নদীর দক্ষিণ পাশে টিপনা গ্রামে অন্তত দুই লাখ মানুষ বসবাস করেন।

উত্তরপাশে সিংগা গ্রামে বসবাস করে অন্তত এক লাখ মানুষ। এ বিপুল সংখ্যক মানুষের যোগাযোগ ও কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ সহজ করতে সিংগা নদীতে গার্ডার ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণে এ প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার।

ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬০ মিটার লম্বা ব্রিজ ও ৯০৫ মিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আকন ট্রেডিং এবং মাহফুজ খান (জেভি)। ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে কার্যাদেশ দেয়া হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর।

সরেজমিনে প্রকল্পস্থানে গিয়ে দেখা যায়, নদীতে কিছু পাইলিং ও দক্ষিণ পাশে কিছু অংশে ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ব্যবহৃত রডে মরিচা চলে এসেছে।

আর সড়ক নির্মাণকাজ এখনও শুরুই হয়নি। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে ব্রিজে ব্যবহৃত রডে মরিচা ধরেছে। তাছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় জনগণ সুফল বঞ্চিত হচ্ছে। ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের নৌকায় পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। এতে ভোগান্তির শেষ নেই।