বান্দরবান উত্তপ্ত : সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা নির্মূলে চলছে অভিযান

বান্দরবানের পাহাড়ি তিন উপজেলায়র দুর্গম এলাকায় গত পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অ?ভিযান। গত বছর ১৮ অক্টোবর থেকে টানা এই অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এই অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। যারা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ও কেএনএফের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পাহাড়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী- এমনটাই জানিয়েছেন র‌্যাব। তবে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে কয়েক বছর ধরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে একের পর এক উত্থান হয়েছে আঞ্চলিক সংগঠনের। তারা গুম, খুন, চাঁদাবাজিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষেও লিপ্ত হচ্ছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। অবনতি হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পিছিয়ে যাচ্ছে পর্যটন শিল্পসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। ১৯৯৭ সালে পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শান্ত করার লক্ষ্যে আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সঙ্গে চুক্তি করে আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর দীর্ঘদিন পাহাড়ে শান্তি বজায় থাকলেও গোষ্ঠীভিত্তিক দ্বন্দ্বের জেরে পার্বত্যাঞ্চলে একের পর এক উত্থান হয়েছে নতুন নতুন আঞ্চলিক দলের। গেল এক দশকে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে জেএসএস সংস্কার, ইউপিডিএফ, ইউপিডিএফ সংস্কার, মগ লিবারেশন পার্টি ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামে বেশ কয়েকটি সংগঠন। আর এসব সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জেরে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। শুধু তাই নয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হতেও পিছপা হচ্ছে না তারা। গত ১২ মার্চ পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন কেএনএফের হামলায় প্রাণ হারায় সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট মাস্টার অফিসার নাজিম উদ্দিন। আহত হয় আরও দুই সেনা সদস্য। এরপর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার পরিবেশ। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ১৪ মার্চ থেকে এই তিন উপজেলায় আবারও পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন। এসব কারণে ভয়, উৎকণ্ঠা ও শঙ্কায় দিন যাপন করছে পাহাড়ে বসবাসকারী বাসিন্দারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জেলা পরিষদের সদস্য বাশৈসিং মার্মা বলেন, পাহাড়ে গোলাগুলি, খুন ও অপহরণের কারণে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি।

এদিকে বান্দরবানের তিন উপজেলায় নিষেধাজ্ঞার পর থেকে থমকে গেছে জেলার পর্যটন শিল্প। এ নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। শহরের আরণ্য হোটেলের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন মহামারী করোনাভাইরাসের পর কিছুটা সচ্ছল হতে যাচ্ছিল বান্দরবানের পর্যটন শিল্প। কিন্তু পরবর্তীতে পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কারণে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ফলে পুনরায় থমকে গেছে পর্যটন শিল্প। আমরা চাই দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করে বান্দরবানে পর্যটক আসার পরিবেশ ফিরে আসুক। তবে পাহাড়ের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য গোষ্ঠীভিত্তিক দ্বন্দ্ব, অরক্ষিত সীমান্ত, অপ্রতুল সেনাক্যাম্প ও অস্ত্রের অবাধ সরবরাহকে দায়ী করছেন বান্দরবান সদর উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, পাহাড়ে এখন আমরা কেউ নিরাপদে নেই। কখন কোন সময় কার ওপর হামলা হয় আমরা সব সময় সেই ভয়ে আছি। পাহাড়ের ভেতরে ব্যবসায়ীরা যেতে পারছে না। তাদের অপহরণ করছে সন্ত্রাসীরা, মুক্তিপণ দাবি করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান বলেন, তাদের চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারের জেরে একের পর এক গুম, খুন, চাঁদাবাজিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষেও লিপ্ত হচ্ছে। তাদের কারণে পাহাড়ি-বাঙালি আতঙ্কের মধ্যে আছে। ফলে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পগুলো স্থাপন করতে হবে এবং র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দায়িত্ব দিতে হবে। এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছি।

সম্প্রতি বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় চলমান অভিযানের চিত্র তুলে ধরে র?্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বান্দরবানে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় পাহাড়ে সন্ত্রাস ও নতুন জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত র‌্যাবের অভিযান চলবে। তবে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে যাতে পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় মানুষ কোন সমস্যায় না পড়েন সেটা আমলে নিয়ে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। র‌্যাবের এই কর্মকর্তার দাবি- সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয় ১৯ জেলার ৫৫ তরুণ। তারা পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয় নতুন পাহাড়ি সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ , ০৯ চৈত্র ১৪২৯, ৩০ শবান ১৪৪৪

বান্দরবান উত্তপ্ত : সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা নির্মূলে চলছে অভিযান

মো. শাফায়েত হোসেন, বান্দরবান

image

বান্দরবানের পাহাড়ি তিন উপজেলায়র দুর্গম এলাকায় গত পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অ?ভিযান। গত বছর ১৮ অক্টোবর থেকে টানা এই অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এই অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। যারা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ও কেএনএফের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পাহাড়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী- এমনটাই জানিয়েছেন র‌্যাব। তবে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে কয়েক বছর ধরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে একের পর এক উত্থান হয়েছে আঞ্চলিক সংগঠনের। তারা গুম, খুন, চাঁদাবাজিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষেও লিপ্ত হচ্ছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। অবনতি হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পিছিয়ে যাচ্ছে পর্যটন শিল্পসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। ১৯৯৭ সালে পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শান্ত করার লক্ষ্যে আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সঙ্গে চুক্তি করে আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর দীর্ঘদিন পাহাড়ে শান্তি বজায় থাকলেও গোষ্ঠীভিত্তিক দ্বন্দ্বের জেরে পার্বত্যাঞ্চলে একের পর এক উত্থান হয়েছে নতুন নতুন আঞ্চলিক দলের। গেল এক দশকে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে জেএসএস সংস্কার, ইউপিডিএফ, ইউপিডিএফ সংস্কার, মগ লিবারেশন পার্টি ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামে বেশ কয়েকটি সংগঠন। আর এসব সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জেরে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। শুধু তাই নয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হতেও পিছপা হচ্ছে না তারা। গত ১২ মার্চ পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন কেএনএফের হামলায় প্রাণ হারায় সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট মাস্টার অফিসার নাজিম উদ্দিন। আহত হয় আরও দুই সেনা সদস্য। এরপর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার পরিবেশ। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ১৪ মার্চ থেকে এই তিন উপজেলায় আবারও পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন। এসব কারণে ভয়, উৎকণ্ঠা ও শঙ্কায় দিন যাপন করছে পাহাড়ে বসবাসকারী বাসিন্দারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জেলা পরিষদের সদস্য বাশৈসিং মার্মা বলেন, পাহাড়ে গোলাগুলি, খুন ও অপহরণের কারণে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি।

এদিকে বান্দরবানের তিন উপজেলায় নিষেধাজ্ঞার পর থেকে থমকে গেছে জেলার পর্যটন শিল্প। এ নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। শহরের আরণ্য হোটেলের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন মহামারী করোনাভাইরাসের পর কিছুটা সচ্ছল হতে যাচ্ছিল বান্দরবানের পর্যটন শিল্প। কিন্তু পরবর্তীতে পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কারণে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ফলে পুনরায় থমকে গেছে পর্যটন শিল্প। আমরা চাই দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করে বান্দরবানে পর্যটক আসার পরিবেশ ফিরে আসুক। তবে পাহাড়ের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য গোষ্ঠীভিত্তিক দ্বন্দ্ব, অরক্ষিত সীমান্ত, অপ্রতুল সেনাক্যাম্প ও অস্ত্রের অবাধ সরবরাহকে দায়ী করছেন বান্দরবান সদর উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, পাহাড়ে এখন আমরা কেউ নিরাপদে নেই। কখন কোন সময় কার ওপর হামলা হয় আমরা সব সময় সেই ভয়ে আছি। পাহাড়ের ভেতরে ব্যবসায়ীরা যেতে পারছে না। তাদের অপহরণ করছে সন্ত্রাসীরা, মুক্তিপণ দাবি করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান বলেন, তাদের চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারের জেরে একের পর এক গুম, খুন, চাঁদাবাজিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষেও লিপ্ত হচ্ছে। তাদের কারণে পাহাড়ি-বাঙালি আতঙ্কের মধ্যে আছে। ফলে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পগুলো স্থাপন করতে হবে এবং র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দায়িত্ব দিতে হবে। এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছি।

সম্প্রতি বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় চলমান অভিযানের চিত্র তুলে ধরে র?্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বান্দরবানে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় পাহাড়ে সন্ত্রাস ও নতুন জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত র‌্যাবের অভিযান চলবে। তবে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে যাতে পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় মানুষ কোন সমস্যায় না পড়েন সেটা আমলে নিয়ে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। র‌্যাবের এই কর্মকর্তার দাবি- সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয় ১৯ জেলার ৫৫ তরুণ। তারা পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয় নতুন পাহাড়ি সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।