‘সিলেটের উইকেটে ৪০০ করাও সম্ভব’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে সে রেকর্ড ভেঙে আরও বড় পুঁজি গড়ে টাইগাররা। নিঃসন্দেহে তৃতীয় ওয়ানডেতে সেটাকে ছাড়িয়ে যেতে চাইবে তারা। ব্যাটাররা নিজের ইনিংসকে আরও লম্বা করতে পারলে পুঁজিটা ৪০০ হতে পারে বলেও মনে করেন বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।

সিলেট স্টেডিয়ামে এবার রানবন্যাই হচ্ছে। সেখানে ব্যাটারদের দারুণ দায়িত্বশীল ও ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশা বেড়েছে টাইগারদের। প্রথম ম্যাচে ৩৩৮ রান করে দলটি। পরের ম্যাচে আসে ৩৪৯ রান। এ দুইটি ইনিংসই নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড।

তবে এ দুই ম্যাচে কিছুটা আক্ষেপ ছিল টাইগারদের। প্রথম ম্যাচে নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হন দুই ব্যাটার সাকিব আল হাসান (৯৩) ও তাওহিদ হৃদয় (৯২)। পরের ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত (৭৪) ও লিটন দাস (৭০) পেতে পারতেন সেঞ্চুরি। সেক্ষেত্রে ইনিংস হতে পারতো আরও লম্বা।

তৃতীয় ম্যাচে তাই সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয় পরবর্তী ম্যাচের প্রত্যাশা নিয়ে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ৪০০ রান করা সম্ভব কি-না জানতে চাইলে বলেন, ‘সম্ভব, এতে কোন সন্দেহ নেই।’

এরপর এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এ প্রোটিয়া কোচ, ‘প্রথম ম্যাচে দুজন ৯০ রান করে আউট হয়েছে। পরের ম্যাচে কয়েকজন ৭০ করেছে। মুশফিক অবশ্য দারুণ খেলেছে, সেঞ্চুরি করেছে। হ্যাঁ, আমাদের ওই জুটিগুলো আরও গভীরে নিতে চাই। শেষ ১০ ওভারে ছয় বা সাত উইকেট হাতে রেখে যেতে চাই। যেন আমরা আরও বেশি রান নিতে পারি। আমরা ওই জুটিগুলো আরও লম্বা করতে পারব।’

এছাড়া সিলেট স্টেডিয়ামের উইকেটে ব্যাটিং করার জন্য আদর্শ বলে মনে করেন ডোনাল্ড, ‘আমি আগেও বলেছি এখানকার উইকেট অনেকটা দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটের মতো। ব্যাটে দারুণ বল আসে। আর রাতে শিশিরের কারণে আরও দ্রুত হয়। খুব দ্রুত। ভালো স্ট্রোক প্লের জন্য আদর্শ উইকেট। আপনি এখানে থিতু হলে ইনিংস স্বাভাবিকভাবে বড় করা উচিত।’

৪০০ রানের করার ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, (৪০০ রান করা) সম্ভব, অবশ্যই সম্ভব। আমাদের ওই জুটিগুলো আরও বড় করতে হবে, ম্যাচটাকে আরও গভীরে নিতে হবে।’

সেখানেই পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়ে ডোনাল্ড বলেন, ‘এটা সম্মিলিতভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এই জমাট মানসিকতার ব্যাপারে অনেকদিন ধরে বলছি। আমার মনে হয় এই দলের মানসিকতা যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে, এটা দারুণ।’

‘এটা দেখা অসাধারণ যেভাবে আমরা প্রথম ম্যাচে বল করেছি। সবার ইমপ্যাক্ট ছিল, প্রশ্ন তৈরি করতে পেরেছি, সুযোগও বানিয়েছে। খুবই আনন্দিত এসব দেখে। আমাদের বলতে হবে এখানকার কিউরেটর খুব ভালো উইকেট দিয়েছে। এই উইকেটে পেস ও বাউন্স আছে, ধারাবাহিকভাবে ক্যারি করেছে, গতিও ছিল। এজন্য ব্যাটাররাও রান পাচ্ছে’ যোগ করেন ডোনাল্ড।

পেসারদের বদলে দেয়ায় তার ভূমিকার কথা তুলে ধরলে ডোনাল্ড বলেন, ‘কোচ হিসেবে আমরা এখানে বাহবা নিতে নয়, ইমপ্যাক্ট তৈরি করতে এসেছি।’

পুরো কৃতিত্ব দলের শিষ্যদেরই দিলেন এ প্রোটিয়া কোচ, ‘আমি যেটা বলছি, এটা দেখা অসাধারণ যেভাবে পুরো একটা গ্রুপের ছেলেরা...শুধু গত ম্যাচে যারা খেলেছে, তারাই নয়। এখানে যারা নেই তারাও। হাসান মাহমুদ, শরিফুল, খালেদ; সবাই এই যাত্রার অংশ। এটা খুবই ভালো লাগছে। এটা দেখা অসাধারণযে নতুন এপ্রোচ ও ভাবনার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি।’

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ , ০৯ চৈত্র ১৪২৯, ৩০ শবান ১৪৪৪

‘সিলেটের উইকেটে ৪০০ করাও সম্ভব’

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

ডোনাল্ড

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে সে রেকর্ড ভেঙে আরও বড় পুঁজি গড়ে টাইগাররা। নিঃসন্দেহে তৃতীয় ওয়ানডেতে সেটাকে ছাড়িয়ে যেতে চাইবে তারা। ব্যাটাররা নিজের ইনিংসকে আরও লম্বা করতে পারলে পুঁজিটা ৪০০ হতে পারে বলেও মনে করেন বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।

সিলেট স্টেডিয়ামে এবার রানবন্যাই হচ্ছে। সেখানে ব্যাটারদের দারুণ দায়িত্বশীল ও ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশা বেড়েছে টাইগারদের। প্রথম ম্যাচে ৩৩৮ রান করে দলটি। পরের ম্যাচে আসে ৩৪৯ রান। এ দুইটি ইনিংসই নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড।

তবে এ দুই ম্যাচে কিছুটা আক্ষেপ ছিল টাইগারদের। প্রথম ম্যাচে নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হন দুই ব্যাটার সাকিব আল হাসান (৯৩) ও তাওহিদ হৃদয় (৯২)। পরের ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত (৭৪) ও লিটন দাস (৭০) পেতে পারতেন সেঞ্চুরি। সেক্ষেত্রে ইনিংস হতে পারতো আরও লম্বা।

তৃতীয় ম্যাচে তাই সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয় পরবর্তী ম্যাচের প্রত্যাশা নিয়ে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ৪০০ রান করা সম্ভব কি-না জানতে চাইলে বলেন, ‘সম্ভব, এতে কোন সন্দেহ নেই।’

এরপর এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এ প্রোটিয়া কোচ, ‘প্রথম ম্যাচে দুজন ৯০ রান করে আউট হয়েছে। পরের ম্যাচে কয়েকজন ৭০ করেছে। মুশফিক অবশ্য দারুণ খেলেছে, সেঞ্চুরি করেছে। হ্যাঁ, আমাদের ওই জুটিগুলো আরও গভীরে নিতে চাই। শেষ ১০ ওভারে ছয় বা সাত উইকেট হাতে রেখে যেতে চাই। যেন আমরা আরও বেশি রান নিতে পারি। আমরা ওই জুটিগুলো আরও লম্বা করতে পারব।’

এছাড়া সিলেট স্টেডিয়ামের উইকেটে ব্যাটিং করার জন্য আদর্শ বলে মনে করেন ডোনাল্ড, ‘আমি আগেও বলেছি এখানকার উইকেট অনেকটা দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটের মতো। ব্যাটে দারুণ বল আসে। আর রাতে শিশিরের কারণে আরও দ্রুত হয়। খুব দ্রুত। ভালো স্ট্রোক প্লের জন্য আদর্শ উইকেট। আপনি এখানে থিতু হলে ইনিংস স্বাভাবিকভাবে বড় করা উচিত।’

৪০০ রানের করার ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, (৪০০ রান করা) সম্ভব, অবশ্যই সম্ভব। আমাদের ওই জুটিগুলো আরও বড় করতে হবে, ম্যাচটাকে আরও গভীরে নিতে হবে।’

সেখানেই পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়ে ডোনাল্ড বলেন, ‘এটা সম্মিলিতভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এই জমাট মানসিকতার ব্যাপারে অনেকদিন ধরে বলছি। আমার মনে হয় এই দলের মানসিকতা যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে, এটা দারুণ।’

‘এটা দেখা অসাধারণ যেভাবে আমরা প্রথম ম্যাচে বল করেছি। সবার ইমপ্যাক্ট ছিল, প্রশ্ন তৈরি করতে পেরেছি, সুযোগও বানিয়েছে। খুবই আনন্দিত এসব দেখে। আমাদের বলতে হবে এখানকার কিউরেটর খুব ভালো উইকেট দিয়েছে। এই উইকেটে পেস ও বাউন্স আছে, ধারাবাহিকভাবে ক্যারি করেছে, গতিও ছিল। এজন্য ব্যাটাররাও রান পাচ্ছে’ যোগ করেন ডোনাল্ড।

পেসারদের বদলে দেয়ায় তার ভূমিকার কথা তুলে ধরলে ডোনাল্ড বলেন, ‘কোচ হিসেবে আমরা এখানে বাহবা নিতে নয়, ইমপ্যাক্ট তৈরি করতে এসেছি।’

পুরো কৃতিত্ব দলের শিষ্যদেরই দিলেন এ প্রোটিয়া কোচ, ‘আমি যেটা বলছি, এটা দেখা অসাধারণ যেভাবে পুরো একটা গ্রুপের ছেলেরা...শুধু গত ম্যাচে যারা খেলেছে, তারাই নয়। এখানে যারা নেই তারাও। হাসান মাহমুদ, শরিফুল, খালেদ; সবাই এই যাত্রার অংশ। এটা খুবই ভালো লাগছে। এটা দেখা অসাধারণযে নতুন এপ্রোচ ও ভাবনার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি।’