আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে। মনোবিজ্ঞানী বিশ্লেষকরা বলেন, নানা কারণে হতে পারে এই আত্মহত্যা; কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বাড়িয়ে দেয়। যেমন- হতাশা তৈরি হওয়া, জীবনের স্বাদ-আনন্দ হারিরয়ে ফেলা, বিষণ্ণতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কমে যাওয়া, আবেগ নিরাময়ের দুর্বল ভূমিকা, হেরোইন, কোকেন এবং অ্যালকোহল ইত্যাদির অপব্যবহারের কারণে মানসিক ব্যাধি এ আত্মহত্যার জন্য দায়ী।
যখন কেউ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের কারো না কারো তা জানা থাকতে পারে বা সন্দেহ মনে হলে তাৎক্ষণিক এই মন্দা মানসিকতা দূর করার জন্য যথাব্যবস্থা প্রয়োজন। আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া মানুষ সাধারণত এমন হয়, যাদের ডিপ্রেশন বেশি থাকে। চিকিৎসকদের মতে, এটি এমন একটি ব্যাধি যেই রোগ সবার অজান্তে জীবনের সম্মানবোধ এবং মায়াকে হারিয়ে তিলে তিলে নিজের জীবন নষ্ট করে দেয়। কিন্তু ভয়ের বিষয় হলো, ডিপ্রেশন এই রোগ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে আমরা প্রায় উদাসীন। অথচ বিশ্বা স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ এই ডিপ্রেশন রোগে আক্রান্ত।
বাংলাদেশের শতকরা ১৮ থেকে ২০ ভাগ মানুষ এই ডিপ্রেশনজনিত রোগে ভুগছেন। তাই আত্মহত্যাজনিত এ জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়াজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভুক্তভোগীর এ সমস্যা নিরসনে আমাদের সবারই এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি।
মিসবাহুল ইসলাম
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ , ০৯ চৈত্র ১৪২৯, ৩০ শবান ১৪৪৪
আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে। মনোবিজ্ঞানী বিশ্লেষকরা বলেন, নানা কারণে হতে পারে এই আত্মহত্যা; কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বাড়িয়ে দেয়। যেমন- হতাশা তৈরি হওয়া, জীবনের স্বাদ-আনন্দ হারিরয়ে ফেলা, বিষণ্ণতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কমে যাওয়া, আবেগ নিরাময়ের দুর্বল ভূমিকা, হেরোইন, কোকেন এবং অ্যালকোহল ইত্যাদির অপব্যবহারের কারণে মানসিক ব্যাধি এ আত্মহত্যার জন্য দায়ী।
যখন কেউ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের কারো না কারো তা জানা থাকতে পারে বা সন্দেহ মনে হলে তাৎক্ষণিক এই মন্দা মানসিকতা দূর করার জন্য যথাব্যবস্থা প্রয়োজন। আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া মানুষ সাধারণত এমন হয়, যাদের ডিপ্রেশন বেশি থাকে। চিকিৎসকদের মতে, এটি এমন একটি ব্যাধি যেই রোগ সবার অজান্তে জীবনের সম্মানবোধ এবং মায়াকে হারিয়ে তিলে তিলে নিজের জীবন নষ্ট করে দেয়। কিন্তু ভয়ের বিষয় হলো, ডিপ্রেশন এই রোগ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে আমরা প্রায় উদাসীন। অথচ বিশ্বা স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ এই ডিপ্রেশন রোগে আক্রান্ত।
বাংলাদেশের শতকরা ১৮ থেকে ২০ ভাগ মানুষ এই ডিপ্রেশনজনিত রোগে ভুগছেন। তাই আত্মহত্যাজনিত এ জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়াজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভুক্তভোগীর এ সমস্যা নিরসনে আমাদের সবারই এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি।
মিসবাহুল ইসলাম