ক্যাশলেস কার্যক্রমের ব্যয়কে সিএসআর খাতে দেখানো যাবে

নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে ‘বাংলা কিউআর’ কোডে লেনদেন চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও জনসাধারণকে বিনামূল্যে এ সেবা দিতে হবে। এসব সেবার ব্যয় সিএসআর খাতে দেখাতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সিএমএসএমই, মাইক্রো-মার্চেন্ট ও স্বল্প আয়ের জনগণকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় এনে ছোট-বড় সকল ব্যবসায়ীদের লেনদেন প্রযুক্তিনির্ভর করার মাধ্যমে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের সকল লেনদেনের ৭৫ শতাংশ অনলাইন বা ক্যাশলেস করার নিমিত্ত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৭’ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘বাংলা কিউআর’ এর মাধ্যমে জনসাধারণকে বিনামূল্যে পরিশোধ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের এ সংক্রান্ত ব্যয় সিএসআর খাতে দেখাতে পারবে।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ‘বাংলা কিউআর’ সংক্রান্ত যেসব ব্যয় সিএসআর খাতে দেখাতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ‘বাংলা কিউআর’ এর মাধ্যমে গৃহীত সব পেমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হারে এমডিআর (মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট) ও আইআরএফ (ইন্টারচেঞ্জ রেইম্বুর্সমেন্ট ফি) সংক্রান্ত চার্জ।

‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগের আওতায় ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রচারণা, এর মাধ্যমে পরিচালিত কুরবানির হাটের যাবতীয় পেমেন্ট ও অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট ব্যয় এবং ‘বাংলা কিউআর’ এর প্রচার ও প্রসারে নেয়া প্রচারণা সংক্রান্ত ব্যয়।

‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগের আওতায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাতা, থাকা-খাওয়া, হোটেল বিল ইত্যাদি বা যাতায়াত ভাতা হিসেবে গণ্য ব্যয় সিএসআর ব্যয় হিসেবে প্রদর্শন করা যাবে না। শুধুমাত্র ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে যোগদান ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ সুযোগ নিতে পারবে। পাশাপাশি আলোচ্য ব্যয়গুলোর তথ্য ষাণ¥ামাসিক ভিত্তিতে পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।

এদিকে নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে মতিঝিল ও গুলশানের পর গোপালগঞ্জ, রংপুর, গাজীপুর ও নাটোর জেলাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘বাংলা কিউআর’ কোডে লেনদেন চালু হয়েছে। বাংলা কিউআর (কুইক রেসপন্স) হলো, দেশের সব ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) অ্যাপভিত্তিক লেনদেন নিষ্পত্তির একটি কমন প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত যেকোন ব্যাংক বা এমএফএসের গ্রাহক যেকোন অন্য কিউআর থেকে পরিশোধ করতে পারেন। লেনদেনকে স্বচ্ছ, ঝুঁকিমুক্ত, কম খরচে ও দ্রুত করতে ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এমন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এ ব্যবস্থায় লেনদেন সম্পন্ন করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

‘বাংলা কিউআর’ কোডে এখন দৈনিক যতো খুশি ততো পরিমাণ অঙ্কের টাকা লেনদেন করতে পাবেন গ্রাহক। প্রাথমিকভাবে ১৭টি ব্যাংক ও পাঁচটি এমএফএস, একটি পিএসপি ও তিনটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট স্কিম যুক্ত আছে। পর্যায়ক্রমে অন্য সব ব্যাংক ও এমএফএস এ ব্যবস্থায় যুক্ত হবে।

শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১১ চৈত্র ১৪২৯, ০২ রমজান ১৪৪৪

ক্যাশলেস কার্যক্রমের ব্যয়কে সিএসআর খাতে দেখানো যাবে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে ‘বাংলা কিউআর’ কোডে লেনদেন চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও জনসাধারণকে বিনামূল্যে এ সেবা দিতে হবে। এসব সেবার ব্যয় সিএসআর খাতে দেখাতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সিএমএসএমই, মাইক্রো-মার্চেন্ট ও স্বল্প আয়ের জনগণকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় এনে ছোট-বড় সকল ব্যবসায়ীদের লেনদেন প্রযুক্তিনির্ভর করার মাধ্যমে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের সকল লেনদেনের ৭৫ শতাংশ অনলাইন বা ক্যাশলেস করার নিমিত্ত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৭’ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘বাংলা কিউআর’ এর মাধ্যমে জনসাধারণকে বিনামূল্যে পরিশোধ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের এ সংক্রান্ত ব্যয় সিএসআর খাতে দেখাতে পারবে।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ‘বাংলা কিউআর’ সংক্রান্ত যেসব ব্যয় সিএসআর খাতে দেখাতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ‘বাংলা কিউআর’ এর মাধ্যমে গৃহীত সব পেমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হারে এমডিআর (মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট) ও আইআরএফ (ইন্টারচেঞ্জ রেইম্বুর্সমেন্ট ফি) সংক্রান্ত চার্জ।

‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগের আওতায় ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রচারণা, এর মাধ্যমে পরিচালিত কুরবানির হাটের যাবতীয় পেমেন্ট ও অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট ব্যয় এবং ‘বাংলা কিউআর’ এর প্রচার ও প্রসারে নেয়া প্রচারণা সংক্রান্ত ব্যয়।

‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগের আওতায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাতা, থাকা-খাওয়া, হোটেল বিল ইত্যাদি বা যাতায়াত ভাতা হিসেবে গণ্য ব্যয় সিএসআর ব্যয় হিসেবে প্রদর্শন করা যাবে না। শুধুমাত্র ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে যোগদান ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ সুযোগ নিতে পারবে। পাশাপাশি আলোচ্য ব্যয়গুলোর তথ্য ষাণ¥ামাসিক ভিত্তিতে পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।

এদিকে নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে মতিঝিল ও গুলশানের পর গোপালগঞ্জ, রংপুর, গাজীপুর ও নাটোর জেলাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘বাংলা কিউআর’ কোডে লেনদেন চালু হয়েছে। বাংলা কিউআর (কুইক রেসপন্স) হলো, দেশের সব ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) অ্যাপভিত্তিক লেনদেন নিষ্পত্তির একটি কমন প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত যেকোন ব্যাংক বা এমএফএসের গ্রাহক যেকোন অন্য কিউআর থেকে পরিশোধ করতে পারেন। লেনদেনকে স্বচ্ছ, ঝুঁকিমুক্ত, কম খরচে ও দ্রুত করতে ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এমন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এ ব্যবস্থায় লেনদেন সম্পন্ন করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

‘বাংলা কিউআর’ কোডে এখন দৈনিক যতো খুশি ততো পরিমাণ অঙ্কের টাকা লেনদেন করতে পাবেন গ্রাহক। প্রাথমিকভাবে ১৭টি ব্যাংক ও পাঁচটি এমএফএস, একটি পিএসপি ও তিনটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট স্কিম যুক্ত আছে। পর্যায়ক্রমে অন্য সব ব্যাংক ও এমএফএস এ ব্যবস্থায় যুক্ত হবে।