ডিএসইতে মূলধন কমলো ৪৮৩ কোটি টাকা, লেনদেনের ৩৭ শতাংশ দশ কোম্পানির দখলে

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৬২ কোটি ৩ টাকা যা মোট লেনদেনের ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই দশ কোম্পানি একাই লেনদেন হয়েছে ৬৬২ কোটি ৫০ টাকা। শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ কমেছে ৪৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সব ধরনের সূচক পতন হয়েছে। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থানের তুলনায় পতন বেশি ছিল।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৭৭৮ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫০৮ কোটি ২ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৮টির, দর কমেছে ৬৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬১টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১৮টি কোম্পানির শেয়ার।

গত সপ্তাহে ডিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২১৫ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৭৪ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ২১৮ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫৩ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে যা আগের সপ্তাহের শেষে একই পয়েন্ট ছিল। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোন কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি ৩০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার বি ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচের শেয়ারে। একাই মোট শেয়ারের ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিং ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, শাইনপুকুর (বি ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রংপুর ডেইরী অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস (বি ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিস ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৩ দমমিক ১০ শতাংশ, এডিএন টেলিকম ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং আল-হাজ্ব টেক্সটাইল (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ২৭ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ। শেয়ারবাজার মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ৩০৮ কোটি ৩ লাখ টাকা। বেড়েছে সব ধরনের সূচক।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৯ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি ৬ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩০৮ কোটি ৩ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি ১ লাখ টাকা বা ১২ দমমিক ২৭ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ২৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪২টির, দর কমেছে ৪৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৯টি কোম্পানির যা কোম্পানিগুলো শেয়ার দর পতন তুলনায় উত্থান ১ দশমিক শূন্য ৭ গুণ বেশি হয়েছে।

সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক ২১ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ২২ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ১২ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৩ দশমিক ৩০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৬৪ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৫৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বি ক্যাটাগরির ২০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচের শেয়ার। একাই ২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

এছাড়া বেক্সিমকো ৬ কোটি ৯ লাখ টাকা, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস (বি ক্যাটাগরি) ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা, এইচ আর টেক্সটাইল ৩ কোটি ১ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা ২ কোটি ১১ লাখ টাকা, শাইনপুকুর (বি ক্যাটাগরি) ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা, ই-জেনারেশন ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স ১ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১১ চৈত্র ১৪২৯, ০২ রমজান ১৪৪৪

ডিএসইতে মূলধন কমলো ৪৮৩ কোটি টাকা, লেনদেনের ৩৭ শতাংশ দশ কোম্পানির দখলে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৬২ কোটি ৩ টাকা যা মোট লেনদেনের ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই দশ কোম্পানি একাই লেনদেন হয়েছে ৬৬২ কোটি ৫০ টাকা। শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ কমেছে ৪৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সব ধরনের সূচক পতন হয়েছে। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থানের তুলনায় পতন বেশি ছিল।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৭৭৮ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫০৮ কোটি ২ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৮টির, দর কমেছে ৬৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬১টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১৮টি কোম্পানির শেয়ার।

গত সপ্তাহে ডিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২১৫ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৭৪ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ২১৮ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫৩ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে যা আগের সপ্তাহের শেষে একই পয়েন্ট ছিল। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোন কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি ৩০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার বি ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচের শেয়ারে। একাই মোট শেয়ারের ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিং ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, শাইনপুকুর (বি ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রংপুর ডেইরী অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস (বি ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিস ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৩ দমমিক ১০ শতাংশ, এডিএন টেলিকম ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং আল-হাজ্ব টেক্সটাইল (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ২৭ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ। শেয়ারবাজার মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ৩০৮ কোটি ৩ লাখ টাকা। বেড়েছে সব ধরনের সূচক।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৯ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি ৬ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩০৮ কোটি ৩ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি ১ লাখ টাকা বা ১২ দমমিক ২৭ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ২৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪২টির, দর কমেছে ৪৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৯টি কোম্পানির যা কোম্পানিগুলো শেয়ার দর পতন তুলনায় উত্থান ১ দশমিক শূন্য ৭ গুণ বেশি হয়েছে।

সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক ২১ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ২২ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ১২ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৩ দশমিক ৩০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৬৪ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৫৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বি ক্যাটাগরির ২০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচের শেয়ার। একাই ২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

এছাড়া বেক্সিমকো ৬ কোটি ৯ লাখ টাকা, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস (বি ক্যাটাগরি) ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা, এইচ আর টেক্সটাইল ৩ কোটি ১ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা ২ কোটি ১১ লাখ টাকা, শাইনপুকুর (বি ক্যাটাগরি) ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা, ই-জেনারেশন ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স ১ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।