খুলনায় এলজিইডির একটি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এখনো শুরুই হয়নি কাজ। সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রকল্পের আওতায় ৪ উপজেলায় ১০টি সেতু নির্মাণকাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। কাজের দীর্ঘসূত্রতায় অর্থের অপচয় হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরায় পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খুলনার চার উপজেলা ডুমুরিয়া, তেরখাদা, কয়রা ও দাকোপে ১০টি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। স্থানীয়দের সহজ যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ সামাজিক উন্নয়ন কর্মকা- বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০২১ সালে প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি অধিকাংশ সেতুর। ১০টি সেতুর মধ্যে ৫টির কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে গড়ে ২৫ শতাংশ ও বাকি ৫টির কোনো কাজই হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডির একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, এক-একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুই-তিনটি করে কাজ দেয়া হয়েছে। যেমন ১০টি সেতুর মধ্যে মো. মাহফুজ খান লিমিটেডকে তিনটি ও মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্সকে দুটি কাজ দেয়া হয়েছে। তারা একই প্রতিষ্ঠানে অন্য প্রকল্পের কাজও করছেন। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের একটি কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের সক্ষমতা নেই। সুতরাং তারা অর্থ জোগাড় করতে না পেরে কাজ বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সে কারণে এ দুরাবস্থা তৈরি হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, খুলনার তেরখাদার অজগরা কবীর বটতলারপাশে বাসুয়াখালী খালে ৭৫০ মিটার চেইনেজে ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে ভৌত অগ্রগতি একেবারে শূন্য। এক কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএএন্ড জেভি কাজটি পেয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদকাল ২০২৩ সালের ৩ মে। একইভাবে চার কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কয়রা উপজেলা হেড কোয়ার্টার আয়াতখালী খালে ৩৬ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে অগ্রগতিও শূন্য। তিন কোটি টাকা ব্যয়ে দাকোপের ইউপি অফিস-বানিশান্তা বাজার সড়কে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে কাজ পায় মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। মেয়াদ শেষে এ কাজের অগ্রগতিও শূন্য।
দুই কোটি ৭১ টাকা ব্যয়ে দাকোপের লাউডোব ইউপি অফিস-হরিণটানা সেতু-বুড়ির ডাবুর চৌমুহনী বাজার সড়কে চেইনেজে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণেও অগ্রগতি শূন্য। এ কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফয়সাল ট্রেডার্স। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ৭ মার্চ। দুই কোটি ৬২ টাকা ব্যয়ে দাকোপের যশোবন্ধুর বাড়ি থেকে নিশিখালী সড়কে তেতুলতলা খালের ওপর ১০ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিএমএন্ডউয়াইএকে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও কাজের অগ্রগতি শূন্য।
ডুমুরিয়ার চিংড়া-ওয়েস্টপাড়া সড়কে (ট্রলারঘাটসংলগ্ন ভদ্রা নদীতে) ৪০০ মিটার চেইনেজে ৫৭ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও ভৌত অগ্রগতি মাত্র হয়েছে ২০ ভাগ। চার কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া ইউজেডআর-বাগাছড়া সড়কে ৫৬০ মিটার চেইনেজে ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে কাজ পায় একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মাহফুজ খান লিমিটেড। বাস্তবায়নে মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও কাজে অগ্রগতি মাত্র ২৫ ভাগ। তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে একই উপজেলার রায়েরমহল-আলাইপুর সড়কে ৫০০ কিলোমিটার চেইনেজে ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মিত হচ্ছে। কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মাহফুজ খান লিমিটেড। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও বর্তমানে কাজের অগ্রগতি মাত্র ২৫ ভাগ। একই উপজেলার হাসানপুর সড়ক ভায়া অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান সড়কে ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজে অগ্রগতি মাত্র ২০ ভাগ। তিন কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএফটি এন্ড এমবিবি (জেভি)। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। দুই কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে তেতুলডাঙ্গা শ্মশান সড়কে ৪৫০ মিটার চেইনেজে ৩৩ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও কাজে অগ্রগতি মাত্র ২০ ভাগ।
সম্প্রতি ওইসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন এই প্রতিবেদক। পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সবগুলো সেতুর নির্মাণ কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। কোনো কোনো সেতুর পাশে ফেলে রাখা হয়েছে রড, বালু, সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রী। এগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
এলজিইডি খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিছুজ্জামান বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাওয়া যায়নি। এজন্য ঠিকাদাররা কাজ ফেলে রেখেছিলেন। এখন এসব প্রকল্পের অর্থ ছাড় হচ্ছে। মেয়াদ বৃদ্ধি করে কাজ বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি দাবি করেন।
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১১ চৈত্র ১৪২৯, ০২ রমজান ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা
খুলনায় এলজিইডির একটি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এখনো শুরুই হয়নি কাজ। সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রকল্পের আওতায় ৪ উপজেলায় ১০টি সেতু নির্মাণকাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। কাজের দীর্ঘসূত্রতায় অর্থের অপচয় হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরায় পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খুলনার চার উপজেলা ডুমুরিয়া, তেরখাদা, কয়রা ও দাকোপে ১০টি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। স্থানীয়দের সহজ যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ সামাজিক উন্নয়ন কর্মকা- বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০২১ সালে প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি অধিকাংশ সেতুর। ১০টি সেতুর মধ্যে ৫টির কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে গড়ে ২৫ শতাংশ ও বাকি ৫টির কোনো কাজই হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডির একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, এক-একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুই-তিনটি করে কাজ দেয়া হয়েছে। যেমন ১০টি সেতুর মধ্যে মো. মাহফুজ খান লিমিটেডকে তিনটি ও মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্সকে দুটি কাজ দেয়া হয়েছে। তারা একই প্রতিষ্ঠানে অন্য প্রকল্পের কাজও করছেন। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের একটি কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের সক্ষমতা নেই। সুতরাং তারা অর্থ জোগাড় করতে না পেরে কাজ বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সে কারণে এ দুরাবস্থা তৈরি হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, খুলনার তেরখাদার অজগরা কবীর বটতলারপাশে বাসুয়াখালী খালে ৭৫০ মিটার চেইনেজে ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে ভৌত অগ্রগতি একেবারে শূন্য। এক কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএএন্ড জেভি কাজটি পেয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদকাল ২০২৩ সালের ৩ মে। একইভাবে চার কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কয়রা উপজেলা হেড কোয়ার্টার আয়াতখালী খালে ৩৬ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে অগ্রগতিও শূন্য। তিন কোটি টাকা ব্যয়ে দাকোপের ইউপি অফিস-বানিশান্তা বাজার সড়কে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে কাজ পায় মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। মেয়াদ শেষে এ কাজের অগ্রগতিও শূন্য।
দুই কোটি ৭১ টাকা ব্যয়ে দাকোপের লাউডোব ইউপি অফিস-হরিণটানা সেতু-বুড়ির ডাবুর চৌমুহনী বাজার সড়কে চেইনেজে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণেও অগ্রগতি শূন্য। এ কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফয়সাল ট্রেডার্স। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ৭ মার্চ। দুই কোটি ৬২ টাকা ব্যয়ে দাকোপের যশোবন্ধুর বাড়ি থেকে নিশিখালী সড়কে তেতুলতলা খালের ওপর ১০ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিএমএন্ডউয়াইএকে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও কাজের অগ্রগতি শূন্য।
ডুমুরিয়ার চিংড়া-ওয়েস্টপাড়া সড়কে (ট্রলারঘাটসংলগ্ন ভদ্রা নদীতে) ৪০০ মিটার চেইনেজে ৫৭ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও ভৌত অগ্রগতি মাত্র হয়েছে ২০ ভাগ। চার কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া ইউজেডআর-বাগাছড়া সড়কে ৫৬০ মিটার চেইনেজে ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে কাজ পায় একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মাহফুজ খান লিমিটেড। বাস্তবায়নে মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও কাজে অগ্রগতি মাত্র ২৫ ভাগ। তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে একই উপজেলার রায়েরমহল-আলাইপুর সড়কে ৫০০ কিলোমিটার চেইনেজে ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মিত হচ্ছে। কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মাহফুজ খান লিমিটেড। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও বর্তমানে কাজের অগ্রগতি মাত্র ২৫ ভাগ। একই উপজেলার হাসানপুর সড়ক ভায়া অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান সড়কে ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজে অগ্রগতি মাত্র ২০ ভাগ। তিন কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএফটি এন্ড এমবিবি (জেভি)। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। দুই কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে তেতুলডাঙ্গা শ্মশান সড়কে ৪৫০ মিটার চেইনেজে ৩৩ মিটার দৈর্ঘ্যর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও কাজে অগ্রগতি মাত্র ২০ ভাগ।
সম্প্রতি ওইসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন এই প্রতিবেদক। পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সবগুলো সেতুর নির্মাণ কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। কোনো কোনো সেতুর পাশে ফেলে রাখা হয়েছে রড, বালু, সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রী। এগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
এলজিইডি খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিছুজ্জামান বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাওয়া যায়নি। এজন্য ঠিকাদাররা কাজ ফেলে রেখেছিলেন। এখন এসব প্রকল্পের অর্থ ছাড় হচ্ছে। মেয়াদ বৃদ্ধি করে কাজ বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি দাবি করেন।