সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মনে হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করা দরকার। এজন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। জানা যায়, দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রায় ১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের জুন মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট এসএস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড কার্যাদেশ পায়। কাজ শুরু হওয়ার তিন বছরে ভিত্তি ঢালাই দিয়ে মাত্র অর্ধেক পিলার নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা জানান, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে পিলার নির্মাণ করায় মসজিদের অধিকাংশ পিলার আঁকা-বাঁকা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ গোপন করতে দ্রুত বালুমাটি দিয়ে পিলারগুলো ভরাট করার চেষ্টা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে মসজিদের চার পাশে ভিত্তি ঢালাই ও পিলার করার জন্য গর্ত করে। কিন্তু বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে হেলে পড়া পিলার দৃশ্যমান হয়। এ অবস্থা দেখে স্থানীয় জনগণ মোবাইল ফোনে ছবি তুলে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১১ চৈত্র ১৪২৯, ০২ রমজান ১৪৪৪
প্রতিনিধি, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মনে হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করা দরকার। এজন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। জানা যায়, দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রায় ১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের জুন মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট এসএস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড কার্যাদেশ পায়। কাজ শুরু হওয়ার তিন বছরে ভিত্তি ঢালাই দিয়ে মাত্র অর্ধেক পিলার নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা জানান, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে পিলার নির্মাণ করায় মসজিদের অধিকাংশ পিলার আঁকা-বাঁকা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ গোপন করতে দ্রুত বালুমাটি দিয়ে পিলারগুলো ভরাট করার চেষ্টা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে মসজিদের চার পাশে ভিত্তি ঢালাই ও পিলার করার জন্য গর্ত করে। কিন্তু বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে হেলে পড়া পিলার দৃশ্যমান হয়। এ অবস্থা দেখে স্থানীয় জনগণ মোবাইল ফোনে ছবি তুলে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।