কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপ সোনাদিয়াকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নাগরিক অধিকার বঞ্চিত দ্বীপবাসীর জন্য মাহে রমজান মাসে অপচনশীল আবর্জনার বিনিময়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এক অভিনব সেবা চালু করেছে মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এ দ্বীপকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় রমজানের আগের দিন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় বর্জ্যরে বিনিময়ে মাসব্যাপী ইফতার সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পৃষ্ঠপোষকতা ও উপকূলীয় বনবিভাগের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রথম দিনে দ্বীপের সাড়ে তিনশ মানুষকে বর্জ্যরে বিনিময়ে ইফতার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের সূচনা করা হয়েছে। গেল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সহকারী ম্যানেজার আমজাদ হোসেন, মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী একেএম হাসানুজ্জামান মৃদুল, স্থানীয় ইউপি সদস্য একরাম মিয়াসহ অন্যরা। রোজার একদিন আগে খেজুর, মুড়িসহ ব্যাগভর্তি অন্য সামগ্রী পেয়ে বেজায় খুশি অবহেলিত সোনাদিয়াবাসী। সকাল থেকে দ্বীপের নারী-পুরুষ ও শিশুরা দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বৈর্জ্য কুড়িয়ে এনে বস্তা ভর্তি করে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। পরবর্তীতে এই বর্জ্য কক্সবাজার শহরে রিসাইক্লিং পাস্টে হস্তান্তর করা হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য একরাম মিয়া জানান, মহেশখালীর সোনাদিয়ার এই দ্বীপে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। তাই দ্বীপকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। এর ধারাবাহিকতায় প্রশাসন ও মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দ্বীপ ও বসতবাড়িকে আবর্জনা মুক্ত করতে সহায়তা করবে।
মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী একেএম হাসানুজ্জামান মৃদুল জানান, রমজান পুরো মাস এ দ্বীপের ব্যতিক্রমী কাযর্ক্রম অব্যাহত রেখে ঈদের আগে দ্বীপের সাড়ে তিনশ পরিবারের আবালবৃদ্ধবণিতা আড়াই হাজার মানুষের জন্য নতুন জামা দেয়া হবে।
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১১ চৈত্র ১৪২৯, ০২ রমজান ১৪৪৪
প্রতিনিধি, কক্সবাজার
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপ সোনাদিয়াকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নাগরিক অধিকার বঞ্চিত দ্বীপবাসীর জন্য মাহে রমজান মাসে অপচনশীল আবর্জনার বিনিময়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এক অভিনব সেবা চালু করেছে মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এ দ্বীপকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় রমজানের আগের দিন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় বর্জ্যরে বিনিময়ে মাসব্যাপী ইফতার সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পৃষ্ঠপোষকতা ও উপকূলীয় বনবিভাগের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রথম দিনে দ্বীপের সাড়ে তিনশ মানুষকে বর্জ্যরে বিনিময়ে ইফতার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের সূচনা করা হয়েছে। গেল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সহকারী ম্যানেজার আমজাদ হোসেন, মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী একেএম হাসানুজ্জামান মৃদুল, স্থানীয় ইউপি সদস্য একরাম মিয়াসহ অন্যরা। রোজার একদিন আগে খেজুর, মুড়িসহ ব্যাগভর্তি অন্য সামগ্রী পেয়ে বেজায় খুশি অবহেলিত সোনাদিয়াবাসী। সকাল থেকে দ্বীপের নারী-পুরুষ ও শিশুরা দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বৈর্জ্য কুড়িয়ে এনে বস্তা ভর্তি করে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। পরবর্তীতে এই বর্জ্য কক্সবাজার শহরে রিসাইক্লিং পাস্টে হস্তান্তর করা হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য একরাম মিয়া জানান, মহেশখালীর সোনাদিয়ার এই দ্বীপে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। তাই দ্বীপকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। এর ধারাবাহিকতায় প্রশাসন ও মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দ্বীপ ও বসতবাড়িকে আবর্জনা মুক্ত করতে সহায়তা করবে।
মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী একেএম হাসানুজ্জামান মৃদুল জানান, রমজান পুরো মাস এ দ্বীপের ব্যতিক্রমী কাযর্ক্রম অব্যাহত রেখে ঈদের আগে দ্বীপের সাড়ে তিনশ পরিবারের আবালবৃদ্ধবণিতা আড়াই হাজার মানুষের জন্য নতুন জামা দেয়া হবে।