ফরিদপুরর সদরপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন ও কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায়ের বিরুদ্ধে প্রদর্শনীর কৃষিজমি পরিচর্যার টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, প্রদর্শনীয় ভুট্টা ক্ষেতের জন্যে উপজেলার কৃষি অফিস থেকে শুধু বীজ, কিছু সার দিয়েই দায়িত্ব শেষ। আর কখনো খোঁজ নিতে আসেনি, গত কয়েক দিন আগে ফোনে সংবাদ দিয়ে আমাদের কয়েক জন কৃষককে অফিসে ডেকে নিয়ে একটা সাইনর্বোড হাতে ধরিয়ে দিয়ে, একটা ফরমে স্বাক্ষর রেখে বিদায় করে দেয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ভুট্টার ফসলের উৎপাদন বাড়াতে রাজস্ব অর্থায়নে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে দশটি ভুট্টার প্রদর্শনীয় প্লটে আবাদ করা হয়েছে। কৃষক রফিক মিয়া, মাইনুদ্দিন সেখ (বিষ্ণুপুর), হায়দার হোসেন, গফ্ফার মিয়া, বিল্লাল হোসেন, হাকিম (আকোটরচর), কালাম মীর (চরমানাইর), নামে ভুট্টার একক প্রদর্শনী’ দেয়া হয়। এই সব প্রদর্শনী ভুট্টা ক্ষেতের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন।
প্রদর্শনীর কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় ও উপকৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন ভুট্টার প্রদর্শনীয় সব ফাইল দেখাশোনা করেন। গত কয়দিন আগে বিষ্ণুপুর, আকোটেরচরসহ একাধিক ভুট্টা প্রদর্শনীয় এলাকায় ওই সব ব্লকে গিয়ে দেখা যায়, ভুট্টার গাছ সবে মাত্র পাতা গজিয়েছে বড় হয়নি। অথচ একই কৃষক পাশের ক্ষেতে ভুট্টার গাছ বড় এবং কাটার সময় হয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারা যায়, প্রদর্শনীর বীজও সারই বিতরণ করা হয়েছে, অন্যান্য উপকরণ ও জমিতে পরিচর্যা বাবদ জনপ্রতি নগদ অর্থ কৃষকদের দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়নি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ভুট্টার কৃষকের পরিচর্যার অর্থে পরিমাণ কত টাকা আমি বলতে পারবো না , আমার জানা নেই । সব কিছু স্যার জানে। তাকে জিঞ্জাসা করতে পারেন। এই নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সব কৃষকের মোবাইল নাম্বার না, পাওয়ায় টাকা পাঠাতে পারিনি। মোবাইল নম্বর পেয়ে টাকা পাঠিয়ে দেব।
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১১ চৈত্র ১৪২৯, ০২ রমজান ১৪৪৪
প্রতিনিধি, সদরপুর (ফরিদপুর)
ফরিদপুরর সদরপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন ও কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায়ের বিরুদ্ধে প্রদর্শনীর কৃষিজমি পরিচর্যার টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, প্রদর্শনীয় ভুট্টা ক্ষেতের জন্যে উপজেলার কৃষি অফিস থেকে শুধু বীজ, কিছু সার দিয়েই দায়িত্ব শেষ। আর কখনো খোঁজ নিতে আসেনি, গত কয়েক দিন আগে ফোনে সংবাদ দিয়ে আমাদের কয়েক জন কৃষককে অফিসে ডেকে নিয়ে একটা সাইনর্বোড হাতে ধরিয়ে দিয়ে, একটা ফরমে স্বাক্ষর রেখে বিদায় করে দেয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ভুট্টার ফসলের উৎপাদন বাড়াতে রাজস্ব অর্থায়নে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে দশটি ভুট্টার প্রদর্শনীয় প্লটে আবাদ করা হয়েছে। কৃষক রফিক মিয়া, মাইনুদ্দিন সেখ (বিষ্ণুপুর), হায়দার হোসেন, গফ্ফার মিয়া, বিল্লাল হোসেন, হাকিম (আকোটরচর), কালাম মীর (চরমানাইর), নামে ভুট্টার একক প্রদর্শনী’ দেয়া হয়। এই সব প্রদর্শনী ভুট্টা ক্ষেতের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন।
প্রদর্শনীর কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় ও উপকৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন ভুট্টার প্রদর্শনীয় সব ফাইল দেখাশোনা করেন। গত কয়দিন আগে বিষ্ণুপুর, আকোটেরচরসহ একাধিক ভুট্টা প্রদর্শনীয় এলাকায় ওই সব ব্লকে গিয়ে দেখা যায়, ভুট্টার গাছ সবে মাত্র পাতা গজিয়েছে বড় হয়নি। অথচ একই কৃষক পাশের ক্ষেতে ভুট্টার গাছ বড় এবং কাটার সময় হয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারা যায়, প্রদর্শনীর বীজও সারই বিতরণ করা হয়েছে, অন্যান্য উপকরণ ও জমিতে পরিচর্যা বাবদ জনপ্রতি নগদ অর্থ কৃষকদের দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়নি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ভুট্টার কৃষকের পরিচর্যার অর্থে পরিমাণ কত টাকা আমি বলতে পারবো না , আমার জানা নেই । সব কিছু স্যার জানে। তাকে জিঞ্জাসা করতে পারেন। এই নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সব কৃষকের মোবাইল নাম্বার না, পাওয়ায় টাকা পাঠাতে পারিনি। মোবাইল নম্বর পেয়ে টাকা পাঠিয়ে দেব।