কয়েকদিন ধরেই বিমানের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক করা হয়েছে বলে খবর রটেছে। যারা হ্যাক করেছেন তারা টাকা দিলে সার্ভারটি ফিরিয়ে দিবেন। তা না হলে বিমানের ই-মেইল সব ‘নষ্ট করে ফেলবে’। তবে, বিমানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তার পুরোটাই ‘গুজব’। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন একটা ছোট্ট ঝামেলা ছিল আমরা ‘সমাধান করে ফেলেছি’।
যোগাযোগ করা হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শফিউল আজিম খবরটি ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এটা অনেক আগেই সলভড হয়ে গেছে। এটা তো হ্যাক হয়নি। আমাদের ই-মেইল একটা সার্ভারে ওরা ইনক্রিপ্ট করে বসেছিল ওটা আমরা ওইদিনই ঠিক করেছি।’
‘আমাদের অন্য কোথাও কোন সমস্যা হয়নি তবে মেইলটা আমরা সাবধানে ব্যবহার করেছি। আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অথরিটির পরমার্শ অনুযায়ী তাদের টিম ও আমাদের টিমসহ কাজ করে রিকভার করেছি।’
এ ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ছে। বিমানের ভেতর থেকেও কেউ কেউ বিষয়টি বলছিলেন। তবে বিমানের কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন।
হ্যাকাররা ৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এমডি বলেন, ‘এই রকম ৫ মিলিয়ন ডলার কেউ দাবি করছে, এমনটা ঘটলে তো আমরাই বলতাম।’
এই রকম ‘সস্তা স্কিনশটে’ কেউ যদি এমন দাবি করে তবে বিষয়টি আমলে নেয়ার মতো বিষয় কি না প্রশ্ন তার। স্কিনশটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা হলো একদম ফেইক। এটা একটা স্কিন শট নিয়ে আপনিও বানাতে পারবেন। এরা হলো লাইক, ভিউ এসব বাড়ানোর জন্য করে।’
খবরে বলা হয়েছে, আগামী ৪ দিনের মধ্যে হ্যাকারদের দাবি না মানলে তারা এয়ারলাইনসের ডেটাবেজ, যাত্রীদের পাসপোর্টের বৃত্তান্ত, কর্মী ও অন্য উড়োজাহাজ সংস্থার তথ্য সবার জন্য উন্মক্ত করে দিবে। সেই সঙ্গে তারা ফ্লাইট, মালামাল ও সব ফ্লাইটের ক্রুদের বিষয়েও প্রায় ১০০ গিগাবাইট তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেবে।
গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান দাবি করে, গণমাধ্যমে হ্যাকিং বিষয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, উড়োজাহাজ চলাচলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসেস ও বিকল্প ব্যবস্থায় পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালে বিমান আরও একবার ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়েছিল।
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১১ চৈত্র ১৪২৯, ০২ রমজান ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
কয়েকদিন ধরেই বিমানের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক করা হয়েছে বলে খবর রটেছে। যারা হ্যাক করেছেন তারা টাকা দিলে সার্ভারটি ফিরিয়ে দিবেন। তা না হলে বিমানের ই-মেইল সব ‘নষ্ট করে ফেলবে’। তবে, বিমানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তার পুরোটাই ‘গুজব’। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন একটা ছোট্ট ঝামেলা ছিল আমরা ‘সমাধান করে ফেলেছি’।
যোগাযোগ করা হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শফিউল আজিম খবরটি ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এটা অনেক আগেই সলভড হয়ে গেছে। এটা তো হ্যাক হয়নি। আমাদের ই-মেইল একটা সার্ভারে ওরা ইনক্রিপ্ট করে বসেছিল ওটা আমরা ওইদিনই ঠিক করেছি।’
‘আমাদের অন্য কোথাও কোন সমস্যা হয়নি তবে মেইলটা আমরা সাবধানে ব্যবহার করেছি। আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অথরিটির পরমার্শ অনুযায়ী তাদের টিম ও আমাদের টিমসহ কাজ করে রিকভার করেছি।’
এ ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ছে। বিমানের ভেতর থেকেও কেউ কেউ বিষয়টি বলছিলেন। তবে বিমানের কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন।
হ্যাকাররা ৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এমডি বলেন, ‘এই রকম ৫ মিলিয়ন ডলার কেউ দাবি করছে, এমনটা ঘটলে তো আমরাই বলতাম।’
এই রকম ‘সস্তা স্কিনশটে’ কেউ যদি এমন দাবি করে তবে বিষয়টি আমলে নেয়ার মতো বিষয় কি না প্রশ্ন তার। স্কিনশটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা হলো একদম ফেইক। এটা একটা স্কিন শট নিয়ে আপনিও বানাতে পারবেন। এরা হলো লাইক, ভিউ এসব বাড়ানোর জন্য করে।’
খবরে বলা হয়েছে, আগামী ৪ দিনের মধ্যে হ্যাকারদের দাবি না মানলে তারা এয়ারলাইনসের ডেটাবেজ, যাত্রীদের পাসপোর্টের বৃত্তান্ত, কর্মী ও অন্য উড়োজাহাজ সংস্থার তথ্য সবার জন্য উন্মক্ত করে দিবে। সেই সঙ্গে তারা ফ্লাইট, মালামাল ও সব ফ্লাইটের ক্রুদের বিষয়েও প্রায় ১০০ গিগাবাইট তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেবে।
গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান দাবি করে, গণমাধ্যমে হ্যাকিং বিষয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, উড়োজাহাজ চলাচলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসেস ও বিকল্প ব্যবস্থায় পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালে বিমান আরও একবার ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়েছিল।