সংলাপের চিঠি পাঠানো সরকারের নতুন কৌশল : ফখরুল

সংলাপের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে বিএনপিকে যে চিঠি দিয়েছে, তা নতুন কৌশল বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে। তবে সংলাপের জন্য নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠি যে সরকারের নতুন কৌশল, তাতে সন্দেহ নেই। সত্যিকারভাবে নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতা নেই কিছু করার। দলীয় এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই চিঠি-সংলাপ নয়, আসল জায়গায় কাজ করুন। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা দিন।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

বিএনপিকে নয়, জনগণকে ক্ষমতায় আসতে দেয়ার সুযোগ করতে হবে, উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারকে। এরা মুখে গণতন্ত্র ও ভোটের কথা বলবে আর প্রশাসনকে যেভাবে বলবে সেভাবে চলবে। আবারও তারা অতীতের মতো একই পাঁয়তারা করছে। পশ্চিমা বিশ্ব এখন আর আগের মতো নির্বাচন চায় না।

আজকে যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, তারা সর্বক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর মিথ্যার আশ্রয় দিচ্ছে, অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার চেতনা কী ছিল? চুরি করা, লুট করা, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া, নাকি সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা?

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শূন্যতা ও ব্যর্থতার কারণেই ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা ঘটেছিল বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার চেতনা আজ ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। একটি মহলের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা লুট করছে। আওয়ামী লীগ সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা নেই।

বিএনপি ধোঁকাবাজির রাজনীতি করে না, উল্লেখ করে সভায় ড. মঈন খান বলেন, আমরা যা বলি, তা করি। বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করে। আজ দেশের মানুষের টাকা কেন লুটপাট করে পাচার করা হচ্ছে। এমন স্বাধীনতা তো চায়নি বাংলার জনগণ। স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ও আদর্শ আবারও প্রতিষ্ঠা করা হবে।

দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, এজ এড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম প্রমুখ।

রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩ , ১২ চৈত্র ১৪২৯, ০৩ রমজান ১৪৪৪

সংলাপের চিঠি পাঠানো সরকারের নতুন কৌশল : ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সংলাপের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে বিএনপিকে যে চিঠি দিয়েছে, তা নতুন কৌশল বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে। তবে সংলাপের জন্য নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠি যে সরকারের নতুন কৌশল, তাতে সন্দেহ নেই। সত্যিকারভাবে নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতা নেই কিছু করার। দলীয় এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই চিঠি-সংলাপ নয়, আসল জায়গায় কাজ করুন। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা দিন।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

বিএনপিকে নয়, জনগণকে ক্ষমতায় আসতে দেয়ার সুযোগ করতে হবে, উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারকে। এরা মুখে গণতন্ত্র ও ভোটের কথা বলবে আর প্রশাসনকে যেভাবে বলবে সেভাবে চলবে। আবারও তারা অতীতের মতো একই পাঁয়তারা করছে। পশ্চিমা বিশ্ব এখন আর আগের মতো নির্বাচন চায় না।

আজকে যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, তারা সর্বক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর মিথ্যার আশ্রয় দিচ্ছে, অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার চেতনা কী ছিল? চুরি করা, লুট করা, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া, নাকি সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা?

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শূন্যতা ও ব্যর্থতার কারণেই ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা ঘটেছিল বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার চেতনা আজ ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। একটি মহলের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা লুট করছে। আওয়ামী লীগ সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা নেই।

বিএনপি ধোঁকাবাজির রাজনীতি করে না, উল্লেখ করে সভায় ড. মঈন খান বলেন, আমরা যা বলি, তা করি। বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করে। আজ দেশের মানুষের টাকা কেন লুটপাট করে পাচার করা হচ্ছে। এমন স্বাধীনতা তো চায়নি বাংলার জনগণ। স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ও আদর্শ আবারও প্রতিষ্ঠা করা হবে।

দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, এজ এড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম প্রমুখ।