তাইওয়ানকে দূরে ঠেলে চীনের হাত ধরল হন্ডুরাস

অবশেষে তাইওয়ানের সঙ্গে কয়েক দশকের সম্পর্কের সমাপ্তি-রেখা টানল মধ্য আমেরিকান দেশ হন্ডুরাস। একইসঙ্গে তাইওয়ানকে ছেড়ে চীনের হাত ধরেছে দেশটি। মধ্য আমেরিকান এই দেশটি জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র চীনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

অন্যদিকে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন্ডুরাসকে অত্যধিক পরিমাণ অর্থ দাবি করার এবং বেইজিংয়ের কথায় প্রলুব্ধ হওয়ার অভিযোগ করেছেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

তাইওয়ানের সাথে হন্ডুরাসের দীর্ঘ সম্পর্কের সমাপ্তি বেশ প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ এশিয়ার পরাশক্তি এই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করতে হন্ডুরান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে চীন সফর করেন। এছাড়া হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রোও সম্প্রতি বলেছিলেন, তার সরকার বেইজিংয়ের সাথে সম্পর্ক শুরু করবে। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় হন্ডুরাস। বিবৃতিতে হন্ডুরাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে একমাত্র বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যা সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাইওয়ান হচ্ছে ‘চীনা ভূখ-ের অবিচ্ছেদ্য অংশ’।

মূলত বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশগুলোকে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখার অনুমতি দেয় না চীন। কারণ গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত এই দ্বীপটিকে নিজস্ব ভূখ- বলে দাবি করে থাকে চীন।

চীনের দাবি, গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান তার নিজস্ব ভূখ- এবং এই কারণে তাইওয়ানের সঙ্গে কোনও রাষ্ট্র-থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক রাখার অধিকার নেই। যদিও বেইজিংয়ের এই দাবি তাইপেই দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে থাকে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার এবং চীনের সাথে সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার কথা বলেছিলেন।

তবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর নিজের অবস্থান পাল্টে তিনি তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার আশার কথা বলেছিলেন।

কিন্তু চলতি মাসের মাঝামাঝিতে প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো তার সেই অবস্থানও পাল্টে ফেলেন এবং তাইওয়ানকে দূরে ঠেলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক শুরুর কথা জানান। আর এরপর শনিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণা দিলো হন্ডুরাস।

এদিকে হন্ডুরাসের এই ঘোষণার পরপরই রোববার প্রতিক্রিয়া জানায় তাইওয়ান। এদিন তাইপেইতে বক্তৃতাকালে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ বলেন, গত বছরের শুরুতে দায়িত্ব গ্রহণ করা কাস্ত্রোর সরকারের চীন সম্পর্কে ‘সবসময় বিভ্রম ছিল’ এবং চীনের ‘প্রলোভন’ কখনোই থামেনি।

সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ , ১৩ চৈত্র ১৪২৯, ০৪ রমজান ১৪৪৪

তাইওয়ানকে দূরে ঠেলে চীনের হাত ধরল হন্ডুরাস

অবশেষে তাইওয়ানের সঙ্গে কয়েক দশকের সম্পর্কের সমাপ্তি-রেখা টানল মধ্য আমেরিকান দেশ হন্ডুরাস। একইসঙ্গে তাইওয়ানকে ছেড়ে চীনের হাত ধরেছে দেশটি। মধ্য আমেরিকান এই দেশটি জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র চীনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

অন্যদিকে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন্ডুরাসকে অত্যধিক পরিমাণ অর্থ দাবি করার এবং বেইজিংয়ের কথায় প্রলুব্ধ হওয়ার অভিযোগ করেছেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

তাইওয়ানের সাথে হন্ডুরাসের দীর্ঘ সম্পর্কের সমাপ্তি বেশ প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ এশিয়ার পরাশক্তি এই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করতে হন্ডুরান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে চীন সফর করেন। এছাড়া হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রোও সম্প্রতি বলেছিলেন, তার সরকার বেইজিংয়ের সাথে সম্পর্ক শুরু করবে। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় হন্ডুরাস। বিবৃতিতে হন্ডুরাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে একমাত্র বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যা সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাইওয়ান হচ্ছে ‘চীনা ভূখ-ের অবিচ্ছেদ্য অংশ’।

মূলত বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশগুলোকে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখার অনুমতি দেয় না চীন। কারণ গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত এই দ্বীপটিকে নিজস্ব ভূখ- বলে দাবি করে থাকে চীন।

চীনের দাবি, গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান তার নিজস্ব ভূখ- এবং এই কারণে তাইওয়ানের সঙ্গে কোনও রাষ্ট্র-থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক রাখার অধিকার নেই। যদিও বেইজিংয়ের এই দাবি তাইপেই দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে থাকে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার এবং চীনের সাথে সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার কথা বলেছিলেন।

তবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর নিজের অবস্থান পাল্টে তিনি তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার আশার কথা বলেছিলেন।

কিন্তু চলতি মাসের মাঝামাঝিতে প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো তার সেই অবস্থানও পাল্টে ফেলেন এবং তাইওয়ানকে দূরে ঠেলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক শুরুর কথা জানান। আর এরপর শনিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণা দিলো হন্ডুরাস।

এদিকে হন্ডুরাসের এই ঘোষণার পরপরই রোববার প্রতিক্রিয়া জানায় তাইওয়ান। এদিন তাইপেইতে বক্তৃতাকালে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ বলেন, গত বছরের শুরুতে দায়িত্ব গ্রহণ করা কাস্ত্রোর সরকারের চীন সম্পর্কে ‘সবসময় বিভ্রম ছিল’ এবং চীনের ‘প্রলোভন’ কখনোই থামেনি।