ইতিহাসে প্রথমবার ব্রাজিলকে হারালো মরক্কো

অন্তর্বর্তীকালীন কোচ মেনো মেনেজেসের অধীনে পরাজয় দিয়ে ব্রাজিলের সূচনা হয়েছে। বিশ্বকাপের পর প্রথম খেলতে নেমে ব্রাজিল গতকাল ভোরে (বাংলাদেশ সময়) মরক্কোর কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে। বিজয়ী দলের হয়ে সোফিয়ান বুফাল এবং আবদেলহামিদ সাবিরি। ব্রাজিলের এ ম্যাচের অধিনায়ক ক্যাসেমিরো করেন একটি গোল।

কাতার বিশ্বকাপে দুরন্ত ফুটবল উপহার দেয়া মরক্কো সে ধারা বজায় রেখে এ ম্যাচে দারুণ উপভোগ্য ফুটবল উপহার দেয়। তারা ব্রাজিলের ওপর বেশিরভাগ সময় চাপ বজায় রেখে জয় ছিনিয়ে নেয়। তাঞ্জিয়েরের বাটুটা স্টেডিয়ামে ৬৫ হাজার সমর্থকের সামনে ব্রাজিলকে চাপে রাখতে সক্ষম হয় মরক্কো। তবে মাঝে মাঝে ব্রাজিল বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। কিন্তু তারা প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচ হারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় পালমিরাসের উইঙ্গার রনি সহজ সুযোগ পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ২২ মিনিটে গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনোর শিশুসূলভ ভুলে বল পেয়ে যান রনি এবং তিনি ফাকা পোস্টে শট মারলে সেটি বাঁচিয়ে দেন একজন ডিফেন্ডার। ফিরতি বল মারেন ভিনিসিয়ুস, কিন্তু গোলরক্ষক সেটি রুখে দিতে সক্ষম হন।

এর কিছুক্ষণ পর ভিনিসিয়ুস মরক্কোর পোস্টে বল পাঠান। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল করেন রেফারি। যদিও এ অফসাইডের সিদ্ধান্তটি ছিল বিতর্কিত এবং ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়রা তিউনিসয়ার রেফারি সাদক সেলমির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মরক্কো প্রথম গোলটি করে ডিফেন্ডার এমারসন রয়ালের ভুলে। রয়াল পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি পেয়ে যান বিলাল এল খান্নাউস। তিনি সুবিধাজনক জায়গায় থাকা বুফালকে দিলে তিনি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।

এরপর হাকিম জিয়াস দুইবার সুযোগ নষ্ট করেন। রড্রিগোর শট অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক বুনো। ব্রাজিল ম্যাচে সমতা ফেরায় ৬৭ মিনিটে ক্যাসেমিরোর গোলে। পেনাল্টি বক্সের ঠিক ভেতর থেকে ক্যাসেমিরোর নেয়া শট গোলরক্ষকের হাতের নিচ দিয়ে চলে যায় জালে। এর ১২ মিনিট পর আবার গোল করে এগিয়ে যায় মরক্কো। রক্ষণভাগের ভুলের সুযোগে বদলি খেলোয়াড় সাবিরি গোল করে এগিয়ে দেন মরক্কোকে। শেষ পর্যন্ত তার এ গোলই দুই দলের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করে দেয়।

প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা মরক্কো আগামী দিনে বিশ্বফুটবলের বড় শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে তা তাদের ধারাবাহিকতা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্রাজিলকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে খেলার কৌশল এবং কিছু খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে হবে। স্থায়ী কোচ নিয়োগ দিলে বোঝা যাবে ব্রাজিলে ভবিষ্যতে কেমন করবে।

সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ , ১৩ চৈত্র ১৪২৯, ০৪ রমজান ১৪৪৪

ইতিহাসে প্রথমবার ব্রাজিলকে হারালো মরক্কো

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

অন্তর্বর্তীকালীন কোচ মেনো মেনেজেসের অধীনে পরাজয় দিয়ে ব্রাজিলের সূচনা হয়েছে। বিশ্বকাপের পর প্রথম খেলতে নেমে ব্রাজিল গতকাল ভোরে (বাংলাদেশ সময়) মরক্কোর কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে। বিজয়ী দলের হয়ে সোফিয়ান বুফাল এবং আবদেলহামিদ সাবিরি। ব্রাজিলের এ ম্যাচের অধিনায়ক ক্যাসেমিরো করেন একটি গোল।

কাতার বিশ্বকাপে দুরন্ত ফুটবল উপহার দেয়া মরক্কো সে ধারা বজায় রেখে এ ম্যাচে দারুণ উপভোগ্য ফুটবল উপহার দেয়। তারা ব্রাজিলের ওপর বেশিরভাগ সময় চাপ বজায় রেখে জয় ছিনিয়ে নেয়। তাঞ্জিয়েরের বাটুটা স্টেডিয়ামে ৬৫ হাজার সমর্থকের সামনে ব্রাজিলকে চাপে রাখতে সক্ষম হয় মরক্কো। তবে মাঝে মাঝে ব্রাজিল বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। কিন্তু তারা প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচ হারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় পালমিরাসের উইঙ্গার রনি সহজ সুযোগ পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ২২ মিনিটে গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনোর শিশুসূলভ ভুলে বল পেয়ে যান রনি এবং তিনি ফাকা পোস্টে শট মারলে সেটি বাঁচিয়ে দেন একজন ডিফেন্ডার। ফিরতি বল মারেন ভিনিসিয়ুস, কিন্তু গোলরক্ষক সেটি রুখে দিতে সক্ষম হন।

এর কিছুক্ষণ পর ভিনিসিয়ুস মরক্কোর পোস্টে বল পাঠান। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল করেন রেফারি। যদিও এ অফসাইডের সিদ্ধান্তটি ছিল বিতর্কিত এবং ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়রা তিউনিসয়ার রেফারি সাদক সেলমির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মরক্কো প্রথম গোলটি করে ডিফেন্ডার এমারসন রয়ালের ভুলে। রয়াল পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি পেয়ে যান বিলাল এল খান্নাউস। তিনি সুবিধাজনক জায়গায় থাকা বুফালকে দিলে তিনি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।

এরপর হাকিম জিয়াস দুইবার সুযোগ নষ্ট করেন। রড্রিগোর শট অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক বুনো। ব্রাজিল ম্যাচে সমতা ফেরায় ৬৭ মিনিটে ক্যাসেমিরোর গোলে। পেনাল্টি বক্সের ঠিক ভেতর থেকে ক্যাসেমিরোর নেয়া শট গোলরক্ষকের হাতের নিচ দিয়ে চলে যায় জালে। এর ১২ মিনিট পর আবার গোল করে এগিয়ে যায় মরক্কো। রক্ষণভাগের ভুলের সুযোগে বদলি খেলোয়াড় সাবিরি গোল করে এগিয়ে দেন মরক্কোকে। শেষ পর্যন্ত তার এ গোলই দুই দলের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করে দেয়।

প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা মরক্কো আগামী দিনে বিশ্বফুটবলের বড় শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে তা তাদের ধারাবাহিকতা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্রাজিলকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে খেলার কৌশল এবং কিছু খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে হবে। স্থায়ী কোচ নিয়োগ দিলে বোঝা যাবে ব্রাজিলে ভবিষ্যতে কেমন করবে।