বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্র থেকে বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে এবং বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি প্রস্তাবের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। গতকাল সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তারা।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদ আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি চার দফা দাবি পেশ করেন। তাদের দাবি গুলো হলো- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধ করা, অবৈধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থাগ্রহণ করা, বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে নূন্যতম ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা এবং নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা।
লিখিত বক্তব্যে শ্রমিকরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের অবদান অপরিসীম। প্রাচীন শ্রমঘন এই শিল্প থেকে বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আহরিত হয়। দেশের সুবিধা বঞ্চিত লাখ লাখ শ্রমিক বিড়ি শিল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। ব্রিটিশ বেনিয়াদের দোসর ও নব্য মীরজাফর আত্মা, প্রজ্ঞাসহ বিভিন্ন অস্থিত্বহীন সংগঠন বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিভিন্ন অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা আরো বলেন, বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কতিপয় অসাধু আমলা বিড়ির ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিড়ির মূল্য বৃদ্ধি ও মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে থাকেন। এতে মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ , ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ০৫ রমজান ১৪৪৪
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্র থেকে বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে এবং বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি প্রস্তাবের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। গতকাল সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তারা।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদ আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি চার দফা দাবি পেশ করেন। তাদের দাবি গুলো হলো- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধ করা, অবৈধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থাগ্রহণ করা, বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে নূন্যতম ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা এবং নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা।
লিখিত বক্তব্যে শ্রমিকরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের অবদান অপরিসীম। প্রাচীন শ্রমঘন এই শিল্প থেকে বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আহরিত হয়। দেশের সুবিধা বঞ্চিত লাখ লাখ শ্রমিক বিড়ি শিল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। ব্রিটিশ বেনিয়াদের দোসর ও নব্য মীরজাফর আত্মা, প্রজ্ঞাসহ বিভিন্ন অস্থিত্বহীন সংগঠন বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিভিন্ন অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা আরো বলেন, বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কতিপয় অসাধু আমলা বিড়ির ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিড়ির মূল্য বৃদ্ধি ও মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে থাকেন। এতে মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।