খুলনায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন ১

খুলনা নগরে ১৩ বছর আগে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর আট আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজা পাওয়া ওই আসামির নাম রনি চৌধুরী ওরফে গ্রেনেড বাবু। তার বাড়ি খুলনা নগরের শামসুর রহমান সড়কে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়ার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে তিনি আর কখনো খুলনার আদালতে হাজির হননি। রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১০ জুন খুলনা নগরের শামসুর রহমান সড়কে জনসম্মুখে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ২৯ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর হোসেন কচিকে।

পরদিন তার বাবা ইলিয়াস হোসেন খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, মামলায় আসামি করা হয় ছয়জনকে। এরমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া রনি চৌধুরী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দি অনুযায়ী, খুনের ঘটনা ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনের নাম বেরিয়ে আসে। মোট নয়জনকে আসামি করে ২০১১ সালের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ বলেন, মামলার প্রথম শুনানির দিন ধার্য ছিল ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর। পরে ২০১৩ সালে মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর গত অক্টোবর পর্যন্ত মামলাটির ৬১ বার তারিখ পরিবর্তন হয়। কিন্তু বাদীসহ কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হচ্ছিলেন না।

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ , ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ০৫ রমজান ১৪৪৪

খুলনায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন ১

জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা

খুলনা নগরে ১৩ বছর আগে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর আট আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজা পাওয়া ওই আসামির নাম রনি চৌধুরী ওরফে গ্রেনেড বাবু। তার বাড়ি খুলনা নগরের শামসুর রহমান সড়কে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়ার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে তিনি আর কখনো খুলনার আদালতে হাজির হননি। রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১০ জুন খুলনা নগরের শামসুর রহমান সড়কে জনসম্মুখে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ২৯ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর হোসেন কচিকে।

পরদিন তার বাবা ইলিয়াস হোসেন খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, মামলায় আসামি করা হয় ছয়জনকে। এরমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া রনি চৌধুরী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দি অনুযায়ী, খুনের ঘটনা ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনের নাম বেরিয়ে আসে। মোট নয়জনকে আসামি করে ২০১১ সালের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ বলেন, মামলার প্রথম শুনানির দিন ধার্য ছিল ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর। পরে ২০১৩ সালে মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর গত অক্টোবর পর্যন্ত মামলাটির ৬১ বার তারিখ পরিবর্তন হয়। কিন্তু বাদীসহ কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হচ্ছিলেন না।