গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক মঞ্চস্থ

বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক ‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাঁচাল’ মঞ্চস্থ হয়েছে।

গতকাল দুপুরে শহরের শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি অডিটেরিয়ামে জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এই নাট্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা কালচারাল অফিসার ফারহান কবীর সিফাত।

এই নাটকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পাকিস্তান বাহিনীকে প্রতিরোধ, দেশ স্বাধীন করতে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও আবদান এবং বীরত্বগাঁথা তুলে ধরা হয়। নাট্যানুরাগী, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ দলবেধে নাটকটি উপভোগ করেন। পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও অনেকে সময়-সুযোগ বের করে পরিবার পরিজন নিয়ে উপস্থিত ছিলেন নাট্যানুষ্ঠানে। বাংলা নাটকের এমন উপস্থাপনা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। এমন আয়োজন মঞ্চ নাটকের সুদিন ফেরাবে বলে দর্শকরা প্রত্যাশা করেছেন। উৎসব মুখর পরিবেশে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী ও কলাকুশলীরা এই নাটক মঞ্চস্থ করেন।

নাট্যানুরাগী সবুজ, সেজুতি, সামিরা বলেন, ‘বিশ্ব নাট্য দিবসে মুক্তিযুদ্ধের নাটক ‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাঁচাল’ মঞ্চস্থ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস ভিত্তিক এই নাটক আমাদের তরুণ প্রজম্মের কাছে অজানা মুক্তিযুদ্ধকে জানান দিয়েছে। এই ধরনের আয়োজনের জন্য আমরা গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এতে মঞ্চ নাটকের সুদিন ফিরবে বলে বিশ্বাস করি। দর্শকের উচ্ছাসের সঙ্গে আমরা আমাদের ভূমিকা অটুট রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। তাই আমাদের দিক থেকে এক্ষেত্রে সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করছি।’

গোপালগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার ফারহান কবীর সিফাত বলেন, ‘সাংস্কৃতিক জাগরণের ক্ষেত্রে মঞ্চ নাটকের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। মঞ্চ নাটকের ঐতিহ্য অত্যন্ত প্রাচীন। নাট্যশিল্পকে এগিয়ে নিতে গণমানুষের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভবিষ্যতে নাট্যশিল্পের বিকাশে অব্যাহতভাবে কাজ করতে হবে। সেইজন্য আমরা বিশ্বনাট্য দিবসে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক মঞ্চস্থ করেছি। এটি দর্শক হৃদয়ে দাগ কেটেছে। এমন সব আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা নাটককে এগিয়ে নেব। সংস্কৃতিতে জাগরণ ঘটাব।

নাটকটি রচনা করেছেন নাট্যকার এসএম সোলায়মান ও নির্দেশনায় ছিলেন গোপালগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগের প্রশিক্ষক শেখ আবদুস সবুর।

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ , ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ০৫ রমজান ১৪৪৪

গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক মঞ্চস্থ

প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ

বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক ‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাঁচাল’ মঞ্চস্থ হয়েছে।

গতকাল দুপুরে শহরের শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি অডিটেরিয়ামে জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এই নাট্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা কালচারাল অফিসার ফারহান কবীর সিফাত।

এই নাটকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পাকিস্তান বাহিনীকে প্রতিরোধ, দেশ স্বাধীন করতে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও আবদান এবং বীরত্বগাঁথা তুলে ধরা হয়। নাট্যানুরাগী, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ দলবেধে নাটকটি উপভোগ করেন। পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও অনেকে সময়-সুযোগ বের করে পরিবার পরিজন নিয়ে উপস্থিত ছিলেন নাট্যানুষ্ঠানে। বাংলা নাটকের এমন উপস্থাপনা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। এমন আয়োজন মঞ্চ নাটকের সুদিন ফেরাবে বলে দর্শকরা প্রত্যাশা করেছেন। উৎসব মুখর পরিবেশে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী ও কলাকুশলীরা এই নাটক মঞ্চস্থ করেন।

নাট্যানুরাগী সবুজ, সেজুতি, সামিরা বলেন, ‘বিশ্ব নাট্য দিবসে মুক্তিযুদ্ধের নাটক ‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাঁচাল’ মঞ্চস্থ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস ভিত্তিক এই নাটক আমাদের তরুণ প্রজম্মের কাছে অজানা মুক্তিযুদ্ধকে জানান দিয়েছে। এই ধরনের আয়োজনের জন্য আমরা গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এতে মঞ্চ নাটকের সুদিন ফিরবে বলে বিশ্বাস করি। দর্শকের উচ্ছাসের সঙ্গে আমরা আমাদের ভূমিকা অটুট রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। তাই আমাদের দিক থেকে এক্ষেত্রে সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করছি।’

গোপালগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার ফারহান কবীর সিফাত বলেন, ‘সাংস্কৃতিক জাগরণের ক্ষেত্রে মঞ্চ নাটকের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। মঞ্চ নাটকের ঐতিহ্য অত্যন্ত প্রাচীন। নাট্যশিল্পকে এগিয়ে নিতে গণমানুষের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভবিষ্যতে নাট্যশিল্পের বিকাশে অব্যাহতভাবে কাজ করতে হবে। সেইজন্য আমরা বিশ্বনাট্য দিবসে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক মঞ্চস্থ করেছি। এটি দর্শক হৃদয়ে দাগ কেটেছে। এমন সব আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা নাটককে এগিয়ে নেব। সংস্কৃতিতে জাগরণ ঘটাব।

নাটকটি রচনা করেছেন নাট্যকার এসএম সোলায়মান ও নির্দেশনায় ছিলেন গোপালগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগের প্রশিক্ষক শেখ আবদুস সবুর।