নতুন শিক্ষাক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিরোধী রাজনীতিক ও নোটবই ব্যবসায়ীরা মাঠে নেমেছেন

শিক্ষামন্ত্রী

মুখস্থ বিদ্যা থেকে বের হয়ে এসে শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে নতুন কারিকুলাম (শিক্ষাক্রম) প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘এটাকে নস্যাৎ করতে কিছু বিরোধী রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দল, কোচিং ব্যবসায়ী, নোট বই ও গাইড বই ব্যবসায়ীরা এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠে নেমেছেন। এছাড়া কিছু শিক্ষক যারা কোচিং করান তারা নিজেদের স্বার্থহানীর আশঙ্কায় এই কারিকুলামের বিরোধিতা করছেন।’

মন্ত্রী গতকাল আশুলিয়ার ব্র্যাক সিডিএম সেন্টারে নতুন শিক্ষাক্রমের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনে লেখকদের নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এ কর্মশালা চলবে আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত। এ কর্মশালায় ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বইয়ের পরিমার্জনের কাজ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা পেছনে ফেরত যাব না, সামনে এগোবো। দুইশ’ বছর ধরে আমরা প্রশ্ন ও উত্তর প্রদান নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়েছিলাম। যার ফলে মুখস্থ বিদ্যার প্রচলন হয়েছে।’

মুখস্থ বিদ্যা ‘মনে’ থাকে না মন্তব্য করে দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাকে আনন্দময় করা এবং শিক্ষার্থীদের ভাবতে শেখানো, বিশ্লেষণ করতে শেখানো, সবাই মিলে করা এই সমস্ত কিছু নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা এই ব্যবস্থায় ভীষণ খুশি। শিক্ষকদের একটা বড় অংশ খুশি।’

বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ফাহাদুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আবুল মোমেন, ড. স্বরোচিষ সরকার ও ড. নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট লেখকরা উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ , ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ০৫ রমজান ১৪৪৪

নতুন শিক্ষাক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিরোধী রাজনীতিক ও নোটবই ব্যবসায়ীরা মাঠে নেমেছেন

শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মুখস্থ বিদ্যা থেকে বের হয়ে এসে শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে নতুন কারিকুলাম (শিক্ষাক্রম) প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘এটাকে নস্যাৎ করতে কিছু বিরোধী রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দল, কোচিং ব্যবসায়ী, নোট বই ও গাইড বই ব্যবসায়ীরা এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠে নেমেছেন। এছাড়া কিছু শিক্ষক যারা কোচিং করান তারা নিজেদের স্বার্থহানীর আশঙ্কায় এই কারিকুলামের বিরোধিতা করছেন।’

মন্ত্রী গতকাল আশুলিয়ার ব্র্যাক সিডিএম সেন্টারে নতুন শিক্ষাক্রমের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনে লেখকদের নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এ কর্মশালা চলবে আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত। এ কর্মশালায় ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বইয়ের পরিমার্জনের কাজ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা পেছনে ফেরত যাব না, সামনে এগোবো। দুইশ’ বছর ধরে আমরা প্রশ্ন ও উত্তর প্রদান নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়েছিলাম। যার ফলে মুখস্থ বিদ্যার প্রচলন হয়েছে।’

মুখস্থ বিদ্যা ‘মনে’ থাকে না মন্তব্য করে দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাকে আনন্দময় করা এবং শিক্ষার্থীদের ভাবতে শেখানো, বিশ্লেষণ করতে শেখানো, সবাই মিলে করা এই সমস্ত কিছু নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা এই ব্যবস্থায় ভীষণ খুশি। শিক্ষকদের একটা বড় অংশ খুশি।’

বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ফাহাদুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আবুল মোমেন, ড. স্বরোচিষ সরকার ও ড. নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট লেখকরা উপস্থিত ছিলেন।