জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রথমে শুরু হবে
আগামী ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে দেশের জেলা ও উপজেলায় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস (বৈকালিক চেম্বার) শুরু করবেন। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রথমে ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলা হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। এই প্রকল্প সফল হলে পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো হবে। এ নিয়ে গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ বিষয় বিস্তারিক আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক শেষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৈাধুরী সংবাদকে জানান, চিকিৎসকরা সরকারি হাসপাতালে দায়িত্ব পালনের পর বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বা চেম্বারে রোগী দেখেন। ৩০ মার্চ থেকে তারা ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস (বৈকালিক চেম্বার) হাসপাতালে করতে পারবেন।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথমে ১০টি জেলা হাসপাতাল ও ২০টি উপজেলা হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানে কোন ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪ জেলা ও ৫০০ উপজেলা হাসপাতালে চালু করা হবে। সপ্তাহে দুই দিন আপাতত এর কার্যক্রম চলবে। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা সরকারি হাসপাতালের চেম্বার করবেন। তাদের বৈকালিক চেম্বার করার জন্য সম্মানি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মানির একটি অংশ পাবেন চিকিৎসক, আরেকটি অংশ স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাবেন। আর ছোটখাট সার্জারি ও পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তার জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৈঠকে জানিয়েছেন, বৈকালিক চেম্বারে অধ্যাপকদের ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ টাকা পাবেন চিকিৎসক। স্বাস্থ্যকর্মী পাবেন পাবেন ৫০ টাকা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাবেন ৫০ টাকা।
সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। এর মধ্যে ডাক্তার পাাবেন ৩০০ টাকা। স্বাস্থ্যকর্মী পাবেন ৫০ টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাবেন ৫০ টাকা। এভাবে জুনিয়র কনসালটেন্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা। তার মধ্যে ডাক্তার পাবেন ২০০ টাকা। মেডিকেল অফিসারের ফি ২০০ টাকা। তার মধ্যে ডাক্তার পাবেন ১৫০ টাকা। এছাড়া বৈকালিক চেম্বারে ছোটখাট সার্জারি ও লোকাল এ্যানেসথেসিয়ার ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ , ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ০৫ রমজান ১৪৪৪
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রথমে শুরু হবে
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
আগামী ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে দেশের জেলা ও উপজেলায় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস (বৈকালিক চেম্বার) শুরু করবেন। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রথমে ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলা হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। এই প্রকল্প সফল হলে পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো হবে। এ নিয়ে গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ বিষয় বিস্তারিক আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক শেষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৈাধুরী সংবাদকে জানান, চিকিৎসকরা সরকারি হাসপাতালে দায়িত্ব পালনের পর বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বা চেম্বারে রোগী দেখেন। ৩০ মার্চ থেকে তারা ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস (বৈকালিক চেম্বার) হাসপাতালে করতে পারবেন।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথমে ১০টি জেলা হাসপাতাল ও ২০টি উপজেলা হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানে কোন ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪ জেলা ও ৫০০ উপজেলা হাসপাতালে চালু করা হবে। সপ্তাহে দুই দিন আপাতত এর কার্যক্রম চলবে। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা সরকারি হাসপাতালের চেম্বার করবেন। তাদের বৈকালিক চেম্বার করার জন্য সম্মানি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মানির একটি অংশ পাবেন চিকিৎসক, আরেকটি অংশ স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাবেন। আর ছোটখাট সার্জারি ও পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তার জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৈঠকে জানিয়েছেন, বৈকালিক চেম্বারে অধ্যাপকদের ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ টাকা পাবেন চিকিৎসক। স্বাস্থ্যকর্মী পাবেন পাবেন ৫০ টাকা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাবেন ৫০ টাকা।
সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। এর মধ্যে ডাক্তার পাাবেন ৩০০ টাকা। স্বাস্থ্যকর্মী পাবেন ৫০ টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাবেন ৫০ টাকা। এভাবে জুনিয়র কনসালটেন্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা। তার মধ্যে ডাক্তার পাবেন ২০০ টাকা। মেডিকেল অফিসারের ফি ২০০ টাকা। তার মধ্যে ডাক্তার পাবেন ১৫০ টাকা। এছাড়া বৈকালিক চেম্বারে ছোটখাট সার্জারি ও লোকাল এ্যানেসথেসিয়ার ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।