রোনালদোর জোড়া গোলে পর্তুগালের বড় জয়

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো তার দেশ পর্তুগালের হয়ে রেকর্ড ভাঙা ফর্ম ধরে রেখে ইউরো-২০২৪ এর বাছাই পর্বে গত রোববার লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন এবং তার দল ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। চার দিনের মধ্যে এটা ছিল পর্তুগালের টানা দ্বিতীয় জয়।

৩৮ বছর বয়সী রোনালদোর এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচেও দুটি গোল করেছিলেন। সে ম্যাচে তারা ৪-০ গোলে পরাজিত করেছিল লিখটেনস্টাইনকে। রোনালদো এ নিয়ে দেশের পক্ষে ১৯৮টি ম্যাচ খেলে ১২২টি গোল করলেন। জোয়াও ফেলিক্স, বের্নাদো সিলভা, ওটাভিও এবং রাফায়েল লিয়াও একটি করে গোল করেন। দুই ম্যাচে দশ গোল করা পর্তুগাল আছে ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষে।

পর্তুগালের নতুন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ পর্তুগালের অভিজ্ঞ এ তারকাকে নিজের অধীনে প্রথম ম্যাচেই একাদশে ফেরান। সে ম্যাচে দুই গোল করে আস্থার প্রতিদান দেন রোনালদো। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে তার একাদশে থাকা নিয়ে কোন সংশয় ছিল না। রোনালদো এ ম্যাচে গোল করতে সময় নেন মাত্র নয় মিনিট। নুনো মেন্ডেজের হেড থেকে বল পেয়ে রোনালদো গোলটি করেন। ১৫ মিনিটে ফেলিক্স ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। সিলভার ক্রসে বেশ খানিকটা লাফিয়ে উঠে হেড দিয়ে তিনি গোলটি করেন। সিলভা নিজে এর তিন মিনিট পর গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখান। জোয়াও পালহিনিয়ার তৈরি করা সুযোগ থেকে তিনি গোলটি করেন।

খেলার বয়স আধ ঘণ্টা হওয়ার পর পরই ব্রুনো ফার্নান্দেজের তৈরি করা চমৎকার সুযোগ থেকে চতুর্থ গোলটি করেন রোনালদো। প্রথমার্ধে লুক্সেমবার্গকে একেবারে অসহায় মনে হয়েছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তারা বেশ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এ অর্ধে পর্তুগাল করে দুটি গোল। ৫ম গোলটি করেন ওটাভিও। রাফায়েল লিয়াওয়ের ক্রস থেকে তিনি গোলটি করেন।

রুবেন নেভেসের ফ্রি-কিক ৮৩ মিনিটে ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর লুক্সেমবার্গের অধিনায়ক লরেন্ত জেন্স পর্তুগালের লিয়াওকে ফেলে দেয়ায় পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। কিন্তু লিয়াওয়ের পেনাল্টি শট বাচিয়ে দেন লুক্সেমবার্গের গোলরক্ষক অ্যান্থনি মরিস। লিয়াও অবশ্য পরে একটি গোল করেন। ৮৮ মিনিটে তিনি গোল করলে পর্তুগাল ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয়ী হয়।

রোববার ইউরো লীগের অন্য ম্যাচের ফল

আইসল্যান্ড ৭:০ লিচেটেসইন

সেøাভাকিয়া ২:০ বসনিয়া

ইংল্যান্ড ২:০ ইউক্রেইন

ইতালি ২:০ মাল্টা

কাজাখস্তান ৩:২ ডেনমার্ক

সেøাভেনিয়া ২:০ স্যান মারিনো

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ , ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ০৫ রমজান ১৪৪৪

রোনালদোর জোড়া গোলে পর্তুগালের বড় জয়

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

রোনালদোর গোল উদযাপন

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো তার দেশ পর্তুগালের হয়ে রেকর্ড ভাঙা ফর্ম ধরে রেখে ইউরো-২০২৪ এর বাছাই পর্বে গত রোববার লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন এবং তার দল ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। চার দিনের মধ্যে এটা ছিল পর্তুগালের টানা দ্বিতীয় জয়।

৩৮ বছর বয়সী রোনালদোর এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচেও দুটি গোল করেছিলেন। সে ম্যাচে তারা ৪-০ গোলে পরাজিত করেছিল লিখটেনস্টাইনকে। রোনালদো এ নিয়ে দেশের পক্ষে ১৯৮টি ম্যাচ খেলে ১২২টি গোল করলেন। জোয়াও ফেলিক্স, বের্নাদো সিলভা, ওটাভিও এবং রাফায়েল লিয়াও একটি করে গোল করেন। দুই ম্যাচে দশ গোল করা পর্তুগাল আছে ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষে।

পর্তুগালের নতুন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ পর্তুগালের অভিজ্ঞ এ তারকাকে নিজের অধীনে প্রথম ম্যাচেই একাদশে ফেরান। সে ম্যাচে দুই গোল করে আস্থার প্রতিদান দেন রোনালদো। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে তার একাদশে থাকা নিয়ে কোন সংশয় ছিল না। রোনালদো এ ম্যাচে গোল করতে সময় নেন মাত্র নয় মিনিট। নুনো মেন্ডেজের হেড থেকে বল পেয়ে রোনালদো গোলটি করেন। ১৫ মিনিটে ফেলিক্স ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। সিলভার ক্রসে বেশ খানিকটা লাফিয়ে উঠে হেড দিয়ে তিনি গোলটি করেন। সিলভা নিজে এর তিন মিনিট পর গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখান। জোয়াও পালহিনিয়ার তৈরি করা সুযোগ থেকে তিনি গোলটি করেন।

খেলার বয়স আধ ঘণ্টা হওয়ার পর পরই ব্রুনো ফার্নান্দেজের তৈরি করা চমৎকার সুযোগ থেকে চতুর্থ গোলটি করেন রোনালদো। প্রথমার্ধে লুক্সেমবার্গকে একেবারে অসহায় মনে হয়েছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তারা বেশ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এ অর্ধে পর্তুগাল করে দুটি গোল। ৫ম গোলটি করেন ওটাভিও। রাফায়েল লিয়াওয়ের ক্রস থেকে তিনি গোলটি করেন।

রুবেন নেভেসের ফ্রি-কিক ৮৩ মিনিটে ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর লুক্সেমবার্গের অধিনায়ক লরেন্ত জেন্স পর্তুগালের লিয়াওকে ফেলে দেয়ায় পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। কিন্তু লিয়াওয়ের পেনাল্টি শট বাচিয়ে দেন লুক্সেমবার্গের গোলরক্ষক অ্যান্থনি মরিস। লিয়াও অবশ্য পরে একটি গোল করেন। ৮৮ মিনিটে তিনি গোল করলে পর্তুগাল ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয়ী হয়।

রোববার ইউরো লীগের অন্য ম্যাচের ফল

আইসল্যান্ড ৭:০ লিচেটেসইন

সেøাভাকিয়া ২:০ বসনিয়া

ইংল্যান্ড ২:০ ইউক্রেইন

ইতালি ২:০ মাল্টা

কাজাখস্তান ৩:২ ডেনমার্ক

সেøাভেনিয়া ২:০ স্যান মারিনো