সড়ক নির্মাণ চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

চট্টগ্রাম লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গার ১৬ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। নির্মাণকাজ চলার সময় প্রকল্প এলাকায় সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শর্ত দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সে শর্ত পালন করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সড়ক নির্মাণকাজ চলার সময় নালায় পড়ে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে, গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আরেক শিক্ষার্থী। প্রায়ই সেখানে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নির্মাণ কাজে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাপারে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সড়ক নির্মাণকাজ চলার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু প্রায়ই এ কাজে তাদের গাফিলতি করতে দেখা যায়। প্রসঙ্গক্রমে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর সড়কে র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কথা বলা যায়। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে এই সড়কে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে উড়ালপথ তৈরির গার্ডার পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় পাঁচজন মারা গিয়েছিল।

সড়ক নির্মাণকাজ চলাকালে শুধু শাহজালাল বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম সড়কেই যে মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা নয়। দেশের অন্যান্য স্থানেও সড়ক নির্মাণ কাজের সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না থাকায় নানান দুর্ঘটনা ঘটে। এটা কাম্য নয়।

বিআরটি প্রকল্পের কাজ থেকে যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সড়ক নির্মাণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নিতে হবে সতর্কতামূলক ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা। নির্মাণকাজ চলাকালে যানজট নিরসন করা, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা হতে হবে সুষ্ঠু। প্রকল্প এলাকায় নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক নির্দেশক বোর্ড থাকতে হবে।

প্রকল্প এলাকা অরক্ষিত রাখার অর্থ হলো দুর্ঘটনার অনাকাক্সিক্ষত সুযোগ সৃষ্টি করা। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা-অবহেলায় ঘটে যায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তারা সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা সেটা দেখভাল করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামে ওই সড়ক নির্মাণ কাজে কোনো গাফিলতি থাকলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিডিএ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটাই কাম্য।

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ , ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ০৫ রমজান ১৪৪৪

সড়ক নির্মাণ চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

চট্টগ্রাম লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গার ১৬ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। নির্মাণকাজ চলার সময় প্রকল্প এলাকায় সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শর্ত দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সে শর্ত পালন করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সড়ক নির্মাণকাজ চলার সময় নালায় পড়ে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে, গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আরেক শিক্ষার্থী। প্রায়ই সেখানে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নির্মাণ কাজে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাপারে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সড়ক নির্মাণকাজ চলার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু প্রায়ই এ কাজে তাদের গাফিলতি করতে দেখা যায়। প্রসঙ্গক্রমে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর সড়কে র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কথা বলা যায়। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে এই সড়কে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে উড়ালপথ তৈরির গার্ডার পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় পাঁচজন মারা গিয়েছিল।

সড়ক নির্মাণকাজ চলাকালে শুধু শাহজালাল বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম সড়কেই যে মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা নয়। দেশের অন্যান্য স্থানেও সড়ক নির্মাণ কাজের সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না থাকায় নানান দুর্ঘটনা ঘটে। এটা কাম্য নয়।

বিআরটি প্রকল্পের কাজ থেকে যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সড়ক নির্মাণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নিতে হবে সতর্কতামূলক ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা। নির্মাণকাজ চলাকালে যানজট নিরসন করা, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা হতে হবে সুষ্ঠু। প্রকল্প এলাকায় নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক নির্দেশক বোর্ড থাকতে হবে।

প্রকল্প এলাকা অরক্ষিত রাখার অর্থ হলো দুর্ঘটনার অনাকাক্সিক্ষত সুযোগ সৃষ্টি করা। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা-অবহেলায় ঘটে যায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তারা সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা সেটা দেখভাল করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামে ওই সড়ক নির্মাণ কাজে কোনো গাফিলতি থাকলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিডিএ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটাই কাম্য।