আলমডাঙ্গা স্টেশন সংস্কারে পদক্ষেপ নিন

নিরাপদ ও আরামদায়ক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে রেল বেশ সুপরিচিত। এতে অন্য যানবাহনের তুলনায় কম খরচ এবং কম সময় লাগে। বাংলাদেশে ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর বর্তমান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হতে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত ৫৩ দশমিক ১১ কি.মি. রেললাইন স্থাপিত হয়। এটিই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম রেললাইন, যার ভেতর এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে উচ্চতম এবং দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট আলমডাঙ্গা স্টেশনও ছিল। আজকের এই স্টেশনটি ইংরেজ আমলে নীলকুঠি হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যেটির উপরের ঘরগুলোতে ইংরেজরা থাকত, নিচের ঘরগুলো ছিল গুপ্তঘর; যা জেলখানার পাশাপাশি নির্যাতনের জায়গা হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।

১৬০ বছর যাবত এ স্টেশনটি দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে দেশের রেলওয়েকে আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও ঐতিহ্যবাহী এ স্টেশনটিতে আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি। স্টেশনটির ভৌত অবকাঠামোগত কোন দৃশ্যমান সংস্কারও পরিদৃশ্যমান হয়নি। অন্যদিকে, চাহিদার তুলনায় স্টেশনটিতে টিকেট সংখ্যাও অপ্রতুল। সেজন্য বিপুল পরিমাণে চাহিদার কথা চিন্তা করে এ স্টেশনে টিকেট সংখ্যা বৃদ্ধি করাও প্রয়োজন। প্ল্যাটফর্মে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যানের ব্যবস্থা নেই, যার ফলে গরমের সময়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাছাড়া স্টেশনের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ভবনটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। শত বছরের প্রাচীন এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনটি সংস্কারের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নাইমুর রহমান শাওন

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ , ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ০৫ রমজান ১৪৪৪

আলমডাঙ্গা স্টেশন সংস্কারে পদক্ষেপ নিন

নিরাপদ ও আরামদায়ক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে রেল বেশ সুপরিচিত। এতে অন্য যানবাহনের তুলনায় কম খরচ এবং কম সময় লাগে। বাংলাদেশে ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর বর্তমান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হতে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত ৫৩ দশমিক ১১ কি.মি. রেললাইন স্থাপিত হয়। এটিই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম রেললাইন, যার ভেতর এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে উচ্চতম এবং দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট আলমডাঙ্গা স্টেশনও ছিল। আজকের এই স্টেশনটি ইংরেজ আমলে নীলকুঠি হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যেটির উপরের ঘরগুলোতে ইংরেজরা থাকত, নিচের ঘরগুলো ছিল গুপ্তঘর; যা জেলখানার পাশাপাশি নির্যাতনের জায়গা হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।

১৬০ বছর যাবত এ স্টেশনটি দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে দেশের রেলওয়েকে আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও ঐতিহ্যবাহী এ স্টেশনটিতে আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি। স্টেশনটির ভৌত অবকাঠামোগত কোন দৃশ্যমান সংস্কারও পরিদৃশ্যমান হয়নি। অন্যদিকে, চাহিদার তুলনায় স্টেশনটিতে টিকেট সংখ্যাও অপ্রতুল। সেজন্য বিপুল পরিমাণে চাহিদার কথা চিন্তা করে এ স্টেশনে টিকেট সংখ্যা বৃদ্ধি করাও প্রয়োজন। প্ল্যাটফর্মে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যানের ব্যবস্থা নেই, যার ফলে গরমের সময়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাছাড়া স্টেশনের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ভবনটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। শত বছরের প্রাচীন এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনটি সংস্কারের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নাইমুর রহমান শাওন