মুন্সীগঞ্জে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দাখিল পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার দারুস সুন্নাত ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ওই শিক্ষার্থী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ও সহপাঠীরা তাকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এস এম ফেরদৌস মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

মৃত মাহমুদুল হাসান (১৮) টংগিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের আপরকাটা এলাকার আনওয়ার হোসেনের পুত্র। সে একই মাদ্রাসার দাখিল বিভাগের অনাবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। পঞ্চসার দারুস সুন্নাত ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মো. আবু জাফর জানান, আজ হাদিস শরীফ বিষয়ের পরীক্ষা ছিলো। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদ্রাসাটির ১২নং কক্ষে দাড়িয়ে কথা বলছিলো। এসময় হঠাৎ অচেতন হয়ে মাহমুদুল পরে যায়। পরে তাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম জানান, ছেলেটি জন্মগতভাবে হৃদরোগের অসুখে আক্রান্ত। এ নিয়ে ভারতের দেবি শেঠীর কাছেও চিকিৎসা নিয়েছে। তিনিও তাকে সতর্ক অবস্থায় চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে অতিরিক্ত টেনশনে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে আনার পথে সে মারা যায়।

শনিবার, ১৩ মে ২০২৩ , ৩০ বৈশাখ ১৪৩০, ২২ ‍শাওয়াল ১৪৪৪

মুন্সীগঞ্জে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দাখিল পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জে এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার দারুস সুন্নাত ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ওই শিক্ষার্থী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ও সহপাঠীরা তাকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এস এম ফেরদৌস মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

মৃত মাহমুদুল হাসান (১৮) টংগিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের আপরকাটা এলাকার আনওয়ার হোসেনের পুত্র। সে একই মাদ্রাসার দাখিল বিভাগের অনাবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। পঞ্চসার দারুস সুন্নাত ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মো. আবু জাফর জানান, আজ হাদিস শরীফ বিষয়ের পরীক্ষা ছিলো। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদ্রাসাটির ১২নং কক্ষে দাড়িয়ে কথা বলছিলো। এসময় হঠাৎ অচেতন হয়ে মাহমুদুল পরে যায়। পরে তাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম জানান, ছেলেটি জন্মগতভাবে হৃদরোগের অসুখে আক্রান্ত। এ নিয়ে ভারতের দেবি শেঠীর কাছেও চিকিৎসা নিয়েছে। তিনিও তাকে সতর্ক অবস্থায় চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে অতিরিক্ত টেনশনে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে আনার পথে সে মারা যায়।