ডিএসইতে কমলেও সিএসইতে বেড়েছে মূলধন

গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। এর মোট লেনদেনের ৩১ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই দশ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান আড়াই গুণ বেশি হয়েছে। কমেছে শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ।

এছাড়া গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে বাজার মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। বেড়েছে প্রধান সূচক সিএএসপিআই। কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর পতনের চেয়ে উত্থান দেড় গুণ বেশি হয়েছে।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৬ হাজার ১০৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৬৬ হাজার ৩১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪০৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ২১৭ কোটি ২ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭১৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৮০২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১৮টির, দর কমেছে ৪৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৬টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১১টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৭২ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ১০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৯৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে যা ঈদের আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট ছিল। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোন কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি ২০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৩০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারে। কোম্পানিটি একাই মোট শেয়ারের ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া লার্ফাজ-হোলসিমের ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সি পার্ল বিচের ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ৯০ শতাংশ, ইউনিক হোটেলের ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ৩২ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কসের ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং জেনেক্স ইনফোসিসের ২ দশমিক ৩২ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে বাজার মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। বেড়েছে প্রধান সূচক সিএএসপিআই। কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর পতনের চেয়ে উত্থান দেড় গুণ বেশি হয়েছে।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫১ হাজার ৪৮৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫১ হাজার ৩১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ২৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৭টির, দর কমেছে ৪৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭১টি কোম্পানির। যা কোম্পানিগুলো শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান ১ দশমিক ৬০ গুণ বেশি হয়েছে।

প্রধান সূচক সিএএসপিআই উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএএসপিআই দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৪৯০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে।

সিএসই৫০ সূচক দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৭৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭১ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৩০ সূচক দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স সূচক ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৩ হাজার ৪৬১ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৬৬৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।

রবিবার, ১৪ মে ২০২৩ , ৩১ বৈশাখ ১৪৩০, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৪

ডিএসইতে কমলেও সিএসইতে বেড়েছে মূলধন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। এর মোট লেনদেনের ৩১ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই দশ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান আড়াই গুণ বেশি হয়েছে। কমেছে শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ।

এছাড়া গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে বাজার মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। বেড়েছে প্রধান সূচক সিএএসপিআই। কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর পতনের চেয়ে উত্থান দেড় গুণ বেশি হয়েছে।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৬ হাজার ১০৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৬৬ হাজার ৩১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪০৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ২১৭ কোটি ২ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭১৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৮০২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১৮টির, দর কমেছে ৪৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৬টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১১টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৭২ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ১০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৯৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে যা ঈদের আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট ছিল। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোন কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি ২০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৩০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারে। কোম্পানিটি একাই মোট শেয়ারের ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া লার্ফাজ-হোলসিমের ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সি পার্ল বিচের ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ৯০ শতাংশ, ইউনিক হোটেলের ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ৩২ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কসের ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং জেনেক্স ইনফোসিসের ২ দশমিক ৩২ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে বাজার মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। বেড়েছে প্রধান সূচক সিএএসপিআই। কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর পতনের চেয়ে উত্থান দেড় গুণ বেশি হয়েছে।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫১ হাজার ৪৮৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫১ হাজার ৩১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ২৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৭টির, দর কমেছে ৪৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭১টি কোম্পানির। যা কোম্পানিগুলো শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান ১ দশমিক ৬০ গুণ বেশি হয়েছে।

প্রধান সূচক সিএএসপিআই উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএএসপিআই দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৪৯০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে।

সিএসই৫০ সূচক দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৭৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭১ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৩০ সূচক দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স সূচক ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৩ হাজার ৪৬১ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৬৬৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।