মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল কেন জরুরি

ইকবাল হাসান

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রয়োজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী শিক্ষার্থী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাস্থ্য হচ্ছে ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আবেগীয় সুস্থতা। স্বাস্থ্যই সম্পদ ও সব সুখের মূল। সুস্বাস্থ্য শুধু ব্যক্তির নয়, পারিবারিক, সামাজিক, ও জাতীয় সম্পদ। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যতœ নেয়া, পোশাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার, নিরাপদ পানি পানের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি প্রতিটি বিষয় শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়ে থাকে। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল চালুর নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে মিড ডে মিল। কেন এই মিড ডে মিল তা জানার আগে জানা প্রয়োজন মাধ্যমিক স্তরে গুণগত শিক্ষা অন্তরায় কী? শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার খুবই কম, যেসব শিক্ষার্থী স্কুলে আসে তারাও টিফিনের পর পালিয়ে যায়, শিক্ষার্থীদের মনোযোগের ভীষণ অভাব, শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব, অধিকাংশ শিক্ষার্থী অপুষ্টিতে ভোগে, ভোরবেলা প্রাইভেট থাকায় অনেক শিক্ষার্থী না খেয়ে স্কুলে আসে এবং ক্ষুদা লাগায় স্কুল ত্যাগ করে, অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। এসব প্রায় সমস্যার সমাধান সম্ভব যদি মিড ডে মিল চালু করা যায়। শৈশবে যদি সুষম ও পুষ্টিকর খাবার থেকে কেউ বঞ্চিত হয়, তবে সারা জীবন এর বিরূপ প্রভাব তাকে বয়ে বেড়াতে হয়। উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমাণের জন্য চাই সুস্থ প্রজন্ম শারীরিক ও মানসিকভাবে যারা হবে স্বাস্থ্যবান। মিড ডে মিল চালু হলে স্কুুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়ার হার হ্রাস পাবে, শিশুরা শারীরিকভাবে সবল ও মানসিকভাবে উৎফুল্ল থাকবে। তারা অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচবে, স্কুলের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে যা শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে হবে অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ। মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে মিড ডে মিল কার্যকর ভূমিকা রাখবে। স্কুলে রান্না করে অথবা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসে এর যে কোন একটি উপায়ে মিড ডে মিল চালু করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দেশের জন্য কোনটা বেশি উপযোগী হবে। স্কুলে যখন রান্না করে ‘মিড ডে মিলের’ আয়োজন করা হয় তখন শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন এতে যুক্ত থাকে। যার কারণে পাঠদান ব্যাহত হয়। আবার খাবার রান্না করা, পরিবেশন করা ইত্যাদি নিয়েও থাকে নানান সমস্যা। এক জায়গায় এত সংখ্যক শিশুর উপস্থিতি হট্টগোলের সৃষ্টি করে এবং পরিবেশ নোংরা করে। প্রতিদিন একই রকমের খাবার পরিবেশন করা হলে খাবারের প্রতি শিশুর অনীহা তৈরি করতে পারে যার দরুন অভুক্ত থাকার ফলে একদিকে যেমন শিশুর পুষ্টিগ্রহণ কার্যক্রম ব্যাহত হবে অন্যদিকে খাবারেরও অপচয় হবে। আবার কোনভাবে যদি ওই ‘মিড ডে মিলে’ জীবাণু সংক্রমণ ঘটে তবে তা পুরো স্কুলের বাচ্চাদের একসঙ্গে অসুস্থ করে তুলতে পারে। আবার শিশুরা সবসময় একরকম খাবার খেতে পছন্দ করে না। একেক দিন একেক রকম খাবার খেতে পছন্দ করে। কেউ দেখা যায় শুকনো বা ভাজি ধরনের খাবার খায় কেউ আবার ঝোল বা রসালো খাবার খেতে মজা পায়। শিশুর এই পছন্দের ধরনটা কিন্তু মায়েরাই ভালো বোঝেন এবং আবদার বায়নাটাও শিশু মায়ের কাছেই করে। তাই এ কাজটি যদি কোন ‘মা’ তার বাচ্চার জন্য করেন, দুপুরে খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে খাবার তৈরি করে দেন তাহলে সেটা যেমন পুষ্টিকর তেমনি স্বাস্থ্যকর হবে। মায়ের কাছে তার সন্তান সবার ঊর্ধ্বে, তাই সব দিক নজর রেখেই তিনি তা তৈরি করবেন। এর ফলে বিদ্যালয়ে যেতে শিশুদের যেমন আগ্রহ তৈরি হবে তেমনি বন্ধুদের সঙ্গেও তার মায়ের হাতের তৈরি খাবার ভাগাভাগি করতে দ্বিধা করবে না। এর ফলে শিশুর মধ্যে শেয়ারিং এর মনোভাব সৃষ্টি হবে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে এসে টিফিনের সময় সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে খেলে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন সহজ হবে বলে মনে করি। একটি দেশের দেশের টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন দেশের অর্থনৈতিক পাশাপাশি শিক্ষা ও মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটে। বিষয়টি মাথায় রেখে মানসম্মত ও যুযোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা, ¯স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে উপবৃত্তি, সব প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, শিক্ষক নিয়োগে এসেছে স্বচ্ছতা, শিক্ষকরা এখন অনলাইনে এমপিও পাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তি এবং রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে, শিক্ষকরা পাচ্ছে নানা রকম প্রশিক্ষণ, নতুন নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে।

মোটাদাগে বলতে গেলে অতীতের যে কোন সময়ের থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে এখন অনেক বেশি উন্নয়ন হচ্ছে। এ উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে মাধ্যমিক স্তরে মিড ডে মিল

ভালোভাবে চালুর কোন বিকল্প নেই। এত ভালো ভালো উদ্যোগের পরও যদি শিক্ষার্থী উপস্থিতি হ্রাস পায়, শিক্ষার্থী যদি স্কুল থেকে পালায় সেটা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। সে কারণে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে মিড ডে মিলের বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে।

[লেখক: উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার,

গোয়ালন্দ. রাজবাড়ী]

রবিবার, ১৪ মে ২০২৩ , ৩১ বৈশাখ ১৪৩০, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৪

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল কেন জরুরি

ইকবাল হাসান

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রয়োজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী শিক্ষার্থী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাস্থ্য হচ্ছে ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আবেগীয় সুস্থতা। স্বাস্থ্যই সম্পদ ও সব সুখের মূল। সুস্বাস্থ্য শুধু ব্যক্তির নয়, পারিবারিক, সামাজিক, ও জাতীয় সম্পদ। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যতœ নেয়া, পোশাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার, নিরাপদ পানি পানের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি প্রতিটি বিষয় শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়ে থাকে। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল চালুর নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে মিড ডে মিল। কেন এই মিড ডে মিল তা জানার আগে জানা প্রয়োজন মাধ্যমিক স্তরে গুণগত শিক্ষা অন্তরায় কী? শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার খুবই কম, যেসব শিক্ষার্থী স্কুলে আসে তারাও টিফিনের পর পালিয়ে যায়, শিক্ষার্থীদের মনোযোগের ভীষণ অভাব, শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব, অধিকাংশ শিক্ষার্থী অপুষ্টিতে ভোগে, ভোরবেলা প্রাইভেট থাকায় অনেক শিক্ষার্থী না খেয়ে স্কুলে আসে এবং ক্ষুদা লাগায় স্কুল ত্যাগ করে, অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। এসব প্রায় সমস্যার সমাধান সম্ভব যদি মিড ডে মিল চালু করা যায়। শৈশবে যদি সুষম ও পুষ্টিকর খাবার থেকে কেউ বঞ্চিত হয়, তবে সারা জীবন এর বিরূপ প্রভাব তাকে বয়ে বেড়াতে হয়। উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমাণের জন্য চাই সুস্থ প্রজন্ম শারীরিক ও মানসিকভাবে যারা হবে স্বাস্থ্যবান। মিড ডে মিল চালু হলে স্কুুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়ার হার হ্রাস পাবে, শিশুরা শারীরিকভাবে সবল ও মানসিকভাবে উৎফুল্ল থাকবে। তারা অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচবে, স্কুলের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে যা শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে হবে অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ। মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে মিড ডে মিল কার্যকর ভূমিকা রাখবে। স্কুলে রান্না করে অথবা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসে এর যে কোন একটি উপায়ে মিড ডে মিল চালু করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দেশের জন্য কোনটা বেশি উপযোগী হবে। স্কুলে যখন রান্না করে ‘মিড ডে মিলের’ আয়োজন করা হয় তখন শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন এতে যুক্ত থাকে। যার কারণে পাঠদান ব্যাহত হয়। আবার খাবার রান্না করা, পরিবেশন করা ইত্যাদি নিয়েও থাকে নানান সমস্যা। এক জায়গায় এত সংখ্যক শিশুর উপস্থিতি হট্টগোলের সৃষ্টি করে এবং পরিবেশ নোংরা করে। প্রতিদিন একই রকমের খাবার পরিবেশন করা হলে খাবারের প্রতি শিশুর অনীহা তৈরি করতে পারে যার দরুন অভুক্ত থাকার ফলে একদিকে যেমন শিশুর পুষ্টিগ্রহণ কার্যক্রম ব্যাহত হবে অন্যদিকে খাবারেরও অপচয় হবে। আবার কোনভাবে যদি ওই ‘মিড ডে মিলে’ জীবাণু সংক্রমণ ঘটে তবে তা পুরো স্কুলের বাচ্চাদের একসঙ্গে অসুস্থ করে তুলতে পারে। আবার শিশুরা সবসময় একরকম খাবার খেতে পছন্দ করে না। একেক দিন একেক রকম খাবার খেতে পছন্দ করে। কেউ দেখা যায় শুকনো বা ভাজি ধরনের খাবার খায় কেউ আবার ঝোল বা রসালো খাবার খেতে মজা পায়। শিশুর এই পছন্দের ধরনটা কিন্তু মায়েরাই ভালো বোঝেন এবং আবদার বায়নাটাও শিশু মায়ের কাছেই করে। তাই এ কাজটি যদি কোন ‘মা’ তার বাচ্চার জন্য করেন, দুপুরে খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে খাবার তৈরি করে দেন তাহলে সেটা যেমন পুষ্টিকর তেমনি স্বাস্থ্যকর হবে। মায়ের কাছে তার সন্তান সবার ঊর্ধ্বে, তাই সব দিক নজর রেখেই তিনি তা তৈরি করবেন। এর ফলে বিদ্যালয়ে যেতে শিশুদের যেমন আগ্রহ তৈরি হবে তেমনি বন্ধুদের সঙ্গেও তার মায়ের হাতের তৈরি খাবার ভাগাভাগি করতে দ্বিধা করবে না। এর ফলে শিশুর মধ্যে শেয়ারিং এর মনোভাব সৃষ্টি হবে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে এসে টিফিনের সময় সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে খেলে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন সহজ হবে বলে মনে করি। একটি দেশের দেশের টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন দেশের অর্থনৈতিক পাশাপাশি শিক্ষা ও মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটে। বিষয়টি মাথায় রেখে মানসম্মত ও যুযোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা, ¯স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে উপবৃত্তি, সব প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, শিক্ষক নিয়োগে এসেছে স্বচ্ছতা, শিক্ষকরা এখন অনলাইনে এমপিও পাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তি এবং রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে, শিক্ষকরা পাচ্ছে নানা রকম প্রশিক্ষণ, নতুন নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে।

মোটাদাগে বলতে গেলে অতীতের যে কোন সময়ের থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে এখন অনেক বেশি উন্নয়ন হচ্ছে। এ উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে মাধ্যমিক স্তরে মিড ডে মিল

ভালোভাবে চালুর কোন বিকল্প নেই। এত ভালো ভালো উদ্যোগের পরও যদি শিক্ষার্থী উপস্থিতি হ্রাস পায়, শিক্ষার্থী যদি স্কুল থেকে পালায় সেটা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। সে কারণে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে মিড ডে মিলের বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে।

[লেখক: উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার,

গোয়ালন্দ. রাজবাড়ী]