ঢাকায় বিদেশি মিশনসমূহের কোন রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারকে বাড়তি প্রটোকল সুবিধা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, রাস্তা-ঘাটে চলার জন্য কয়েকটা দেশকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স দেয়া হচ্ছে। উন্নত দেশে এটা দেয়া হয় না। আমেরিকা, ইইউ, সৌদি আরবে এ সুবিধা দেয়া হয় না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কাউকে এ সুবিধা দেব না।
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সম্প্রতি আরও অনেকে এ সুযোগ চাচ্ছিলেন। এটা একটা প্রেস্টিজের বিষয়। আমাদের এত সম্পদ নেই যে, জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে সবাইকে বাড়তি প্রটোকল সুবিধা দেব। ৫৮ জন কুটনীতিক এ সুযোগ চান। আমরা এটা দিতে পারছি না। যার জন্য আমরা ঠিক করেছি কাউকে আর এ সুবিধা দেয়া হবে না।
মোমেন বলেন, তবে আমরা শর্ত দিয়েছি, যদি কেউ নিতে চায়-তাহলে তিনি ভাড়া করতে পারবেন। বিদেশে এ সিস্টেম আছে। আমাদের সিকিউরিটি ফোর্স দরকার। মেট্রোরেল হয়েছে, পদ্মা সেতু হয়েছে; আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা উন্নত। এখানে রাস্তাঘাটে কেউ কাউকে গুলি করে মারে না, গাড়ি আটকে মারে না। তাই আমরা মনে করি এগুলোর প্রয়োজন নেই। এটা রাখতে গেলে অনেকের মনে কষ্ট হয়। সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি গত সপ্তাহে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিশনগুলোকে অবগত করা হয়েছে।
কবে নাগাদ এ নির্দেশনা কার্যকর হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আমি বলতে পারব না। পুলিশ প্রশাসন এটা বলতে পারবে।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নয়, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত এসেছে।
মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩ , ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ঢাকায় বিদেশি মিশনসমূহের কোন রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারকে বাড়তি প্রটোকল সুবিধা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, রাস্তা-ঘাটে চলার জন্য কয়েকটা দেশকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স দেয়া হচ্ছে। উন্নত দেশে এটা দেয়া হয় না। আমেরিকা, ইইউ, সৌদি আরবে এ সুবিধা দেয়া হয় না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কাউকে এ সুবিধা দেব না।
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সম্প্রতি আরও অনেকে এ সুযোগ চাচ্ছিলেন। এটা একটা প্রেস্টিজের বিষয়। আমাদের এত সম্পদ নেই যে, জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে সবাইকে বাড়তি প্রটোকল সুবিধা দেব। ৫৮ জন কুটনীতিক এ সুযোগ চান। আমরা এটা দিতে পারছি না। যার জন্য আমরা ঠিক করেছি কাউকে আর এ সুবিধা দেয়া হবে না।
মোমেন বলেন, তবে আমরা শর্ত দিয়েছি, যদি কেউ নিতে চায়-তাহলে তিনি ভাড়া করতে পারবেন। বিদেশে এ সিস্টেম আছে। আমাদের সিকিউরিটি ফোর্স দরকার। মেট্রোরেল হয়েছে, পদ্মা সেতু হয়েছে; আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা উন্নত। এখানে রাস্তাঘাটে কেউ কাউকে গুলি করে মারে না, গাড়ি আটকে মারে না। তাই আমরা মনে করি এগুলোর প্রয়োজন নেই। এটা রাখতে গেলে অনেকের মনে কষ্ট হয়। সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি গত সপ্তাহে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিশনগুলোকে অবগত করা হয়েছে।
কবে নাগাদ এ নির্দেশনা কার্যকর হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আমি বলতে পারব না। পুলিশ প্রশাসন এটা বলতে পারবে।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নয়, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত এসেছে।