ফিরতি লেগেও মিলানকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার

ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্টিনেজের দ্বিতীয়ার্ধে করা গোলে গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মিলান প্রতিপক্ষ এসি মিলানকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে। দুই লেগ মিলিয়ে ইন্টার জয়ী হয়েছে ৩-০ গোলের ব্যবধানে। প্রথম লেগে ইন্টার জিতেছিল ২-০ গোলে। ইন্টার ১০ জুন ইস্তানবুলে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে খেলবে ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যেকার অন্য সেমিফানইনালে বিজয়ী দলের সঙ্গে।

প্রথম লেগে এসি মিলান মোটেও ভালো খেলতে পারেনি। দ্বিতীয় লেগে তাদের সুযোগ ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। তারা সে চেষ্টাও করেছে। কিন্তু ম্যাচের ৭৪ মিনিটে মার্টিনেজের গোল তাদের সব আশা শেষ করে দেয়। ইন্টারের পক্ষে প্রথম লেগে গোল করেছিলেন এডিন জেকো এবং হেনরিখ মখিতারিয়ান। ইন্টার ২০০৯-১০ মৌসুমের পর আবার ফাইনালে উঠলো। সেবার তারা জোসে মরিনিওর কোচিংয়ে শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতেছিল।

আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা তারকা মার্টিনেজ বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ইন্টারের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। দলীয়ভাবে ভালো খেলতে সে ইতিহাস বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। দলের সবাই যদি একতাবদ্ধ থাকে তাহলে সব কাজই সহজ হয়ে যায়।’

ইন্টার কোচ সিমোন ইনজাঘি প্রথম লেগের একাদশ নিয়েই দ্বিতীয় লেগের দল গঠন করেন। তবে তিনটি পরিবর্তন এসেছিল এসি মিলানের দলে। মিলান শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তারা জানতো ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে তাদের ন্যূনতম দুটি গোল করতেই হবে। তাহলে ম্যাচ টাইব্রেকারে নেয়া সম্ভব হবে। কিন্তু ইন্টারের গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার দৃঢ়তার কারণে তাদের গোলের আশা পূর্ণ হয়নি। ব্রাহিম দিয়াজের শট বাঁচিয়ে দেন তিনি। এছাড়া লিওর একটি শট অল্পের জন্য বাইরে ?যায়। অন্যদিকে জেকোর শট বাচিয়ে দেন মিলান গোলরক্ষক মাইক ম্যাগনান।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলার পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হয়। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ৭৪ মিনিটে মার্টিনেজ গোল করলে ইন্টারের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়। বদলি খেলোয়াড় রোমেলু ?লুকাকুর সাথে বল দেয়া নেয়া করে আক্রমণটিকে সফল পরিণতি দেন মার্টিনেজ।

মিলানের জন্য আরো খারাপ খবর হলো তারা হয়তো আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগেই খেলার সুযোগ পাবে না। কারণ সিরি এ লিগের শীর্ষ চার-এ জায়গা করে নেয়া তাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩ , ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৪

ফিরতি লেগেও মিলানকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

ইন্টার মিলানের জয়োল্লাস

ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্টিনেজের দ্বিতীয়ার্ধে করা গোলে গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মিলান প্রতিপক্ষ এসি মিলানকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে। দুই লেগ মিলিয়ে ইন্টার জয়ী হয়েছে ৩-০ গোলের ব্যবধানে। প্রথম লেগে ইন্টার জিতেছিল ২-০ গোলে। ইন্টার ১০ জুন ইস্তানবুলে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে খেলবে ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যেকার অন্য সেমিফানইনালে বিজয়ী দলের সঙ্গে।

প্রথম লেগে এসি মিলান মোটেও ভালো খেলতে পারেনি। দ্বিতীয় লেগে তাদের সুযোগ ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। তারা সে চেষ্টাও করেছে। কিন্তু ম্যাচের ৭৪ মিনিটে মার্টিনেজের গোল তাদের সব আশা শেষ করে দেয়। ইন্টারের পক্ষে প্রথম লেগে গোল করেছিলেন এডিন জেকো এবং হেনরিখ মখিতারিয়ান। ইন্টার ২০০৯-১০ মৌসুমের পর আবার ফাইনালে উঠলো। সেবার তারা জোসে মরিনিওর কোচিংয়ে শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতেছিল।

আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা তারকা মার্টিনেজ বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ইন্টারের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। দলীয়ভাবে ভালো খেলতে সে ইতিহাস বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। দলের সবাই যদি একতাবদ্ধ থাকে তাহলে সব কাজই সহজ হয়ে যায়।’

ইন্টার কোচ সিমোন ইনজাঘি প্রথম লেগের একাদশ নিয়েই দ্বিতীয় লেগের দল গঠন করেন। তবে তিনটি পরিবর্তন এসেছিল এসি মিলানের দলে। মিলান শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তারা জানতো ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে তাদের ন্যূনতম দুটি গোল করতেই হবে। তাহলে ম্যাচ টাইব্রেকারে নেয়া সম্ভব হবে। কিন্তু ইন্টারের গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার দৃঢ়তার কারণে তাদের গোলের আশা পূর্ণ হয়নি। ব্রাহিম দিয়াজের শট বাঁচিয়ে দেন তিনি। এছাড়া লিওর একটি শট অল্পের জন্য বাইরে ?যায়। অন্যদিকে জেকোর শট বাচিয়ে দেন মিলান গোলরক্ষক মাইক ম্যাগনান।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলার পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হয়। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ৭৪ মিনিটে মার্টিনেজ গোল করলে ইন্টারের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়। বদলি খেলোয়াড় রোমেলু ?লুকাকুর সাথে বল দেয়া নেয়া করে আক্রমণটিকে সফল পরিণতি দেন মার্টিনেজ।

মিলানের জন্য আরো খারাপ খবর হলো তারা হয়তো আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগেই খেলার সুযোগ পাবে না। কারণ সিরি এ লিগের শীর্ষ চার-এ জায়গা করে নেয়া তাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে গেছে।