তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি

তথ্য-প্রযুক্তি বলতেই আধুনিক বিশ্বের যান্ত্রিক উপাদান আর উপকরণের কথা উঠে আসে। যার মাধ্যমে মানব জীবনকে করা হয়েছে সহজ ও আরামদায়ক।

প্রাচীন কাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রতিটি জিনিস তৈরির মূলে নিহিত আছে মানব সমাজের কল্যাণ। কিন্তু আমরা মানব সমাজ তাকে এমন ভাবে ব্যবহার করি যা আমাদের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনছে। তথ্য প্রযুক্তির উপকরণগুলো ব্যবহার করার জন্য আমাদের উচিত এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা। তথ্য প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কারের মধ্যে একটা হচ্ছে মোবাইল।

শিশুদের আগেকার সময়ে বিভিন্ন গল্প বা মজার ছড়া শুনিয়ে খাবার খাওয়ানো ও কান্না থামানো হতো। কিন্তু এখন এগুলো করা হয় মোবাইলে গান চালিয়ে বা কার্টুন দেখিয়ে। ফলে শিশুরা ছোটবেলা থেকেই আসক্ত হচ্ছে ফোনের প্রতি। এক নাগাদ অনেক সময় ধরে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে মোবাইলের আলো তাদের চোখের ক্ষতি করে। যার জন্য বর্তমান সময়ে খুব অল্প বয়সের ছেলে মেয়েদের চশমা ব্যবহার করতে দেখা যায়। মোবাইল এর কার্যক্ষমতা অন্য সবাই তথ্য প্রযুক্তির উপকরণ থেকে বেশি এবং সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়। এর ক্রয় মূল্য সব শ্রেণীর মানুষের হাতের নাগালে। এর জন্য এর ব্যবহার খুব দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোবাইল ফোনকে যার জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে, ঘটছে তার উল্টো। যুবক সমাজের একটা বড় অংশ এটাকে নিয়েছে বিনোদনের পাঠ হিসেবে। তাদের এখন আর আগের মতো সকাল হলেই পড়ালেখার প্রতিযোগিতায় নামতে দেখা যায় না। তাদের ঘুম ভাঙে ফেইসবুকে পোস্টে বন্ধুর করা লাইক আর কমেন্টে। তারা ঘুম থেকে উঠে রাতে পোস্ট করা ছবির লাইক, কমেন্ট চেক করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিকেল হলেই এখন আর কাউকে বল ব্যাট হাতে মাঠে ছুটতে দেখা যায় না।

অনলাইন গেম ফ্রি-ফায়ার, পাপজি, লুডু, মিনি মিলিটারি, ক্লাস অফ ক্লান্স আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণরা। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে চারদিকে তাকালে দেখা যায় যুবক সমাজ অনলাইনের অপব্যবহারে ধ্বংসের মুখে। কখনো ভেবে দেখেছেনÑ আমরা মোবাইল ব্যবহার করছি না মোবাইল আমাদের ব্যবহার করছে? ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায় ঠিক কিন্তু ক্লাসে তাদের অনীহা। তাদের দেখা যায় নির্জন কোন স্থানে বসে ফোনে গেম খেলতে। তাই এখনো সময় আছে যুবক সমাজকে বাঁচাতে ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রকে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইমন হাওলাদার

শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩ , ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৪

তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি

তথ্য-প্রযুক্তি বলতেই আধুনিক বিশ্বের যান্ত্রিক উপাদান আর উপকরণের কথা উঠে আসে। যার মাধ্যমে মানব জীবনকে করা হয়েছে সহজ ও আরামদায়ক।

প্রাচীন কাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রতিটি জিনিস তৈরির মূলে নিহিত আছে মানব সমাজের কল্যাণ। কিন্তু আমরা মানব সমাজ তাকে এমন ভাবে ব্যবহার করি যা আমাদের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনছে। তথ্য প্রযুক্তির উপকরণগুলো ব্যবহার করার জন্য আমাদের উচিত এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা। তথ্য প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কারের মধ্যে একটা হচ্ছে মোবাইল।

শিশুদের আগেকার সময়ে বিভিন্ন গল্প বা মজার ছড়া শুনিয়ে খাবার খাওয়ানো ও কান্না থামানো হতো। কিন্তু এখন এগুলো করা হয় মোবাইলে গান চালিয়ে বা কার্টুন দেখিয়ে। ফলে শিশুরা ছোটবেলা থেকেই আসক্ত হচ্ছে ফোনের প্রতি। এক নাগাদ অনেক সময় ধরে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে মোবাইলের আলো তাদের চোখের ক্ষতি করে। যার জন্য বর্তমান সময়ে খুব অল্প বয়সের ছেলে মেয়েদের চশমা ব্যবহার করতে দেখা যায়। মোবাইল এর কার্যক্ষমতা অন্য সবাই তথ্য প্রযুক্তির উপকরণ থেকে বেশি এবং সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়। এর ক্রয় মূল্য সব শ্রেণীর মানুষের হাতের নাগালে। এর জন্য এর ব্যবহার খুব দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোবাইল ফোনকে যার জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে, ঘটছে তার উল্টো। যুবক সমাজের একটা বড় অংশ এটাকে নিয়েছে বিনোদনের পাঠ হিসেবে। তাদের এখন আর আগের মতো সকাল হলেই পড়ালেখার প্রতিযোগিতায় নামতে দেখা যায় না। তাদের ঘুম ভাঙে ফেইসবুকে পোস্টে বন্ধুর করা লাইক আর কমেন্টে। তারা ঘুম থেকে উঠে রাতে পোস্ট করা ছবির লাইক, কমেন্ট চেক করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিকেল হলেই এখন আর কাউকে বল ব্যাট হাতে মাঠে ছুটতে দেখা যায় না।

অনলাইন গেম ফ্রি-ফায়ার, পাপজি, লুডু, মিনি মিলিটারি, ক্লাস অফ ক্লান্স আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণরা। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে চারদিকে তাকালে দেখা যায় যুবক সমাজ অনলাইনের অপব্যবহারে ধ্বংসের মুখে। কখনো ভেবে দেখেছেনÑ আমরা মোবাইল ব্যবহার করছি না মোবাইল আমাদের ব্যবহার করছে? ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায় ঠিক কিন্তু ক্লাসে তাদের অনীহা। তাদের দেখা যায় নির্জন কোন স্থানে বসে ফোনে গেম খেলতে। তাই এখনো সময় আছে যুবক সমাজকে বাঁচাতে ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রকে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইমন হাওলাদার