দুই শেয়ারবাজারে মূলধন বাড়লো ৮৩৮৫ কোটি টাকা

গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেড়েছে শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ। তবে আগের সপ্তাহের তুলনায় গেল সপ্তায় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা যার মোট লেনদেনের ২৮ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই দশ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩২ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান ১ দশমিক ৪৭ গুণ বেশি হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৫৩১ কোটি। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূলধন বেড়েছে বেড়েছে ৩ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। দুই শেয়ারবাজারে মোট মূলধন বেড়েছে ৮৩৮৫ কোটি টাকা।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা।। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৬ হাজার ১০৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৫৩১ কোটি ১২ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৭৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৩৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৭৯১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এরমধ্যেÑ শেয়ার দর বেড়েছে ১০৯টির, দর কমেছে ৭৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১৪টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৯০ দশমিক ২০ পয়েন্টে। ডিএসই৩০ সূচক দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৯৫ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৬৮ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট ছিল। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোন কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি ৩০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ২৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারে। কোম্পানিটি একাই মোট শেয়ারের ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া জেমিনি সি ফুডের (বি ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ, সি পার্ল বিচের ৩ দশমিক ২১ শতাংশ, রূপালী লাইফের ৩ দশমিক ১২ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ২ দশমিক ১৫ শতাংশ, পেপার প্রসেসিংয়ের (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ১০ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের (বি ক্যাটাগরি) ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কসের ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ইউনিক হোটেলের ১ দশমিক ৮৭ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। অন্যদিকে বেড়েছে বাজার মূলধন পরিমাণ। বেড়েছে প্রধান সূচক সিএএসপিআই। কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর পতনের চেয়ে উত্থান বেশি হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪১ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ৩০৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এরমধ্যেÑ শেয়ার দর বেড়েছে ৮৮টির, দর কমেছে ৬৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৫টি কোম্পানির যা কোম্পানিগুলো শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান ১ দশমিক ৩৫ গুণ বেশি হয়েছে।

প্রধান সূচক সিএএসপিআই উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএএসপিআই দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৩০ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে। সিএসই৫০ সূচক দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৭৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭১ দশমিক ১৬ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসই৩০ সূচক দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স সূচক ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৩ হাজার ৪৬১ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৬৬৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৯৪ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক ১৮ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ১০ শতাংশ, সিএসআই সূচক দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স সূচক ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, ১৩ হাজার ৪৪৭ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৬৭ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং ১ হাজার ৬২২ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩০ শতাংশ, জেড ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ এবং এন ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচের শেয়ার। একাই ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

এছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের (এন ক্যাটাগরি) ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, আমরা নেটওয়ার্কসের ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ফারইস্ট নিটিংয়ের ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের (বি ক্যাটাগরি) ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের (জেড ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, মেট্রো স্পিনিংয়ের (বি ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, ফার কেমিক্যালের (বি ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৭ লাখ টাকা, ইউনিক হোটেলের ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

শনিবার, ২০ মে ২০২৩ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৪

দুই শেয়ারবাজারে মূলধন বাড়লো ৮৩৮৫ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেড়েছে শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ। তবে আগের সপ্তাহের তুলনায় গেল সপ্তায় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা যার মোট লেনদেনের ২৮ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই দশ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩২ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান ১ দশমিক ৪৭ গুণ বেশি হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৫৩১ কোটি। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূলধন বেড়েছে বেড়েছে ৩ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। দুই শেয়ারবাজারে মোট মূলধন বেড়েছে ৮৩৮৫ কোটি টাকা।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা।। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৬ হাজার ১০৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৫৩১ কোটি ১২ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৭৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৩৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৭৯১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এরমধ্যেÑ শেয়ার দর বেড়েছে ১০৯টির, দর কমেছে ৭৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১৪টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৯০ দশমিক ২০ পয়েন্টে। ডিএসই৩০ সূচক দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৯৫ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৬৮ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট ছিল। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোন কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি ৩০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ২৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারে। কোম্পানিটি একাই মোট শেয়ারের ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া জেমিনি সি ফুডের (বি ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ, সি পার্ল বিচের ৩ দশমিক ২১ শতাংশ, রূপালী লাইফের ৩ দশমিক ১২ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ২ দশমিক ১৫ শতাংশ, পেপার প্রসেসিংয়ের (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ১০ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের (বি ক্যাটাগরি) ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কসের ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ইউনিক হোটেলের ১ দশমিক ৮৭ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। অন্যদিকে বেড়েছে বাজার মূলধন পরিমাণ। বেড়েছে প্রধান সূচক সিএএসপিআই। কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর পতনের চেয়ে উত্থান বেশি হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪১ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ৩০৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এরমধ্যেÑ শেয়ার দর বেড়েছে ৮৮টির, দর কমেছে ৬৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৫টি কোম্পানির যা কোম্পানিগুলো শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান ১ দশমিক ৩৫ গুণ বেশি হয়েছে।

প্রধান সূচক সিএএসপিআই উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএএসপিআই দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৩০ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে। সিএসই৫০ সূচক দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৭৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭১ দশমিক ১৬ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসই৩০ সূচক দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স সূচক ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৩ হাজার ৪৬১ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৬৬৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৯৪ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক ১৮ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ১০ শতাংশ, সিএসআই সূচক দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স সূচক ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, ১৩ হাজার ৪৪৭ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৬৭ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং ১ হাজার ৬২২ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩০ শতাংশ, জেড ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ এবং এন ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচের শেয়ার। একাই ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

এছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের (এন ক্যাটাগরি) ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, আমরা নেটওয়ার্কসের ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ফারইস্ট নিটিংয়ের ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের (বি ক্যাটাগরি) ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের (জেড ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, মেট্রো স্পিনিংয়ের (বি ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, ফার কেমিক্যালের (বি ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৭ লাখ টাকা, ইউনিক হোটেলের ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।