পেঁয়াজ, চিনি ছাড়া সবকিছুর দাম নিয়ন্ত্রণে, দাবি বাণিজ্যমন্ত্রীর

পেঁয়াজ ও চিনি ছাড়া সব জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল রংপুর নগরীর বাসবভনে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।

বাণিজমন্ত্রী বলেন, ‘কাঁচাবাজার আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আছে, তারা সেটা দেখে। সব মিলে পরিস্থিতি খারাপ যে তা না। কখনো কখনো কাঁচামালের দাম বাড়ে, আবার কমে। বৃষ্টি হলে শাক-সবজি পরিবহনব্যবস্থার কারণেও দাম বেড়ে যায়। সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, পেঁয়াজ আর চিনি ছাড়া।’

রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে দুই সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ৪৫-৫০ টাকা কেজির পেঁয়াজ গত বৃহস্পতিবার ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূল্য বৃদ্ধির চক্র থেকে রেহাই পাচ্ছে না ঢাকার বাইরের ক্রেতারাও। ভারতের সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হিলিতে তিন-চার দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ টাকা।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুই-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি করবে সরকার।’

দুই দিন আগেই দাম না কমলে কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন। এই হুঁশিয়ারিতেও বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে না।

এদিকে এক বছরে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া চিনির দাম বাড়ছেই। এ মাসেই ১৬ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি চিনির দাম খোলাবাজারে ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

যথারীতি ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছে না। বাজারে খোলা চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনি বাজারে খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও কেজি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।

চিনির বাজারে অস্থিরতা নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘চিনির দাম বৈশ্বিকভাবে ওঠানামা করায় সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আমরা নির্দিষ্ট একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। তার পরও বাজারে সেটার প্রভাব এখনও পড়েনি। আমরা চেষ্টা করছি, যে দাম ঠিক করে দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে, সে যাতে অ্যাচিভ করা যায়। ভোক্তা অধিকার মাঠে কাজ করছে। আশা করছি কিছু ইমপ্রুভ করবে। ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি করা পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে বৈশ্বিক বিবেচনায় আমরা ভালো আছি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, পীরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মো. মাহবুবার রহমান, রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, কোতয়ালী থানার ওসি মাহফুজ রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদি হাসান সিদ্দিকী, সাবেক যুবলীগ নেতা মহসিনুল বারীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শনিবার, ২০ মে ২০২৩ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৪

পেঁয়াজ, চিনি ছাড়া সবকিছুর দাম নিয়ন্ত্রণে, দাবি বাণিজ্যমন্ত্রীর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

পেঁয়াজ ও চিনি ছাড়া সব জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল রংপুর নগরীর বাসবভনে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।

বাণিজমন্ত্রী বলেন, ‘কাঁচাবাজার আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আছে, তারা সেটা দেখে। সব মিলে পরিস্থিতি খারাপ যে তা না। কখনো কখনো কাঁচামালের দাম বাড়ে, আবার কমে। বৃষ্টি হলে শাক-সবজি পরিবহনব্যবস্থার কারণেও দাম বেড়ে যায়। সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, পেঁয়াজ আর চিনি ছাড়া।’

রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে দুই সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ৪৫-৫০ টাকা কেজির পেঁয়াজ গত বৃহস্পতিবার ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূল্য বৃদ্ধির চক্র থেকে রেহাই পাচ্ছে না ঢাকার বাইরের ক্রেতারাও। ভারতের সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হিলিতে তিন-চার দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ টাকা।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুই-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি করবে সরকার।’

দুই দিন আগেই দাম না কমলে কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন। এই হুঁশিয়ারিতেও বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে না।

এদিকে এক বছরে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া চিনির দাম বাড়ছেই। এ মাসেই ১৬ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি চিনির দাম খোলাবাজারে ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

যথারীতি ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছে না। বাজারে খোলা চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনি বাজারে খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও কেজি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।

চিনির বাজারে অস্থিরতা নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘চিনির দাম বৈশ্বিকভাবে ওঠানামা করায় সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আমরা নির্দিষ্ট একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। তার পরও বাজারে সেটার প্রভাব এখনও পড়েনি। আমরা চেষ্টা করছি, যে দাম ঠিক করে দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে, সে যাতে অ্যাচিভ করা যায়। ভোক্তা অধিকার মাঠে কাজ করছে। আশা করছি কিছু ইমপ্রুভ করবে। ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি করা পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে বৈশ্বিক বিবেচনায় আমরা ভালো আছি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, পীরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মো. মাহবুবার রহমান, রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, কোতয়ালী থানার ওসি মাহফুজ রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদি হাসান সিদ্দিকী, সাবেক যুবলীগ নেতা মহসিনুল বারীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।