আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে ৬৪ পরিবার

মুজিব শতবর্ষের ৪র্থ পর্যায় প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘরে আশ্রয় নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন ৬৪ পরিবার। উদ্বোধনের দুই মাস পর থেকে অনেক ঘরের চালা দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে । অধিকাংশ ঘরের প্লাস্টার খসে পড়ছে। উঠে গেছে দেয়ালের রঙ। একটিও গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়নি। নেই গোসল কিংবা রান্নার পানির কোন ব্যবস্থা। পাশের খালের লবনাক্ত পানি ব্যবহার করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো জ্বলছে না বিদ্যুতের আলো। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস উপজেলা প্রশাসনের।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া ও ফাঁসিপাড়া গ্রামে নির্মাণ করা হয় ৬৪ ঘর। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি নির্মাণকাজ শেষ হয়। প্রতিটি ঘরে ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বরাদ্দের ঘরগুলো গত ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। এরপর লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বসবাসের জন্য ঘরগুলো হাস্তান্তর করা হয়। দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখন হয়নি চলাচলের রাস্তা। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের সামনে জমে পানি। কাদায় একাকার হয়ে যায় পুরো আশ্রয়ণ প্রকল্পের পথ। বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়নি কোন ঘরে। নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ভেস্তে যাচ্ছে প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানের দাবি আশ্রয়ণবাসীর। ৪৫ নম্বর ঘরের উপকারভোগী সাথী বলেন, আমার ঘরে ওঠার সময় পেছনের একটা দরজা ও সামনের একটি জানালা ভাঙা পাই এবং পিছনের জানালাই ছিল না। এ ব্যাপারে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘরগুলোতে এখন পর্যন্ত যে ত্রুটি ধরা পড়েছে তা সংস্কার করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। বাসিন্দাদের বসবাসের সমস্যার দ্রুত সমাধান করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা (পিআইও) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি কিছু ঘরের কাজে ত্রুটি বিচ্যুতি হয়েছে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে। ’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘরগুলোর নির্মাণ করার সময় আমি ছিলাম না। তবে যতটুকু ত্রুটি রয়েছে তা ঠিক করে দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। আর পানির জন্য টিউবওয়েলের বরাদ্দ হয়েছে, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তাছাড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে অতিদ্রুত বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হবে।

শনিবার, ২০ মে ২০২৩ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৪

আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে ৬৪ পরিবার

প্রতিনিধি, কুয়াকাটা

image

মুজিব শতবর্ষের ৪র্থ পর্যায় প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘরে আশ্রয় নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন ৬৪ পরিবার। উদ্বোধনের দুই মাস পর থেকে অনেক ঘরের চালা দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে । অধিকাংশ ঘরের প্লাস্টার খসে পড়ছে। উঠে গেছে দেয়ালের রঙ। একটিও গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়নি। নেই গোসল কিংবা রান্নার পানির কোন ব্যবস্থা। পাশের খালের লবনাক্ত পানি ব্যবহার করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো জ্বলছে না বিদ্যুতের আলো। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস উপজেলা প্রশাসনের।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া ও ফাঁসিপাড়া গ্রামে নির্মাণ করা হয় ৬৪ ঘর। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি নির্মাণকাজ শেষ হয়। প্রতিটি ঘরে ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বরাদ্দের ঘরগুলো গত ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। এরপর লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বসবাসের জন্য ঘরগুলো হাস্তান্তর করা হয়। দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখন হয়নি চলাচলের রাস্তা। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের সামনে জমে পানি। কাদায় একাকার হয়ে যায় পুরো আশ্রয়ণ প্রকল্পের পথ। বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়নি কোন ঘরে। নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ভেস্তে যাচ্ছে প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানের দাবি আশ্রয়ণবাসীর। ৪৫ নম্বর ঘরের উপকারভোগী সাথী বলেন, আমার ঘরে ওঠার সময় পেছনের একটা দরজা ও সামনের একটি জানালা ভাঙা পাই এবং পিছনের জানালাই ছিল না। এ ব্যাপারে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘরগুলোতে এখন পর্যন্ত যে ত্রুটি ধরা পড়েছে তা সংস্কার করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। বাসিন্দাদের বসবাসের সমস্যার দ্রুত সমাধান করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা (পিআইও) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি কিছু ঘরের কাজে ত্রুটি বিচ্যুতি হয়েছে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে। ’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘরগুলোর নির্মাণ করার সময় আমি ছিলাম না। তবে যতটুকু ত্রুটি রয়েছে তা ঠিক করে দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। আর পানির জন্য টিউবওয়েলের বরাদ্দ হয়েছে, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তাছাড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে অতিদ্রুত বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হবে।