অক্সিজেন নাকে লাগিয়ে রিকশা চালাতে হবে না সেন্টুকে, দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

রাজশাহী নগরীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালক সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টুর সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি। এ সময় মাইনুরজ্জামান সেন্টু জেলা প্রশাসকে জানান, তিনি দীর্ঘ সাত বছর থেকে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন কনসালন্টান মেশিন কিনতে বলেছেন। এই মেশিন ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই, এই মেশিনটির প্রয়োজন হবে বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ সেন্টুকে দেখতে গিয়ে জানান, তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। চিকিৎসক বলেছে অক্সিজেন কনসালন্টান মেশিনটা এখন সবচেয়ে আগে প্রয়োজন। তাই এই মেশিনটা তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হবে। হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেয়ার পরে তার অন্যান্য সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সেন্টুকে মেডিকেল থেকে রিলিজ (ছুটি) দিলেই জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ডেকেছেন। সেখানে তার সমস্যার কথা শুনে সমাধান করে দেয়া হবে বলেও সেন্টুকে আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, দীর্ঘ সাত বছর থেকে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। তাই রিকশা চালিয়ে আর সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিকশার পরিবর্তে তার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) মো. শামসুল ইসলাম। প্রসঙ্গত, মাইনুরজ্জামান সেন্টু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। গেল দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবশেষ গত পাঁচ মাস থেকে তার প্রতিদিন তিনটা অক্সিজেনসহ ওষুধ লাগে। তিনি রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতেন।

শনিবার, ২০ মে ২০২৩ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৪

অক্সিজেন নাকে লাগিয়ে রিকশা চালাতে হবে না সেন্টুকে, দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

image

রাজশাহী : নাকে পাইপ লাগানো সেন্টুকে দেখতে এলেন জেলা প্রশাসক -সংবাদ

রাজশাহী নগরীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালক সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টুর সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি। এ সময় মাইনুরজ্জামান সেন্টু জেলা প্রশাসকে জানান, তিনি দীর্ঘ সাত বছর থেকে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন কনসালন্টান মেশিন কিনতে বলেছেন। এই মেশিন ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই, এই মেশিনটির প্রয়োজন হবে বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ সেন্টুকে দেখতে গিয়ে জানান, তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। চিকিৎসক বলেছে অক্সিজেন কনসালন্টান মেশিনটা এখন সবচেয়ে আগে প্রয়োজন। তাই এই মেশিনটা তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হবে। হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেয়ার পরে তার অন্যান্য সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সেন্টুকে মেডিকেল থেকে রিলিজ (ছুটি) দিলেই জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ডেকেছেন। সেখানে তার সমস্যার কথা শুনে সমাধান করে দেয়া হবে বলেও সেন্টুকে আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, দীর্ঘ সাত বছর থেকে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। তাই রিকশা চালিয়ে আর সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিকশার পরিবর্তে তার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) মো. শামসুল ইসলাম। প্রসঙ্গত, মাইনুরজ্জামান সেন্টু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। গেল দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবশেষ গত পাঁচ মাস থেকে তার প্রতিদিন তিনটা অক্সিজেনসহ ওষুধ লাগে। তিনি রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতেন।