গোপালগঞ্জে ভাতা কার্ডের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

গোপালগঞ্জে বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও পারিবারিক রেশন কার্ড করে দেয়ার কথা বলে অর্র্ধশতাধিক গরিব-অসহায় মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কাশিয়ানীর নিজামকান্দি ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মিল্টন ফকিরের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, মিল্টন ফকির যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও কার্ডের ব্যবস্থা করতে পারেননি তারা টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানা তালবাহানা করছেন। এমনকি ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী যমুনা বেগম (৬৫) জানান, মিল্টন ফকির বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে অফিস খরচ বাবদ তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কার্ড করে দেননি। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি নানাভাবে হুমকি দেন। একই অভিযোগ করেছেন ওই ওয়ার্ডের বিধবা নাদিরা বেগম।

এ বিষয়ে মিল্টন ফকিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এলাকার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এর আগেও আমাকে নানাভাবে হয়রানি করেছেন তারা। মেম্বারি করতে গেলে শতভাগ স্বচ্ছ কাজ করা যায় না। তাই অভিযোগ হতেই পারে। ’

নিজামকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে কোন অভিযোগও করেনি। তবে শুনেছি, ইউএনওর কাছে একটি অভিযোগ হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, ‘মিল্টন ফকিরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার, ২০ মে ২০২৩ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৪

গোপালগঞ্জে ভাতা কার্ডের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও পারিবারিক রেশন কার্ড করে দেয়ার কথা বলে অর্র্ধশতাধিক গরিব-অসহায় মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কাশিয়ানীর নিজামকান্দি ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মিল্টন ফকিরের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, মিল্টন ফকির যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও কার্ডের ব্যবস্থা করতে পারেননি তারা টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানা তালবাহানা করছেন। এমনকি ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী যমুনা বেগম (৬৫) জানান, মিল্টন ফকির বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে অফিস খরচ বাবদ তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কার্ড করে দেননি। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি নানাভাবে হুমকি দেন। একই অভিযোগ করেছেন ওই ওয়ার্ডের বিধবা নাদিরা বেগম।

এ বিষয়ে মিল্টন ফকিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এলাকার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এর আগেও আমাকে নানাভাবে হয়রানি করেছেন তারা। মেম্বারি করতে গেলে শতভাগ স্বচ্ছ কাজ করা যায় না। তাই অভিযোগ হতেই পারে। ’

নিজামকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে কোন অভিযোগও করেনি। তবে শুনেছি, ইউএনওর কাছে একটি অভিযোগ হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, ‘মিল্টন ফকিরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।