বিএনপি আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে

ওবায়দুল কাদের

বিএনপি আন্দোলনের নামে ভেতরে ভেতরে আবারও আগুন-সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি হাঁটুভাঙা দল, আন্দোলনে পরাজিত। ভোটে গেলেও শেখ হাসিনার ধারে কাছে যেতে পারবে না। বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিতে পারবে কিন্তু জনগণ তাদের আন্দোলন সফল হতে দেবে না। তারা উপরে পদযাত্রা আর ভেতরে আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বিএনপি-জামায়াতের ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা বলছে আওয়ামী লীগ রোষানলে পড়বে। জনতার রোষানলে কারা পড়েছে? যারা রাস্তা দখল করে পদযাত্রা করেছে। জনগণের রোষানল তাদের ওপরেই। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে মুগ্ধ। মানুষ কাকে ভোট দেবে? যারা রাস্তা করেছে তাদের ভোট দেবে। ঘরে ঘরে যারা বিদ্যুৎ দিয়েছে, তাদের ভোট দেবে।’ এসময় তিনি বলেন ‘যে হাত ভাঙচুর করবে, সেই হাত ভেঙে দেবো। এখন ওয়ার্মআপ চলছে, ফাইনাল খেলা এখনও বাকি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যতই নালিশ করুক, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমার দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, পক্ষপাতহীন এবং অংশগ্রহণমূলক একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে। আপনাদের কারও এ নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। হাঁটুভাঙা, কোমর ভাঙা (বিএনপি) দল যতই কাকুতি-মিনতি করুক এদের প্রলাপ শুনে লাভ নেই। হাঁটুভাঙা বিএনপির কথা শুনবেন না। জনগণের সঙ্গে কথা বলুন।’

প্রায় একযুগ ধরে বিএনপির জাতীয় সম্মেলন না হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় একযুগ ধরে কোন সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আমাদের তিনটা সম্মেলন হয়েছে। ঘরে যাদের গণতন্ত্র নেই তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে দেবে? কূটনীতিক বন্ধুদের বলবো এই কথাটা তাদের জিজ্ঞেস করুন। তাদের ঘরে গণতন্ত্র নেই কেন?’

সরকারের বৈধতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের দেয়া বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বৈধতা দেবে এই দেশের জনগণ। আমরা জনগণের বৈধতা নিয়ে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবো। আগামী নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে করে তিনি বলেন, ‘প্রস্তুত থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নির্বাচনও ঘনিয়ে আসছে। তারা (বিএনপি) যত চেষ্টাই করুক, বাংলাদেশে সময় আর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। সংবিধান আর নির্বাচন কারও জন্য বসে থাকবে না। বাংলাদেশের সংবিধানই বলে দেবে কীভাবে নির্বাচন হবে।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে জানেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। সারাবিশ্বেই এখন সঙ্কট। সুদানে দুই জেনারেলের লড়াই চলছে। পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ঘটেছে ৮০ শতাংশ।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখম বাহাউদ্দিন নাছিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

শনিবার, ২০ মে ২০২৩ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৪

বিএনপি আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে

ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিএনপি আন্দোলনের নামে ভেতরে ভেতরে আবারও আগুন-সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি হাঁটুভাঙা দল, আন্দোলনে পরাজিত। ভোটে গেলেও শেখ হাসিনার ধারে কাছে যেতে পারবে না। বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিতে পারবে কিন্তু জনগণ তাদের আন্দোলন সফল হতে দেবে না। তারা উপরে পদযাত্রা আর ভেতরে আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বিএনপি-জামায়াতের ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা বলছে আওয়ামী লীগ রোষানলে পড়বে। জনতার রোষানলে কারা পড়েছে? যারা রাস্তা দখল করে পদযাত্রা করেছে। জনগণের রোষানল তাদের ওপরেই। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে মুগ্ধ। মানুষ কাকে ভোট দেবে? যারা রাস্তা করেছে তাদের ভোট দেবে। ঘরে ঘরে যারা বিদ্যুৎ দিয়েছে, তাদের ভোট দেবে।’ এসময় তিনি বলেন ‘যে হাত ভাঙচুর করবে, সেই হাত ভেঙে দেবো। এখন ওয়ার্মআপ চলছে, ফাইনাল খেলা এখনও বাকি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যতই নালিশ করুক, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমার দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, পক্ষপাতহীন এবং অংশগ্রহণমূলক একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে। আপনাদের কারও এ নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। হাঁটুভাঙা, কোমর ভাঙা (বিএনপি) দল যতই কাকুতি-মিনতি করুক এদের প্রলাপ শুনে লাভ নেই। হাঁটুভাঙা বিএনপির কথা শুনবেন না। জনগণের সঙ্গে কথা বলুন।’

প্রায় একযুগ ধরে বিএনপির জাতীয় সম্মেলন না হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় একযুগ ধরে কোন সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আমাদের তিনটা সম্মেলন হয়েছে। ঘরে যাদের গণতন্ত্র নেই তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে দেবে? কূটনীতিক বন্ধুদের বলবো এই কথাটা তাদের জিজ্ঞেস করুন। তাদের ঘরে গণতন্ত্র নেই কেন?’

সরকারের বৈধতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের দেয়া বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বৈধতা দেবে এই দেশের জনগণ। আমরা জনগণের বৈধতা নিয়ে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবো। আগামী নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে করে তিনি বলেন, ‘প্রস্তুত থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নির্বাচনও ঘনিয়ে আসছে। তারা (বিএনপি) যত চেষ্টাই করুক, বাংলাদেশে সময় আর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। সংবিধান আর নির্বাচন কারও জন্য বসে থাকবে না। বাংলাদেশের সংবিধানই বলে দেবে কীভাবে নির্বাচন হবে।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে জানেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। সারাবিশ্বেই এখন সঙ্কট। সুদানে দুই জেনারেলের লড়াই চলছে। পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ঘটেছে ৮০ শতাংশ।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখম বাহাউদ্দিন নাছিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম প্রমুখ।