পটুুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৪৯৭ জন। তবে ওই ভবনের ৪টি হলরুমে ১৬৩ জন শিক্ষার্থীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা চলছে।
জানা যায়, ৯০ দশকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টির মূল ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী। বেশিরভাগ কক্ষের দেয়াল ও ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা। দেয়ালের বাইরের দিকে গজিয়েছে বিভিন্ন গাছ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর পরিদর্শন করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা না করলেও ভবনটি যে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে তা স্বীকার করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এরইমধ্যে ২০২২ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে নতুন একটি ভবনও তৈরি করা হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন ভবনটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে নতুন ভবনটি ব্যবহার করতে পারছেন না। বাধ্য হয়েই পুরানো ভবনে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ। এ রকম একটি ঝুঁঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা নেওয়ায় তারা শঙ্কিত। এসএসসি পরীক্ষার্থী মো.সাগর হোসেন জানান, আমাদের বাড়ির পাশেই অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের মাঠে মাঝে মাঝে বিকাল বেলা আমরা ক্রিকেট, ফুটবল খেলাধুলা করে থাকি। ক্রিকেট ও ফুটবল গিয়ে লাগলেই পলেস্তরা খুলে পড়ে।
কেন্দ্র পরিদর্শক ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খালিদ মাহমুদ জানান, আমি প্রথম থেকে এসে দেখেছি বিদ্যালয় কক্ষগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ভবনটির ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসে জানিয়েছি। তারা বলছে পরীক্ষার শেষে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.লুৎফর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গত এক বছর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা প্রকৌশালী অধিদপ্তরকে ভবনের বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। সমাধান পাইনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, অতিরিক্ত পরীক্ষার্থী উপস্থিতি থাকার কারণে আমরা ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা নিতেছি। যদি কোন ঘটনা ঘটে তাহলে পরবর্তী পরীক্ষা মাঠের সামিয়ানা টানিয়ে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার শেষে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা.) মো. আল-আমিন বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি ভবনটি খুবই ঝুঁঁকিপূর্ণ। তাই তাদেরকে অবজারভেশনে রেখেছি।
ুদশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলার বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন -সংবাদ
আরও খবররবিবার, ২১ মে ২০২৩ , ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৩০ শাওয়াল ১৪৪৪
প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)
ুদশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলার বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন -সংবাদ
পটুুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৪৯৭ জন। তবে ওই ভবনের ৪টি হলরুমে ১৬৩ জন শিক্ষার্থীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা চলছে।
জানা যায়, ৯০ দশকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টির মূল ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী। বেশিরভাগ কক্ষের দেয়াল ও ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা। দেয়ালের বাইরের দিকে গজিয়েছে বিভিন্ন গাছ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর পরিদর্শন করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা না করলেও ভবনটি যে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে তা স্বীকার করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এরইমধ্যে ২০২২ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে নতুন একটি ভবনও তৈরি করা হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন ভবনটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে নতুন ভবনটি ব্যবহার করতে পারছেন না। বাধ্য হয়েই পুরানো ভবনে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ। এ রকম একটি ঝুঁঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা নেওয়ায় তারা শঙ্কিত। এসএসসি পরীক্ষার্থী মো.সাগর হোসেন জানান, আমাদের বাড়ির পাশেই অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের মাঠে মাঝে মাঝে বিকাল বেলা আমরা ক্রিকেট, ফুটবল খেলাধুলা করে থাকি। ক্রিকেট ও ফুটবল গিয়ে লাগলেই পলেস্তরা খুলে পড়ে।
কেন্দ্র পরিদর্শক ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খালিদ মাহমুদ জানান, আমি প্রথম থেকে এসে দেখেছি বিদ্যালয় কক্ষগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ভবনটির ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসে জানিয়েছি। তারা বলছে পরীক্ষার শেষে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.লুৎফর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গত এক বছর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা প্রকৌশালী অধিদপ্তরকে ভবনের বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। সমাধান পাইনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, অতিরিক্ত পরীক্ষার্থী উপস্থিতি থাকার কারণে আমরা ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা নিতেছি। যদি কোন ঘটনা ঘটে তাহলে পরবর্তী পরীক্ষা মাঠের সামিয়ানা টানিয়ে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার শেষে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা.) মো. আল-আমিন বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি ভবনটি খুবই ঝুঁঁকিপূর্ণ। তাই তাদেরকে অবজারভেশনে রেখেছি।