ভুয়া ডেপুটি জেলার সেজে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ

প্রতারক চক্রের পাল্লায় পরে ৫০ হাজার টাকা হারিয়েছেন ঝালকাঠির সদর উপজেলার গ্রামের সারেংগল এলাকার গৃহবধূ শাহানাজ বেগম। সে ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের খানের স্ত্রী। এ প্রতারণার ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শাহানাজ বেগম।

গত বৃহস্পতিবার রাতে তার দায়ের করা অভিযোগে জানান, শাহানাজ পারভীনের স্বামী ফৌজদারী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বরিশালের কারাগারে রয়েছে। শাহানাজ বেগম বর্তমানে ঝালকাঠি শহরের মধ্য চাঁদকাঠি এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ০১৯২৮৯৯১৯১৭ ও ০১৭৯৭৮০৩৬২৩ তে শাহানাজ পারভীনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অজ্ঞাতনামা ০১৮৩৫১২২৮৮০ ও ০১৮৭১৫৪৮২০৩ এই নাম্বার থেকে বরিশালে কেন্দ্রীয় কারাগারে ডেপুটি জেলার শহিদুল ইসলাম নাম ব্যবহার করে শাহানাজ পারভীনকে জানান, সরকার কিছু সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে এবং এই তালিকায় তার স্বামীর নামও রয়েছে। তাকে মুক্ত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ০১৮৩৫১২২৮৮০ নাম্বারে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে। শাহানাজ বেগম স্বামীর মুক্তির খবরে আত্মহারা হয়ে কোনকিছু বিবেচনা করেই এই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ফোনকে বিশ্বাস করে এই নাম্বারের পার্সোনাল বিকাশ একাউন্টে ২৭ হাজার টাকা এবং ঢাকায় অবস্থানকারী তার মেয়ের নাম্বার ০১৭৭৬০৯৯৮৩১ হতে কথিত ডেপুটি জেলারের নাম্বারে আরও ২৩ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যায়। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে গেটে ডিউটিরত কারারক্ষী সোবেদার মাইনুল ইসলামের কাছে তার স্বামীর সাধারণ ক্ষমাসহ মুক্তির কথা জিজ্ঞাসা করে এবং ডেপুটি জেলার শহিদুল ইসলাম তাকে ফোন করেছেন বলে জানান। কারারক্ষী সোবেদার মাইনুল ইসলাম তাকে জানান বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ডেপুটি জেলার শহিদুল ইসলাম নাই এবং কারা কতৃপক্ষ আসামীকে কোন সাধারণ ক্ষমা করে নাই। শাহানাজ বেগম বুঝতে পারেন অজ্ঞাত নামা ঐ দুই মোবাইল ফোন দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। প্রতারণার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বরিশালের কারা কর্তৃপক্ষ অবগত হয়ে তাকে থানায় এবং র‌্যাবকে জানানোর জন্য পরামর্শ দেন। মোবাইল ফোনের রেকর্ড অনুযায়ী এই দুই প্রতারকদের মধ্যে ০১৮৩৫১২২৮৮০ নাম্বারধারী ব্যক্তির নাম মো. আকাশ, পিতা- মোঃ ছালাহ উদ্দিন, মাতার- মোসাঃ জহুরা খাতুন, এবং ০১৮৭১৫৪৮২০৩ নাম্বারধারী ব্যক্তির নাম- মেহেদী রহমান, পিতা- আব্দুল্লাহ কায়সার, মাতা- নাজমা চৌধুরী।

আরও খবর
ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনে এসএসসি পরীক্ষা, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
রাজশাহীতে জমে উঠেছে কুটির শিল্প মেলা
শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাটকেলঘাটা আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
শরণখোলায় রাজনৈতিক সহাবস্থানের দাবিতে মানববন্ধন
সরকারি অনুমতি নিয়েও নদীতে মাছ শিকার করতে পারছে না পাথরঘাটার অর্ধশতাধিক জেলে
শহরের সুবিধা মিলছে ঘিওরের ৭টি ইউনিয়নের গ্রামেও
সুন্দরবনের বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জেলে-বাওয়ালিদের বিস্তর অভিযোগ
মহাদেবপুরে পরীক্ষামূলক চিনা বাদাম চাষ
নরসিংদীতে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রাজাপুরে অসহায় নারীকে ঘর তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় আ.লীগ নেতা মনির
জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : নিহত ২ আহত ১০

রবিবার, ২১ মে ২০২৩ , ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৩০ শাওয়াল ১৪৪৪

ভুয়া ডেপুটি জেলার সেজে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

প্রতারক চক্রের পাল্লায় পরে ৫০ হাজার টাকা হারিয়েছেন ঝালকাঠির সদর উপজেলার গ্রামের সারেংগল এলাকার গৃহবধূ শাহানাজ বেগম। সে ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের খানের স্ত্রী। এ প্রতারণার ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শাহানাজ বেগম।

গত বৃহস্পতিবার রাতে তার দায়ের করা অভিযোগে জানান, শাহানাজ পারভীনের স্বামী ফৌজদারী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বরিশালের কারাগারে রয়েছে। শাহানাজ বেগম বর্তমানে ঝালকাঠি শহরের মধ্য চাঁদকাঠি এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ০১৯২৮৯৯১৯১৭ ও ০১৭৯৭৮০৩৬২৩ তে শাহানাজ পারভীনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অজ্ঞাতনামা ০১৮৩৫১২২৮৮০ ও ০১৮৭১৫৪৮২০৩ এই নাম্বার থেকে বরিশালে কেন্দ্রীয় কারাগারে ডেপুটি জেলার শহিদুল ইসলাম নাম ব্যবহার করে শাহানাজ পারভীনকে জানান, সরকার কিছু সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে এবং এই তালিকায় তার স্বামীর নামও রয়েছে। তাকে মুক্ত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ০১৮৩৫১২২৮৮০ নাম্বারে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে। শাহানাজ বেগম স্বামীর মুক্তির খবরে আত্মহারা হয়ে কোনকিছু বিবেচনা করেই এই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ফোনকে বিশ্বাস করে এই নাম্বারের পার্সোনাল বিকাশ একাউন্টে ২৭ হাজার টাকা এবং ঢাকায় অবস্থানকারী তার মেয়ের নাম্বার ০১৭৭৬০৯৯৮৩১ হতে কথিত ডেপুটি জেলারের নাম্বারে আরও ২৩ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যায়। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে গেটে ডিউটিরত কারারক্ষী সোবেদার মাইনুল ইসলামের কাছে তার স্বামীর সাধারণ ক্ষমাসহ মুক্তির কথা জিজ্ঞাসা করে এবং ডেপুটি জেলার শহিদুল ইসলাম তাকে ফোন করেছেন বলে জানান। কারারক্ষী সোবেদার মাইনুল ইসলাম তাকে জানান বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ডেপুটি জেলার শহিদুল ইসলাম নাই এবং কারা কতৃপক্ষ আসামীকে কোন সাধারণ ক্ষমা করে নাই। শাহানাজ বেগম বুঝতে পারেন অজ্ঞাত নামা ঐ দুই মোবাইল ফোন দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। প্রতারণার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বরিশালের কারা কর্তৃপক্ষ অবগত হয়ে তাকে থানায় এবং র‌্যাবকে জানানোর জন্য পরামর্শ দেন। মোবাইল ফোনের রেকর্ড অনুযায়ী এই দুই প্রতারকদের মধ্যে ০১৮৩৫১২২৮৮০ নাম্বারধারী ব্যক্তির নাম মো. আকাশ, পিতা- মোঃ ছালাহ উদ্দিন, মাতার- মোসাঃ জহুরা খাতুন, এবং ০১৮৭১৫৪৮২০৩ নাম্বারধারী ব্যক্তির নাম- মেহেদী রহমান, পিতা- আব্দুল্লাহ কায়সার, মাতা- নাজমা চৌধুরী।