সরকারি অনুমতি নিয়েও নদীতে মাছ শিকার করতে পারছে না পাথরঘাটার অর্ধশতাধিক জেলে

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার অর্ধশতাধিক জেলে সরকারি অনুমতিপত্র গ্রহণ করেও বাগেরহাট জেলার শরনখোলার মো. মোকছেদ এর ছেলে মৎস্য ব্যবসায়ি চানমিয়া উরফে চান্দুর বাধায় নদিতে মাছ শিকার করতে পারছেনা বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা। এতে অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেনতারা। ভুক্তভোগী জেলেরা বিষয়টির স্থানীয় চেয়ারম্যান,থানা পুলিশ ও ফরেস্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি। জানা গেছে, উল্লেখিত চানমিয়া তার নিজ এলাকা শরনখোলার অন্তত ৩০ জেলেকে দাদন দিয়ে বগি ফরেস্ট অফিস থেকে নদিতে মাছ শিকারের পাস করিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাছ শিকারের আড়ালে হরিণ শিকারসহ সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন ধরনের গাছ পাচার করে ।

গত ২২ এপ্রিল ২০২৩ স্মার্টবাহিনীর টহল টিম অভিযান চালিয়ে শরণখোলা রেঞ্জের চাতরা খাল থেকে হরিণসহ চানমিয়া ওরফে চান্দুর দাদনপ্রাপ্ত জেলে কালাম তালুকদারের ছেলে মো. হোসাইন তালুকদার জামাল ভদ্দরের ছেলে সুমন হাওলাদার, সায়ের মল্লিক এর ছেলে নুর ইসলাম মল্লিক, নেয়ামুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ইউসুফ হাওলাদার ও ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদারকে আটক করে সুপতি ফরেস্ট অফিসে সোপের্দ করে।

পরে তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট বন আদালতে মামলা দায়ের করেন সুপতি ফরেস্ট অফিসের স্টেশন কর্মকর্তা সামছুল আরেফিন।

ভুক্তভোগী জেলে আবদুল মালেক হাওলাদারের ছেলে মো. আলমগির হোসেনসহ অর্ধশতাধিক জেলের পাশ বহি ঘেটে দেখা গেছে, তারা বগি ফরেস্ট অফিস থেকে সরকারি ফি জমা দিয়ে মাছ শিকারের ৭ দিনের অনুমতিপত্র গ্রহণ করলেও মাত্র ২/৩ দিন নদীতে মাছ শিকার করার পরেই চান মিয়ার বাধায় তারা বাড়িতে ফিরে এসেছেন।

তারা বলেন, গত ২২ এপ্রিল চান্দু মিয়ার জেলেরা হরিণসহ স্মার্ট বাহিনীর হাতে আটক হলেও ফরেস্ট চান্দু মিয়ার জেলেদের নদিতে মাছ শিকারে বাঁধা না দিয়ে আমাদেরকে নদি থেকে বের করে দিয়েছে। ভুক্তভোগী জেলেরা বলেন চান্দু মিয়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শরণখোলা রেঞ্জের ফরেস্টকে ম্যানেজ করে কটকার বাদামতলা,ছাপরাখালি,ছিডা টকা, দুধরাজখালসহ সুন্দর বনের একাধিক পয়েন্ট দখল করে নিজেরমত ব্যবহার করেছে। এতে কর্মহীন হয়ে অর্ধাহারে অনাহারে অবর্ননীয় কষ্টে চলছে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ি সহ প্রায় বিশ হাজার পরিবার।

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি নিয়ে ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতে টাস্কফোর্সের সভায় আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন শীঘ্রই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।

আরও খবর
ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনে এসএসসি পরীক্ষা, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
রাজশাহীতে জমে উঠেছে কুটির শিল্প মেলা
শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাটকেলঘাটা আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
ভুয়া ডেপুটি জেলার সেজে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ
শরণখোলায় রাজনৈতিক সহাবস্থানের দাবিতে মানববন্ধন
শহরের সুবিধা মিলছে ঘিওরের ৭টি ইউনিয়নের গ্রামেও
সুন্দরবনের বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জেলে-বাওয়ালিদের বিস্তর অভিযোগ
মহাদেবপুরে পরীক্ষামূলক চিনা বাদাম চাষ
নরসিংদীতে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রাজাপুরে অসহায় নারীকে ঘর তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় আ.লীগ নেতা মনির
জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : নিহত ২ আহত ১০

রবিবার, ২১ মে ২০২৩ , ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৩০ শাওয়াল ১৪৪৪

সরকারি অনুমতি নিয়েও নদীতে মাছ শিকার করতে পারছে না পাথরঘাটার অর্ধশতাধিক জেলে

প্রতিনিধি, পাথরঘাটা (বরগুনা)

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার অর্ধশতাধিক জেলে সরকারি অনুমতিপত্র গ্রহণ করেও বাগেরহাট জেলার শরনখোলার মো. মোকছেদ এর ছেলে মৎস্য ব্যবসায়ি চানমিয়া উরফে চান্দুর বাধায় নদিতে মাছ শিকার করতে পারছেনা বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা। এতে অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেনতারা। ভুক্তভোগী জেলেরা বিষয়টির স্থানীয় চেয়ারম্যান,থানা পুলিশ ও ফরেস্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি। জানা গেছে, উল্লেখিত চানমিয়া তার নিজ এলাকা শরনখোলার অন্তত ৩০ জেলেকে দাদন দিয়ে বগি ফরেস্ট অফিস থেকে নদিতে মাছ শিকারের পাস করিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাছ শিকারের আড়ালে হরিণ শিকারসহ সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন ধরনের গাছ পাচার করে ।

গত ২২ এপ্রিল ২০২৩ স্মার্টবাহিনীর টহল টিম অভিযান চালিয়ে শরণখোলা রেঞ্জের চাতরা খাল থেকে হরিণসহ চানমিয়া ওরফে চান্দুর দাদনপ্রাপ্ত জেলে কালাম তালুকদারের ছেলে মো. হোসাইন তালুকদার জামাল ভদ্দরের ছেলে সুমন হাওলাদার, সায়ের মল্লিক এর ছেলে নুর ইসলাম মল্লিক, নেয়ামুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ইউসুফ হাওলাদার ও ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদারকে আটক করে সুপতি ফরেস্ট অফিসে সোপের্দ করে।

পরে তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট বন আদালতে মামলা দায়ের করেন সুপতি ফরেস্ট অফিসের স্টেশন কর্মকর্তা সামছুল আরেফিন।

ভুক্তভোগী জেলে আবদুল মালেক হাওলাদারের ছেলে মো. আলমগির হোসেনসহ অর্ধশতাধিক জেলের পাশ বহি ঘেটে দেখা গেছে, তারা বগি ফরেস্ট অফিস থেকে সরকারি ফি জমা দিয়ে মাছ শিকারের ৭ দিনের অনুমতিপত্র গ্রহণ করলেও মাত্র ২/৩ দিন নদীতে মাছ শিকার করার পরেই চান মিয়ার বাধায় তারা বাড়িতে ফিরে এসেছেন।

তারা বলেন, গত ২২ এপ্রিল চান্দু মিয়ার জেলেরা হরিণসহ স্মার্ট বাহিনীর হাতে আটক হলেও ফরেস্ট চান্দু মিয়ার জেলেদের নদিতে মাছ শিকারে বাঁধা না দিয়ে আমাদেরকে নদি থেকে বের করে দিয়েছে। ভুক্তভোগী জেলেরা বলেন চান্দু মিয়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শরণখোলা রেঞ্জের ফরেস্টকে ম্যানেজ করে কটকার বাদামতলা,ছাপরাখালি,ছিডা টকা, দুধরাজখালসহ সুন্দর বনের একাধিক পয়েন্ট দখল করে নিজেরমত ব্যবহার করেছে। এতে কর্মহীন হয়ে অর্ধাহারে অনাহারে অবর্ননীয় কষ্টে চলছে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ি সহ প্রায় বিশ হাজার পরিবার।

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি নিয়ে ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতে টাস্কফোর্সের সভায় আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন শীঘ্রই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।