গাজীপুর : মেয়র প্রার্থীদের হলফনামা

গাজীপুরে বার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আজমত উল্লা খান। তার বিরুদ্ধে মামলা ছিল তিনটি। নিজের চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণই বেশি। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে প্রার্থী হওয়া গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অথচ পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন হলফনামায় তার আয় দেখিয়েছেন চার লাখ টাকা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও মামলার বিষয়সহ অন্যান্য তথ্য ভোটারদের জানানো হবে এবং লিফলেট আকারে প্রচার করা হবে। প্রার্থীদের হলফনামা বিশেষ করে আরও জানা যায়, আজমত উল্লা এলএলএম পাস। পেশা উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট ও গাজীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী। অন্যদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত তরুণ জাহাঙ্গীর আলমের জন্ম ১৯৭৯ সালের ৭ মে। শিক্ষাগত যোগ্যতা এম এ। তিনিও পেশায় ব্যবসায়ী।

মামলা : হলফনামা অনুযায়ী, পাঁচ বছর আগে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা ছিল না। তবে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আটটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা হয়েছে। আজমত উল্লার বিরুদ্ধে তিনটি মামলার একটিতে অব্যাহতি পেয়েছেন। বাকি দুটি মামলাও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় প্রত্যাহার করা হয়েছে।

স¤পদ : আজমত উল্লার বার্ষিক আয় ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৫ টাকা। এর মধ্যে আইন পেশা থেকে তার বার্ষিক আয় ৬ লাখ টাকা। এর বাইরে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক সুদ থেকে তার বার্ষিক আয় ৬২ হাজার ৫০৫ টাকা। কৃষি ও তৈরি পোশাকসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি বার্ষিক ২৪ লাখ তিন হাজার টাকা সম্মানী ভাতা পান। এছাড়া তার লেখা দুটি বই বিক্রি থেকে বার্ষিক আয় এক লাখ টাকা। ২০২১ সালে ও রাজনীতির মহাকবি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ২০২২ সালে ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব গুণ, আদর্শ ব্যক্তি ও জাতি গঠনে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত নামে তার লেখা দুটি বই প্রকাশ করা হয়। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আজমত উল্লা খানের হাতে নগদ ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৩৬ টাকা টাকা। স্ত্রীর কাছে নগদ আছে ৯২ হাজার ৬১৬ টাকা। এছাড়া ব্যাংকে আজমতের নামে আছে ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ৩১১ এবং স্ত্রীর নামে আছে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৫০৬ টাকা রয়েছে। স্ত্রীর নামে একটি প্রাডো গাড়ি রয়েছে। নিজের স্বর্ণ ২০ তোলা এবং স্ত্রীর স্বর্ণ ৩০ তোলা। স্থাবর স¤পদের মধ্যে আজমত উল্লার কোন কৃষিজমি নেই। অকৃষি জমি নিজের নামে ১৪০ দশমিক ৬৩৭৯ শতাংশ এবং স্ত্রীর নামে ২৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ রয়েছে। ৭ শতাংশ জমির উপর তার নির্মাণাধীন বাড়ি।

অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাবেক সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিনের বার্ষিক আয় চার লাখ টাকা। তার অস্থাবর স¤পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৪ টাকা ও ব্যাংকে দুই লাখ টাকা। স্থায়ী আমানত রয়েছে ৫৫ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। নিজের ৫০ ভরি স্বর্ণ ও স্ত্রীর রয়েছে ১০০ ভরি স্বর্ণ। স্থাবর স¤পদের মধ্যে রয়েছে ৩ দশমিক ৬৬ একর কৃষিজমি ও সাত বিঘা অকৃষি জমি। তার দায়ের মধ্যে সাবরিনা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে এনআরবিসি ব্যাংকে ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং ফারইস্ট ট্রান্সফর্ম ওয়াসিংটনপ্ল্যান্ট লিমিটেড এর বিপরীতে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ঋণ রয়েছে দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা।

জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন সশিক্ষিত। পেশা নেই। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় তিন লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তার নগদ টাকা রয়েছে ব্যবসা হতে উত্তোলনসহ ৩৫ লাখ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জামাকৃত অর্থের পরিমান ৫০ হাজার। একটি টেক্সটাইল কম্পোজিট লিমিটেড থেকে আয় ২ লাখ ৫০ হাজার। তার নামে ৩০ তোলার স্বর্ণালংকার রয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান তাকমিল পান। তার কোন সুনির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। তার বিরুদ্ধে কোন মামলাও নেই। তার শিক্ষকতা ও চিকিৎসা আইন পরামর্শ খাত থেকে বার্ষিক আয় ৩ লাখ। তার কাছে নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ৮২ হাজার। ব্যাংকে জমা আছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৪ টাকা। তার নামে ১২ ভরি ও স্ত্রীর নামে ১৫ ভরি স্বর্ণ রয়েছে।

সরকার শাহনুর ইসলাম এমবিএ পাস। তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। দুইটিই নিষ্পত্তি হয়েছে। তার কোন পেশা নেই। তবে বাড়িভাড়া থেকে বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। তার নগদ টাকা আছে ২৫ লাখ আর ব্যাংকে আছে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩০৮ টাকা। স্বর্ণ আছে ৫৩ ভরি। তার স্ত্রীর নামে ব্যাকে টাকা টাকা ৬ লাখ।

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম (বর্তমানে তিনি প্রার্থী নন)-এর হলফনামা

জাহাঙ্গীর আলমের হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে-পাঁচ বছর আগে কৃষি খাত থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল দেড় লাখ টাকা। এবারে কৃষি খাতে আয় দেখিয়েছেন দুই লাখ ২০ হাজার টাকা। বাড়ি ও দোকান ভাড়া আগে ছিল চার লাখ ৩০ হাজার টাকা, এবারেও একই অঙ্ক দেখিয়েছেন। ব্যবসা থেকে আগে আয় দেখান ৯৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, এবার আয় দেখিয়েছেন মাত্র ৩ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার স্থাবর স¤পদের মধ্যে কৃষিজমি ছিল ১৪১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। এবারে তার কোন কৃষিজমি নেই। আগে অকৃষি জমি ছিল ৩৩ দশমিক ৭১২৫ শতাংশ। এবার অবশ্য তার অকৃষি জমি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। আবাসিক স¤পদ আগে ছিল ৭ দশমিক ৪৩৭ শতাংশ। এবারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ১৫ শতাংশ। অস্থাবর স¤পদের মধ্যে তার হাতে রয়েছে নগদ ৪০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে ছিল ৭ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ব্যাংকে তার জমা ৫০ হাজার টাকা। আগে ছিল এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৭১ টাকা। এবারে তিনি তালিকাভুক্ত ও নন-তালিকাভুক্ত শেয়ারের মূল্য দেখিয়েছেন অনারেবল টেক্সটাইলে ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং জেড আলম এ্যাপারেলসে ২০ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ দেখিয়েছেন ১০ লাখ টাকা। আগের বারে তিনি ব্যবসায় বিনিয়োগ দেখিয়েছিলেন ৭৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৭ টাকা, সঞ্চয়পত্রে ১০ লাখ টাকা।

এছাড়া জাহাঙ্গীর আলমের দুটি গাড়ি, ৩৫ ভরি স্বর্ণ, একটি বন্দুক ও একটি পিস্তল, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং আসবাবপত্র আগের মতো রয়েছে। পাঁচ বছর আগে তার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা ছিল না। তবে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আটটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা হয়েছে।

আরও খবর
সামনে সংসদ নির্বাচন : দুই মাস আগে পাঠ্যবই ছাপতে চায় এনসিটিবি
ভেঙেপড়া গাছে ধাক্কা লেগে বগি লাইনচ্যুত, ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার
কাঁদলেন সিলেটের মেয়র আরিফ সরে দাঁড়ালেন নির্বাচন থেকে
৫ সিটি নির্বাচন ট্রায়াল হিসেবে নিয়েছি : ইসি সচিব
সামনে সংসদ নির্বাচন : দুই মাস আগে পাঠ্যবই ছাপতে চায় এনসিটিবি
পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
ওলামা লীগ চাইলে প্রোগ্রামের খরচ ‘শেখ হাসিনা দেবেন’, জানালেন কাদের
রাজশাহী : বিএনপি সরে গেছে মেয়র পদ থেকে, কাউন্সিলর প্রার্থীরা নৌকার কাছে ভিড়ছে
পাবিপ্রবি : ভর্তি পরীক্ষার দিন ছাত্রলীগে অর্ন্তদ্বন্দ্ব, আহত ১০
ইজিআইএমএনএস প্রকল্পের আওতায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণে নয়ছয়

রবিবার, ২১ মে ২০২৩ , ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৩০ শাওয়াল ১৪৪৪

গাজীপুর : মেয়র প্রার্থীদের হলফনামা

প্রতিনিধি, গাজীপুর

গাজীপুরে বার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আজমত উল্লা খান। তার বিরুদ্ধে মামলা ছিল তিনটি। নিজের চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণই বেশি। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে প্রার্থী হওয়া গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অথচ পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন হলফনামায় তার আয় দেখিয়েছেন চার লাখ টাকা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও মামলার বিষয়সহ অন্যান্য তথ্য ভোটারদের জানানো হবে এবং লিফলেট আকারে প্রচার করা হবে। প্রার্থীদের হলফনামা বিশেষ করে আরও জানা যায়, আজমত উল্লা এলএলএম পাস। পেশা উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট ও গাজীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী। অন্যদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত তরুণ জাহাঙ্গীর আলমের জন্ম ১৯৭৯ সালের ৭ মে। শিক্ষাগত যোগ্যতা এম এ। তিনিও পেশায় ব্যবসায়ী।

মামলা : হলফনামা অনুযায়ী, পাঁচ বছর আগে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা ছিল না। তবে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আটটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা হয়েছে। আজমত উল্লার বিরুদ্ধে তিনটি মামলার একটিতে অব্যাহতি পেয়েছেন। বাকি দুটি মামলাও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় প্রত্যাহার করা হয়েছে।

স¤পদ : আজমত উল্লার বার্ষিক আয় ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৫ টাকা। এর মধ্যে আইন পেশা থেকে তার বার্ষিক আয় ৬ লাখ টাকা। এর বাইরে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক সুদ থেকে তার বার্ষিক আয় ৬২ হাজার ৫০৫ টাকা। কৃষি ও তৈরি পোশাকসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি বার্ষিক ২৪ লাখ তিন হাজার টাকা সম্মানী ভাতা পান। এছাড়া তার লেখা দুটি বই বিক্রি থেকে বার্ষিক আয় এক লাখ টাকা। ২০২১ সালে ও রাজনীতির মহাকবি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ২০২২ সালে ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব গুণ, আদর্শ ব্যক্তি ও জাতি গঠনে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত নামে তার লেখা দুটি বই প্রকাশ করা হয়। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আজমত উল্লা খানের হাতে নগদ ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৩৬ টাকা টাকা। স্ত্রীর কাছে নগদ আছে ৯২ হাজার ৬১৬ টাকা। এছাড়া ব্যাংকে আজমতের নামে আছে ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ৩১১ এবং স্ত্রীর নামে আছে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৫০৬ টাকা রয়েছে। স্ত্রীর নামে একটি প্রাডো গাড়ি রয়েছে। নিজের স্বর্ণ ২০ তোলা এবং স্ত্রীর স্বর্ণ ৩০ তোলা। স্থাবর স¤পদের মধ্যে আজমত উল্লার কোন কৃষিজমি নেই। অকৃষি জমি নিজের নামে ১৪০ দশমিক ৬৩৭৯ শতাংশ এবং স্ত্রীর নামে ২৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ রয়েছে। ৭ শতাংশ জমির উপর তার নির্মাণাধীন বাড়ি।

অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাবেক সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিনের বার্ষিক আয় চার লাখ টাকা। তার অস্থাবর স¤পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৪ টাকা ও ব্যাংকে দুই লাখ টাকা। স্থায়ী আমানত রয়েছে ৫৫ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। নিজের ৫০ ভরি স্বর্ণ ও স্ত্রীর রয়েছে ১০০ ভরি স্বর্ণ। স্থাবর স¤পদের মধ্যে রয়েছে ৩ দশমিক ৬৬ একর কৃষিজমি ও সাত বিঘা অকৃষি জমি। তার দায়ের মধ্যে সাবরিনা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে এনআরবিসি ব্যাংকে ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং ফারইস্ট ট্রান্সফর্ম ওয়াসিংটনপ্ল্যান্ট লিমিটেড এর বিপরীতে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ঋণ রয়েছে দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা।

জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন সশিক্ষিত। পেশা নেই। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় তিন লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তার নগদ টাকা রয়েছে ব্যবসা হতে উত্তোলনসহ ৩৫ লাখ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জামাকৃত অর্থের পরিমান ৫০ হাজার। একটি টেক্সটাইল কম্পোজিট লিমিটেড থেকে আয় ২ লাখ ৫০ হাজার। তার নামে ৩০ তোলার স্বর্ণালংকার রয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান তাকমিল পান। তার কোন সুনির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। তার বিরুদ্ধে কোন মামলাও নেই। তার শিক্ষকতা ও চিকিৎসা আইন পরামর্শ খাত থেকে বার্ষিক আয় ৩ লাখ। তার কাছে নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ৮২ হাজার। ব্যাংকে জমা আছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৪ টাকা। তার নামে ১২ ভরি ও স্ত্রীর নামে ১৫ ভরি স্বর্ণ রয়েছে।

সরকার শাহনুর ইসলাম এমবিএ পাস। তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। দুইটিই নিষ্পত্তি হয়েছে। তার কোন পেশা নেই। তবে বাড়িভাড়া থেকে বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। তার নগদ টাকা আছে ২৫ লাখ আর ব্যাংকে আছে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩০৮ টাকা। স্বর্ণ আছে ৫৩ ভরি। তার স্ত্রীর নামে ব্যাকে টাকা টাকা ৬ লাখ।

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম (বর্তমানে তিনি প্রার্থী নন)-এর হলফনামা

জাহাঙ্গীর আলমের হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে-পাঁচ বছর আগে কৃষি খাত থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল দেড় লাখ টাকা। এবারে কৃষি খাতে আয় দেখিয়েছেন দুই লাখ ২০ হাজার টাকা। বাড়ি ও দোকান ভাড়া আগে ছিল চার লাখ ৩০ হাজার টাকা, এবারেও একই অঙ্ক দেখিয়েছেন। ব্যবসা থেকে আগে আয় দেখান ৯৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, এবার আয় দেখিয়েছেন মাত্র ৩ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার স্থাবর স¤পদের মধ্যে কৃষিজমি ছিল ১৪১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। এবারে তার কোন কৃষিজমি নেই। আগে অকৃষি জমি ছিল ৩৩ দশমিক ৭১২৫ শতাংশ। এবার অবশ্য তার অকৃষি জমি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। আবাসিক স¤পদ আগে ছিল ৭ দশমিক ৪৩৭ শতাংশ। এবারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ১৫ শতাংশ। অস্থাবর স¤পদের মধ্যে তার হাতে রয়েছে নগদ ৪০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে ছিল ৭ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ব্যাংকে তার জমা ৫০ হাজার টাকা। আগে ছিল এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৭১ টাকা। এবারে তিনি তালিকাভুক্ত ও নন-তালিকাভুক্ত শেয়ারের মূল্য দেখিয়েছেন অনারেবল টেক্সটাইলে ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং জেড আলম এ্যাপারেলসে ২০ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ দেখিয়েছেন ১০ লাখ টাকা। আগের বারে তিনি ব্যবসায় বিনিয়োগ দেখিয়েছিলেন ৭৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৭ টাকা, সঞ্চয়পত্রে ১০ লাখ টাকা।

এছাড়া জাহাঙ্গীর আলমের দুটি গাড়ি, ৩৫ ভরি স্বর্ণ, একটি বন্দুক ও একটি পিস্তল, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং আসবাবপত্র আগের মতো রয়েছে। পাঁচ বছর আগে তার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা ছিল না। তবে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আটটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা হয়েছে।