পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ

পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পৃথক পৃথক কর্মসূচী ঘিরে দফায় দফায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটেছে। এ সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ উভয় দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ছুড়েছে।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল সকাল ১০টায় শহরের বনানী সড়কের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, দলের সহ দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন এ সভায় অংশ নেন। এ সমাবেশে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বক্তব্য চলাকালীন সময় সমাবেশ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এসময় বিএনপি ও ছাত্রলীগ উভয়ের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা- ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ দিকে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী শান্তি সমাবেশের অংশ হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগ স্থানীয় তিতাস সিনেমা হলের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। এ সমাবেশে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নিতে মিছিল সহকারে বনানী সড়ক অতিক্রমকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা চালায়। এখবর শুনে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশে শেষে নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুনঃরায় তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে দফায় দফায় ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নাসির, সুমনসহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহত সুমনসহ দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পুলিশ সেখানে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ হামলা ও সংঘর্ষে মাই টিভির সাংবাদিক মশিউর রহমান বাবলুসহ বিএনপির সিকান্দার মোল্লা (দশমিনা), খলিলুর রহমান (বাউফল), শামীম আহমেদ, তাসলিম (পানপট্টি), মিলন তালুকদার (কাজীপাড়া), কাজল তালুকদার, জিসান, জব্বার, সোহেল রানা, ওলি (দুমকী), শামুয়েল আহমেদ (বাউফল) ও ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এদিকে দুপুর ১২টায় স্থানীয় পুরাতন আদালতপাড়া এলাকার হোটেল হিলটনে জেলা বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেনসহ দপ্তরসম্পাদক মো. মনির হোসেন ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ¯স্নেহাংশু সরকার কুট্টি অভিযোগ করেন, তাদের পূর্বনির্ধারিত সভাস্থলে আওয়ামী গু-া বাহিনীর হামলায় তাদের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এদিকে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান সংবাদকে জানান, সংঘর্ষ চলাকালীন সময় ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। শহরে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।

আরও খবর
সামনে সংসদ নির্বাচন : দুই মাস আগে পাঠ্যবই ছাপতে চায় এনসিটিবি
ভেঙেপড়া গাছে ধাক্কা লেগে বগি লাইনচ্যুত, ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার
কাঁদলেন সিলেটের মেয়র আরিফ সরে দাঁড়ালেন নির্বাচন থেকে
গাজীপুর : মেয়র প্রার্থীদের হলফনামা
৫ সিটি নির্বাচন ট্রায়াল হিসেবে নিয়েছি : ইসি সচিব
সামনে সংসদ নির্বাচন : দুই মাস আগে পাঠ্যবই ছাপতে চায় এনসিটিবি
ওলামা লীগ চাইলে প্রোগ্রামের খরচ ‘শেখ হাসিনা দেবেন’, জানালেন কাদের
রাজশাহী : বিএনপি সরে গেছে মেয়র পদ থেকে, কাউন্সিলর প্রার্থীরা নৌকার কাছে ভিড়ছে
পাবিপ্রবি : ভর্তি পরীক্ষার দিন ছাত্রলীগে অর্ন্তদ্বন্দ্ব, আহত ১০
ইজিআইএমএনএস প্রকল্পের আওতায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণে নয়ছয়

রবিবার, ২১ মে ২০২৩ , ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৩০ শাওয়াল ১৪৪৪

পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পৃথক পৃথক কর্মসূচী ঘিরে দফায় দফায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটেছে। এ সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ উভয় দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ছুড়েছে।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল সকাল ১০টায় শহরের বনানী সড়কের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, দলের সহ দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন এ সভায় অংশ নেন। এ সমাবেশে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বক্তব্য চলাকালীন সময় সমাবেশ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এসময় বিএনপি ও ছাত্রলীগ উভয়ের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা- ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ দিকে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী শান্তি সমাবেশের অংশ হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগ স্থানীয় তিতাস সিনেমা হলের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। এ সমাবেশে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নিতে মিছিল সহকারে বনানী সড়ক অতিক্রমকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা চালায়। এখবর শুনে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশে শেষে নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুনঃরায় তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে দফায় দফায় ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নাসির, সুমনসহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহত সুমনসহ দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পুলিশ সেখানে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ হামলা ও সংঘর্ষে মাই টিভির সাংবাদিক মশিউর রহমান বাবলুসহ বিএনপির সিকান্দার মোল্লা (দশমিনা), খলিলুর রহমান (বাউফল), শামীম আহমেদ, তাসলিম (পানপট্টি), মিলন তালুকদার (কাজীপাড়া), কাজল তালুকদার, জিসান, জব্বার, সোহেল রানা, ওলি (দুমকী), শামুয়েল আহমেদ (বাউফল) ও ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এদিকে দুপুর ১২টায় স্থানীয় পুরাতন আদালতপাড়া এলাকার হোটেল হিলটনে জেলা বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেনসহ দপ্তরসম্পাদক মো. মনির হোসেন ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ¯স্নেহাংশু সরকার কুট্টি অভিযোগ করেন, তাদের পূর্বনির্ধারিত সভাস্থলে আওয়ামী গু-া বাহিনীর হামলায় তাদের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এদিকে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান সংবাদকে জানান, সংঘর্ষ চলাকালীন সময় ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। শহরে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।