পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জেলা থেকে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আসা হাজারো শিক্ষার্থী-অভিভাবকের ভিড় ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে প্রথম বর্ষের গুচ্ছভিত্তিক ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে এদিন ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো শিক্ষার্থী-অভিভাবকের ভিড় ছিল। এর মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, গতকাল ভর্তি পরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুল ও প্রান্তর মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহর সমর্থকরা ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে দলীয় কোন সম্পর্ক নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেনের ভাষ্য, সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ছাত্রলীগের সঙ্গে সভা করেছে। এতে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রক্টর।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আজকের ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের ৪ হাজার ৮৭৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। স্বেচ্ছাসেবক হয়ে তাদের বিভিন্নভাবে ‘সহযোগিতা’ করে ছাত্রলীগ।